Breaking Bharat : লাইফস্টাইল ডিজিজ (Diabetes)! গবেষণা বলছে, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে লাইফস্টাইলের জেরেই নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে আমাদের। ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসারের মতো রোগ এখন ঘরে ঘরে। আর তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুঠো মুঠো ওষুধও খাচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ তো আবার ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে নিজে নিজেই গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে ডাক্তার সেজে বসে আছেন। এই অভ্যেস এখনও না ছাড়তে পারলে, অদূরেই যে বিপদ উঁকি মারছে, তেমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ। রাতের পর রাত ঘুম নেই। একের পর এক কাজের ফিরিস্তি। কায়িক পরিশ্রম না হলেও বিশ্রামের জো নেই। খাওয়াদাওয়ায়ও নেই লাগাম। এন্তার ফাস্ট ফুডেই দিন কাটায় আজকালের লাইফস্টাইল। আর এসবের প্রভাবে স্থূলতা, অনিদ্রার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসারের মতো রোগে ভোগা। লাইফস্টাইল ডিজিজের জেরে একটুও নিস্তার নেই। কম বয়সেই নানা রকম রোগের উৎপাত। আর তা থেকে রেহাই পেতে ওষুধের ওপর ভর করেই কাটছে জীবন? তবে এই ধরনের ওষুধ কতটা উপকারী আমাদের শরীরের জন্য?
ডায়াবেটিস, ব্লাডপ্রেসারের মতো রোগ নিরাময়ে যে ওষুধগুলি সাধারণত ব্যবহার করা হয়, তা বেশি খাওয়া যে ভাল নয়, তা হয়তো অনেকেই জানেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওষুধের ক্ষেত্রে একটু মেনে চলতে পারলে অনায়াসে ভালো থাকা যায়। ওষুধের সঠিক ব্যবহার করা হয় না বলেই সমস্যার মুখে পড়তে হয়। সঠিক নিয়ম মেনে ওষুধ খেলে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার (Blood pressure) থেকে তো মুক্তি পাওয়া যায়ই, পাশাপাশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার হাত থেকেও রেহাই মেলে।
আরো পড়ুন- Tea shop: বাঙালি মানেই আড্ডা,হুল্লোড়, তবে চায়ের দোকানে আড্ডা স্পেশাল, কেন জানেন?
এই বিষয়ে আরজিকর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. জ্যোতির্ময় পাল বলেন, বহু মানুষই ঠিক মতো ওষুধ খান না। এমনকী আমেরিকার মতো উন্নত দেশও সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৩০ শতাংশ প্রেশার রোগী ঠিক মতো ওষুধ খান না। এর পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। অনেকের অর্থনৈতিক সমস্যা থাকে, কেউ আবার ব্যস্ত।
আরো পড়ুন- Avoid these people: এই ধরনের মানুষদের কখনো পাত্তা দেওয়া উচিত নয়, কেন জানেন ?
তবে অনেকে আবার ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে ব্যস্ত হয়ে যান। তিনি হয়তো একটি প্রেশারের ওষুধ খেয়ে ভালো আছেন। এই দেখে হুট করে ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিলেন। কিন্তু এই ধরনের খারাপ অভ্যাস ডেকে আনতে পারে বিরাট বিপদ। তাই প্রেশার, সুগারের ওষুধ খেতে হবে নিয়ম করে। নইলে হার্টের রোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি ভয়ঙ্কর সমস্যা ধরতে পারে।
আরো পড়ুন- Stop Spam call: বারবার স্প্যাম কল আসছে ? কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? জানেন কারা করছে এই কাজ?
আসলে ডায়াবেটিস, ব্লাডপ্রেসারের ওষুধ খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। এটা হয়তো অনেকেই কাজ বা দৈনন্দিন জীবনের চাপে মাথায় রাখতে পারেন না। তাই সময়ের হেরফের হয়ে যায়। তার জেরেই উল্টো বিপত্তি দেখা যায়। তাই সকালের ওষুধ সকালে, দুপুরেরটা দুপুরে, রাতেরটা রাতেই খেতে হবে রোগীদের। তাছাড়া অনেকসময় কোনও কোনও ওষুধ প্রথমে কাজ করলেও কিছু সময় পর তা কাজ নাও করতে পারে। এক্ষেত্রে এই বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।
আরো পড়ুন- Use of Mirrors: নিজের মুখ আর রূপ দেখার জন্যই কি আয়না? যদি আয়না না থাকতো, তাহলে?
সেই অনুযায়ী প্রয়োজন বুঝে ওষুধ বদলানোর পরামর্শ দেবেন ডাক্তার। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, কোনও ওষুধ যখন বহু সময় ধরে খেয়ে যেতে হয়, সেক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করে দেওয়াও বোকামি। সবমিলিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ খাওয়া ছাড়াও চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাও সমান জরুরি। একথা ভুলে চলবে না যে, শরীর আপনার, তাই তা সুস্থ রাখার দায়িত্বও আপনার।