Breaking Bharat: আপনি ‘চটি বই’ কিনছেন বা পড়ছেন! যৌনতার গল্প পড়ার আগ্রহ কেন এত বেশি? উল্লেখযোগ্য বয়সন্ধিকালে নিষিদ্ধ গল্প পড়া (Bangla Choti Galpo)! কেন নিষিদ্ধ বই পড়ার মজাই আলাদা? রাস্তার ধারে বা স্টেশনে কিংবা বুক স্টলে ওই চটি বই, এই চটি বইয়ের জনপ্রিয়তা কেন এত বেশি?
যেমন ধরুন কোন যৌন দৃশ্য দেখা বা যৌনতার কথা মাথার মধ্যে আসার মাঝা মাঝি যে তফাৎ টুকু রয়েছে। সেই কারণেই স্টেশনে বা বাসস্টপে নিষিদ্ধ বইয়ের সমাহার দেখলে মনটা একবার সেই দিকে উঁকি দিতে চায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই বইগুলো এতটাই পাতলা হয় যে চটি বই বলা হয়। রাস্তাঘাটে কেউ যদি দেখতে পাই যে আপনি চটি বই কিনছেন বা পড়ছেন ব্যাস প্রেস্টিজের দফারফা।
উল্লেখযোগ্য বয়সন্ধিকালে নিষিদ্ধ গল্প পড়া:
ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার ঝোঁক অনেকেরই থাকে। সে ক্ষেত্রে গল্পের বই পড়ার আগ্রহই থাকে বেশি। ছোটবেলায় পড়ার বইয়ের আড়ালে গল্পের বই রেখে অনেকেই সময় কাটিয়েছেন। আর এই বিষয়ে সব থেকে আগে উল্লেখযোগ্য বয়সন্ধিকালে নিষিদ্ধ গল্প পড়া।
এমনিতেই স্কুল কলেজের গণ্ডি টপকানোর আগেই জীবনে প্রেম প্রেম গন্ধ লেগে যায়। তাই প্রেমের গল্প পড়তে খুব ভালো লাগে। এরপর সেই প্রেম যখন ধীরে ধীরে যৌনতার দিকে টার্ন দিতে শুরু করে, তখন বইয়ের মধ্যে সেটা নিয়ে পড়তে পড়তে ফ্যান্টাসির এক অনুভূতি মনে জাগে।
কেন নিষিদ্ধ বই পড়ার মজাই আলাদা?
যাই বলুক না কেন নিষিদ্ধ বই পড়ার মজাই আলাদা। এই প্রতিবেদনে আমরা কোন অনৈতিক কাজকে সমর্থন করছি না। তবে মানুষের সাধারণ কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথাই তুলে ধরা আমাদের লক্ষ্য। যদি কারুর ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে বা কোন ঘটনার সঙ্গে এই প্রতিবেদনের কোন উদাহরণের মিল খুঁজে পান তাহলে সেটা নিতান্তই কাকতালীয়।
রাস্তাঘাটে এরকম অনেক মানুষ দেখা যায় যারা নিষিদ্ধ বইয়ের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন (Those who express interest in banned books)। যেমন ধরুন সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। প্রতিদিনই সংসারের নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ। স্ত্রী পুত্র কন্যাকে নিয়ে সংসার। কিন্তু যৌনতার আশ্বাস পেতে চায় তার মন সেক্ষেত্রে বাস্তবিক ভাবে তা সম্ভব না হলে ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ড এর মধ্য দিয়ে বাঁচতে চান তিনি।
রাস্তার ধারে বা স্টেশনে কিংবা বুক স্টলে ওই চটি বই:
সবার আগে নজর পরে রাস্তার ধারে বা স্টেশনে কিংবা বুক স্টলে ওই চটি বইয়ের দিকে। যেখানে শরীরের বর্ণনা থাকে অতি রসালো ভঙ্গিমায়। চ্যাটিং কিছু কথাবার্তা আর নারী পুরুষের দেহের গঠন নিয়ে নানা বর্ণনা থাকে। যৌনতার পূর্ব তৃপ্তি না হলেও শরীরের মধ্যে যেন অন্যরকমের এক আন্দোলন তৈরি হয় এই ধরনের বইয়ের দৃশ্যবলীকে মনে করে।
বিশেষত যারা ধরুন বয়সন্ধির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে কিংবা সদ্য যৌবন পার করে বানপ্রস্থের দিকে এগোচ্ছেন, তারা এই ধরনের বই পড়ে এক অপার আনন্দ লাভ করেন। এটা অনেকটা সিনেমায় যৌনতার দৃশ্য দেখার মত।
এই চটি বইয়ের জনপ্রিয়তা কেন এত বেশি?
কিন্তু সবটা বাণিজ্যিক কারণে এবং নিয়মের জন্য সিনেমায় বা সিরিয়ালে দেখানো সম্ভব হয় না। কিন্তু বই পড়তে কোন বাধা নেই। তা সে বিয়ের প্রথম রাত হোক কিংবা প্রতি রাতের উদ্যম যৌনতার কাহিনী।
আরো পড়ুন – কামাক্ষ্যা মন্দিরে পুরুষ প্রবেশ নিষিদ্ধ! জানেন এই নিয়ম আছে ভারতের একাধিক মন্দিরে
তবে আপনি কি জানেন এই চটি বইয়ের জনপ্রিয়তা কেন এত বেশি? আসল কারণটা হল এই বইয়ের লেখাগুলো অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় যা বুঝতে কারোর কোন অসুবিধা হয় না। কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে মূলত নারী এবং পুরুষের শারীরিক মিলন।
পর্ন ছবি দেখতে বা নিষিদ্ধ বই পড়তে ভালোবাসেন:
যারা বাস্তবে সেই শারীরিক মিলনের সাক্ষী হতে পারেন না তারা ভিডিওতে দেখতে বা সেটাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে বইয়ে পড়ে রসবোধ উপভোগ করা পছন্দ করেন। এই বিষয় জানিয়ে রাখা ভালো পর্ন দৃশ্য দেখা বা বইতে পড়া কখনোই খারাপ এই কথা আমরা বলছি না। কিন্তু দেখতে হবে এর থেকে কোন খারাপ দিক উঠে আসছে কিনা।
আরো পড়ুন – কলেজের প্রোফেসর বা সুন্দরী ম্যাডামের প্রেমে পড়েছেন? এখানে কি প্রেমে পড়া বারণ?
যারা অত্যন্ত বেশি পর্ন ছবি দেখতে বা নিষিদ্ধ বই পড়তে ভালোবাসেন তাদের মাথার মধ্যে এই নিয়ে একটা ধারণা তৈরি হয়। যা পরবর্তীকালে তাকে বা তাদেরকে বিপথে চালিত করে। নিষিদ্ধ বইতে যে যৌনতার কথা বলা থাকে সেগুলো পড়তে পড়তে শরীরে নানা রকমের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
মানসিক রোগের জন্মের অন্যতম কারণ এই পর্ন ছবি:
যার জেরে শারীরিকভাবে হরমোনের নিঃসরণে সমস্যা তৈরি হয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মাথায় রাখতে হবে যৌনতার বই পড়া কোনো অপরাধ নয় কিন্তু তাকে ঘিরে যদি মনের মধ্যে ভুলভাল ধারণা তৈরি হতে থাকে তাহলে সেটা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক। মানসিক রোগের জন্মের অন্যতম কারণ এই পর্ন ছবি বা গল্পের প্রতি আকর্ষণ।
আরো পড়ুন – বিয়ে মানে সাত জন্মের বন্ধন কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠানে একাধিক নিয়ম পালন আজও কতটা প্রাসঙ্গিক?
সমীক্ষায় দেখা গেছে এই ধরনের বই পড়ে এক নিজের জগত সৃষ্টি করেন পাঠকরা। যে জগতে চরিত্র হিসেবে কখনো কখনো তারা মা-বাবাকে বসাতেও দ্বিধাবোধ করেন না। এটা কি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য এ প্রশ্ন তুলে রাখলাম আপনাদের জন্যই?
মানুষের ঘুম পাওয়া খিদে পাওয়া হাসি কান্নার মতই যৌনতা একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, কিন্তু বিকৃত কামনা কে কখনোই সাধুবাদ দেওয়া যায় না এটা শুধু ভুল বা ক্ষতিকারক নয় এটা অপরাধ বটে। সুস্থ ভাবে বাঁচুন সুস্থ সমাজ পরিবেশ তৈরি করুন। ভালো থাকুন আপনি ভালো থাকবেন চারপাশ।