Bamboo Health Benefits: বাঁশ বললেই কপালে চিন্তার ভাঁজ? অর্থাৎ বাঁশ দিলে বড় বালাই কিন্তু বাঁশ খেলে কি হয়? এই বুঝি বাঁশ আমাদের ঘাড়ে এসে পড়ল! ঠিক এই ভাবনা নিশ্চয়ই রয়েছে আপনার মনে? এটাই খুব স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি কি জানেন বাঁশ খেলে কি সত্যিই ভাল থাকা যায়? না ঘাবড়াবেন না আমরা বলছি পেটে খাওয়ার কথা।
যদিও এ কথা শুনলে একটু অবাক তো হতেই হয়, তাই না? কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাঁশ নাকি উপকারি। চলুন তাহলে ঠিক কী লাভ হয় বাঁশ পেটে খেলে একটু জেনে নেওয়া যাক।
বাঁশ খাওয়া নাকি ভীষণ উপকারি:
যদিও বাঁশ বললেই এক গুচ্ছ রসিকতা আমাদের মনের কোণে ভেসে ওঠে । আসলে মারাত্মক চাপ আচমকা কেউ দিলে সবার আগে এই শব্দটাই ব্যবহার করি আমরা। কিন্তু আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন পাহাড়ি অঞ্চলে এই বাঁশ নাকি ভীষণ উপকারি বলে মনে করা হয়।
আসলে এই বাঁশ তাঁরা খাবার হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তবে শুধু ভারতেই নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাঁশ খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাঁশ ভীষণ কার্যকরী। যদিও এই তথ্যের সত্যতা আমরা যাচাই করিনি। চিন দেশের লোকেরা বাঁশের কোড়লকে কী বলেন জানা আছে? ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’।
বাঁশের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন পাওয়া যায়?
অনেকেই বলেন বাঁশের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন পাওয়া যায়। পাশাপাশি বাঁশের কোড়োলে প্রায় ৪% প্রোটিন থাকে। চর্বির পরিমাণ ০.২৫-০.৯৫% এবং ০.৭৮-৫.৮৬% চিনি থাকে। প্রায় ১.১% মতো খনিজ পদার্থ আছে বলে জানা যায়। এবার তাহলে বলি কী কী উপকারিতা আছে।
কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে বাঁশের কোনও বিকল্প নেই মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি যাদের ক্যান্সারের সমস্যা আছে তাঁদের জন্য এটা ভীষণ উপকারি। আপনার যদি উচ্চ রক্ত চাপ থাকে তাহলে বাঁশ কার্যকরী। এর সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
আরো পড়ুন – ব্যবসা মানেই কেন মাড়োয়ারিদের রমরমা? মাড়োয়ারিদের ব্যবসার গোপন রহস্যে জেনে নিন।
বাঁশের কোড়োল! সেটা কী জানা আছে তো?
আচ্ছা এতক্ষন ধরে যে ‘বাঁশের কোড়োলে‘র কথা বললাম সেটা কী জানা আছে তো? আসলে সদ্য অঙ্কুরিত কচি বাঁশকে বলা হয় বাঁশ কোড়ল। যেকোনো ধরনের সব্জির সঙ্গে যদি তুলনা করেন তাহলে এর কোনও জবাব নেই সেটা বলাই বাহুল্য।
আরো পড়ুন – সন্তান সবার প্রিয়, কিন্তু যদি হিজড়া সন্তান হয় তাহলে? আজ আমরা বলবো হিজড়াদের কথা
আসলে এরকম আরও অনেক উপকারি উদ্ভিদ আছে যাদের বিষয়ে আমরা সেভাবে কিছু জানি না। হাঁপানী, ডায়াবেটিস, জ্বর, মৃগি রোগে আচমকা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি নিরাময়েও যথেষ্ট অবদান রাখে বাঁশ।
আরো পড়ুন – আপনার শিশু কন্যার নাক-কান ফোটানো নিয়ে চিন্তিত? জানেন কেন এক নাকেই নাকছাবি পরা হয়?
ভারতের মেঘালয়, আসাম, হিমালয় অঞ্চল তো আছেই পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। নেপাল, ভুটান থেকে শুরু করে চিন, কোরিয়া এমনকি জাপানেও বেশ জনপ্রিয় এই বাঁশ কোড়ল।তাহলে কী আপনিও এবার থেকে বাঁশ আনতে চলেছেন জীবনে? অবশ্য তথ্য প্রাপ্তি ইন্টারনেট থেকেই।