Benefits of ayurveda: আয়ুর্বেদিক ঔষধের উপকারিতা! গাছ গাছালি থেকে কিভাবে ঔষধের আবিষ্কার? অতীত থেকে বর্তমান কিভাবে গাছ গাছালির ওপর ভরসা করেই বেঁচে থাকতে পারে প্রাণ? এখনকার যুগে দাঁড়িয়েও ‘মাথাধরায় আদা চা‘, ‘রক্ত বৃদ্ধিতে কুলেখাড়া‘, ‘অনিদ্রায় শুষনি শাক‘, ‘পেটখারাপে কাঁচকলা সিদ্ধ‘, ‘পেট পাতলা হলে পেঁপের তরকারি‘ – এ যেন লেগেই আছে। আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে, পড়তে থাকুন এই প্রতিবেদন।
প্রকৃতি জুড়ে তিন ভাগ জল একভাগ স্থল। এটা অবশ্যই এই পৃথিবীর গঠনের কথা বলা হলো। আপনি যদি একবার গোটা বিশ্বের মানচিত্রের দিকে নজর রাখেন তাহলে দেখবেন চারিদিকে শুধু জল আর জল স্থলভাগটা অত্যন্ত কম।
তবে এরই মাঝে কোটি কোটি বছর ধরে উদ্ভিদ আর প্রাণীর অবাধ বিচরণ একেবারে নিজেদের মতন করে। কালের নিয়মে বিবর্তনের ধারা বজায় রেখে যারা অভিযোজনের সঙ্গে নিজেকে যথাযথ করে তুলতে পেরেছে তারাই এই পৃথিবীতে রয়ে গেছে।
সেই কারণেই ‘অ্যামিবা বা ডাইনোসরের মত প্রাণী‘ আজ আর চোখে পড়ে না। কিন্তু আপনি কি জানেন এই পৃথিবীতে বিবর্তনের ধারা বজায় রেখে প্রাণীর অস্তিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অব্যর্থ দাওয়াই হিসেবে কাজ করেছে উদ্ভিদ।
তাইতো, মুঠো মুঠো ‘এলোপ্যাথিক বা হোমিওপ্যাথিক ওষুধের’ মাঝেও সবথেকে কাজের কাজটি করেছে গাছ-গাছালি। পাশে ‘তুলসী পাতা‘ হোক বা ‘ব্রাহ্মী রস‘। ‘কালমেঘ পাতা‘ হোক বা ‘কুলেখাড়া‘ – ভরসা রাখতে হবে সেই সবুজের ওপরই।
আরো পড়ুন – Holding the toilet: আপনার কি ‘পটি চেপে রাখার অভ্যাস’ আছে? ‘পায়খানা চেপে রাখলে’ কি হতে পারে জানেন?
আদিম মানুষ থেকে গুহা মানব, পাথরে পাথরে ঘষে আগুন জালানো থেকে পাথর কেটে চাকা বানানো – সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ উন্নত হয়েছে আর পাশাপাশি রপ্ত করেছে নিজেকে ভালো রাখার কৌশল।
বন জঙ্গলে থাকতে থাকতে হিংস্র পশুর আক্রমণে যখন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে মানুষ তখন বিজ্ঞান বা আবিষ্কার ছিল না কিন্তু গাছ-গাছালির মধ্যে থেকেই ওষুধ খুঁজে খুঁজে বের করে সেই চোট আঘাত সারিয়ে তুলেছে মানুষ। কাজটা সহজ ছিলনা আর একদিনে সম্ভব হয়নি।
আরো পড়ুন – আমার স্ত্রী প্রচন্ড রাগী! অকারনে ‘স্ত্রী নিজের স্বামীকে অপমান করেন’ বা রেগে যান? এটা কি ঠিক?
আপনি হয়তো দেখে থাকবেন কুকুর বেড়াল বা রাস্তার অন্যান্য প্রাণীরা অসুস্থ হলে নিজেরাই বন জঙ্গলের মধ্যে গিয়ে শুঁকে শুঁকে নিজের প্রয়োজনীয় পথ্য বের করে। কিন্তু মানুষ বিচক্ষণতার সঙ্গে এই কাজটি করতে পেরেছে বলেই সে আজ উন্নত জীব।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি (benefits of ayurveda):
অতীতকালে ঠাকুমা দাদুরা কিন্তু এই উদ্ভিদের ওপর ভরসা করে সুস্থতা এবং শরীরের যত্ন নেবার পন্থা গুলি খুঁজে বের করে তা প্রয়োগ করতেন নিজের পরিবারের সদস্যদের ওপর।
- ঠান্ডা লাগলে বাসক পাতার রস বা যষ্টিমধু খাওয়া হোক কিংবা পেটে কৃমি হলে কালমেঘ পাতার রস খাওয়ার রীতি। এখানেই শেষ নয়।
- শরীরের রক্ত কমে গেলে কুলেখাড়া আর পেট খারাপ মানেই গ্যাঁদাল পাতার ঝোল।
অত বেশি জ্ঞান বিজ্ঞান ছিল না কিন্তু কি আশ্চর্য ম্যাজিকের মত কাজ করেছে সেই টোটকা। আর আজকের যুগে বিজ্ঞান এই সব ‘গাছ গাছরা থেকেই ওষুধ আবিষ্কার‘ করে তাকে ট্যাবলেট বা লিকুইড ফর্মে আপনার নিকটবর্তী দোকানে পৌঁছে দিচ্ছে।
আরো পড়ুন – Skin is wrinkled: ‘জলে চামড়া কুঁচকে যাওয়া’র সাথে পূর্বপুরুষের সম্পর্ক আছে জানেন?
- বাড়ি আশেপাশে ‘নিমগাছ’ থাকা মানেই শরীরে কোন ঘা বা চুলকানি হলে অব্যর্থ ওষুধ হাতের কাছেই।
- আমাশার মতো রোগ হলে থানকুনি পাতা বেটে বা রস করে খাওয়া। ঠান্ডা লাগার বাতিক থাকলে মধু দিয়ে তুলসী পাতা খাওয়া। আবার শিউলি পাতার রসও এই ব্যাপারে বিশেষ কার্যকরী।
কিছু জিনিস হয়তো যুক্তি দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয় তবে তার জন্য ভেতর থেকে বিশ্বাস জন্মানো দরকার। এই যেমন ধরুন উদ্ভিদের ওপর ভরসা করে যুগ যুগ ধরে যে মানুষ বেঁচে আছে বা এই প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছিল, তাতে কিন্তু কোন যুক্তি ছিল না প্রাথমিকভাবে।
আরো পড়ুন – Conjunctivitis: বাচ্চাদের চোখে ইনফেকশন হচ্ছে? কনজাংটিভাইটিস নিয়ে সতর্ক থাকুন!
ছিল ভরসা, বিশ্বাস আর চেষ্টা যার সঙ্গী হয়েছিল অদম্য ইচ্ছে শক্তি আর কৌতূহল। এখনকার যুগে দাঁড়িয়েও ‘মাথাধরায় আদা চা‘, ‘রক্ত বৃদ্ধিতে কুলেখাড়া‘, ‘অনিদ্রায় শুষনি শাক‘, ‘পেটখারাপে কাঁচকলা সিদ্ধ‘, ‘পেট পাতলা হলে পেঁপের তরকারি‘ – এ যেন লেগেই আছে।
আরো একবার ‘গাছ গাছালির ঔষধের’ কিছু উদাহরণ!
- মাথাধরায় আদা চা
- রক্ত বৃদ্ধিতে কুলেখাড়া
- অনিদ্রায় শুষনি শাক
- পেটখারাপে কাঁচকলা সিদ্ধ
- পেট পাতলা হলে পেঁপের তরকারি
- ঠান্ডা লাগলে বাসক পাতার রস
- পেটে কৃমি হলে কালমেঘ পাতার রস
- শরীরের রক্ত কমে গেলে কুলেখাড়া
- পেট খারাপ মানেই গ্যাঁদাল পাতার ঝোল
- শরীরে কোন ঘা বা চুলকানি হলে অব্যর্থ ওষুধ নিমগাছ
- আমাশার মতো রোগ হলে থানকুনি পাতা বেটে বা রস করে খাওয়া
- ঠান্ডা লাগার বাতিক থাকলে মধু দিয়ে তুলসী পাতা খাওয়া
প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যেই আরোগ্য হত্যার উপায় খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা মানুষকে আজ এই জায়গায় দাঁড় করিয়েছে। তাহলে ভাবতে পারছেন আরও একটু গভীর পড়াশোনায় আমরা হয়তো পৌঁছে যাব অতীতের সেই বনৌষধির মহারণ্যে , আর অনেক অজানা ওষুধকে আবিস্কার করতে পারব পৃথিবীকে আরও একটু ভালো রাখার জন্য।।