Breaking Bharat: বান্ধবী কি প্রেমিকা? তাহলে তার বাড়িতে বিয়ের জন্য রাজি করবেন কী করে?
শাহরুখ খানের “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে” সিনেমার কথা মনে আছে? আসল প্রেমিক বোধহয় একেই বলে। প্রেমিকা নিজে থেকে বলছে পালিয়ে যাওয়ার কথা, অথচ প্রেমিক বলছে পরিবারের সম্মতি ছাড়া সে কোথাও যাবে না। এই না হলে প্রেমিক! কিন্তু যেভাবে শাহরুখ খান হিটলার শ্বশুর আর প্রেমিকার বাড়ির বাকিদের মন জয় করেছিলেন সেই ৯০ এর দশকে, সেটা কি এখনও সম্ভব?
সব থেকে আগে বলা দরকার একটা মানুষ আর একজন মানুষকে বিয়ে করবেন তাই দুটো পরিবারের সম্মুখে সেখানে অবশ্যই প্রয়োজন। এর পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখা দরকার যে দুজন মানুষ যখন এক ছাদে তলায় থাকবেন তখন দুটো পরিবারের সম্পর্কের একটা নতুন তৈরি হয়ে যাবে নিজে থেকেই।
বিয়ের পর একটা ছেলেকে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য বাড়িতে থাকতে হয় না কিন্তু একটা মেয়েকে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকতে হয়। একজন মেয়ে যেভাবে তার স্বামীর বাড়িতে আপন করে নিতে পারে, ছেলেও কি সেভাবেই তার স্ত্রীর পরিবারকে আপন করে নিতে পারবে এ প্রশ্ন প্রতিটা মেয়ের মনেই থাকে। প্রতিটা প্রতিবেদনেই যেরকমটা আমরা জানি থাকি যে ব্যতিক্রম নিয়ে আমরা কোন কথা বলছি না, সেটা আলোচ্য নয় ।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে ঘটনা দেখা যায় মূলত তার দিকেই দৃষ্টি আরোপ করছি আমরা। একটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অন্যকে কিছু প্রমাণ করার প্রয়োজন পড়ে না যদি অন্তর থেকে কোন কিছুর প্রতি ভালোবাসা শ্রদ্ধা আর বন্ধুত্ব থাকে।
প্রেমিকাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে বরণ করে ঘরে নিয়ে যেতে চাইলে তার পরিবারকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান জ্ঞাপন করাটা কিন্তু প্রতিটা প্রেমিকের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। সেটা শুধুমাত্র সেই বাড়ির মেয়েকে নিজের বাড়িতে স্ত্রী হিসেবে আনতে চান বলে নয়, মানুষ হিসেবে এইটুকু করা কি আপনার দায়িত্ববোধ নয়? অনেকেই বলেন নিজের পরিবারকে রাজি করানোর দায়িত্ব মেয়ের নিজের, যেমনটা একটা ছেলে করে থাকে।
কিন্তু বুঝতে হবে দুটো পরিবার একই অন্যকে কতটা শ্রদ্ধা করছে সেটাও কিন্তু দাম্পত্যের প্রভাব ফেলবে। প্রাথমিকভাবে মনে হতেই পারে আমরা দুজন দুজনকে বিয়ে করব বাকিরা কী বলছে বা ভাবছে তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু যত সম্পর্ক এগোবে সময় গড়াবে বুঝতে পারবেন আপনি কতটা বড় ভ্রান্ত ধারণা নিজের মধ্যে রেখেছিলেন।
আরো পড়ুন – প্রেমের মরশুমে প্রেমিকাকে দেখে আপনার হাঁটু কাঁপে? এই যাহ! তাহলে প্রপোজ করবেন কী ভাবে?
আমরা সমাজবদ্ধ জীব তাই সমাজের প্রতিটি আঙ্গিকের নানা ঘটনা আমাদের জীবনকে স্পর্শ করে যায়। আপনার নিজের মধ্যে যদি একটা ভালো মানুষ লুকিয়ে থাকে তাহলে সেটা যেচে প্রমাণ করার প্রয়োজন পড়বে না। মনে রাখবেন পচা গন্ধ যেমন ছড়িয়ে পড়ে, ফুলের সুবাস তেমন ভাবেই মানুষকে আকৃষ্ট করে। এই যে ভালো তার সব গুণ এমনিতেই নজরে আসবে তার জন্য বিশেষ পরিশ্রম করতে হবে না ।
আরো পড়ুন – স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপন চলছে? বাড়ির ছোটদের সামনে অস্বস্তি এড়াতে কী করেন আপনি?
আপনি যেরকম সেরকমই থাকুন। অভিনয় করে কারোর মন জয় করার প্রয়োজন নেই। কারণ মুখোশ খুলে গেলে সবাই আঘাত পাবে, ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে সম্পর্কের ভিত। মেয়েকে নিয়ে তার পরিবার সবসময় চিন্তায় থাকে কারনটা অবশ্য সমাজই তৈরি করে দিয়েছে, কিন্তু সেটা আজকের বিবেচ্য বিষয় নয়।
আরো পড়ুন – মেয়ে নাকি ছেলে, কে বেশি পরিণত জানা আছে? ‘মেয়েদের ম্যাচুরিটি’ নাকি ছেলেদের আগে হয়?
মোদ্দা কথা হল যে ঘরে বা যে বরের কাছে নিজের কন্যা সন্তানকে পাঠাবেন তার বাবা-মা , তাকে পরীক্ষা করে নেবার বা জেনে নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার কিন্তু তাদের আছে। আর এই জায়গাটাকে সম্মান করতে শিখুন আপনিও। দেখবেন প্রেমিকার চোখে সত্তিকারের “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে”র শাহরুখ খান হয়ে উঠেছেন আপনি।