Breaking Bharat: সমাজের খারাপ দিকগুলো কতটা প্রভাবিত করে আপনার জীবনকে? জীবন মানে প্রবাহমানতা। অনন্তকাল ধরে সেটা চলে না এটা যেমন ঠিক এবার যতদিন চলে নানা-ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যায়। জীবন মানে তার সঙ্গে জুড়ে থাকে ভালো এবং খারাপ। আর প্রতিটি জীবনের সঙ্গে তৈরি হওয়া একটা গল্প থেকে সমাজে নানা অধ্যায় তৈরি হয়।
যেমন ধরুন একটা মেয়ে পরিবারে বড় হল, বিয়ে হল, সুন্দর একটা চাকরি পেল , খুব পরিচিত ছিল এইটা পরবর্তীতে সমাজের এক মেয়ের গল্প হয়ে যায়। আবার উল্টোটাও হয় যখন মেয়েরা ধর্ষিতা হয়। সেটাও এই সমাজের এক কাহিনী। আর এইসবের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে ভাল এবং খারাপ বোধগুলো আমাদের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। আর এই সমাজেরই কিছু ভাল ঘটনা যেমন জীবনকে উৎসাহ দেয় আবার খারাপ ঘটনায় মন ভেঙে যায়।
এটাই কি সমাজের ট্রেন্ড হতে চলেছে?
সমাজ মানে অনেকগুলো মানুষ মেনে তৈরি করা একটা গোষ্ঠী। আপনি সেখানে কিছুটা নিজের কথা শুনবেন কিছুটা বাকিদের। কিছু ভালো কথা আসবে কিছু খারাপ কথাও থাকবে। তবে আপনাকে সঠিক যা সেইসব কিছু বেছে নিতে হবে।
তবে এই কথা অস্বীকার করে উপায় নেই যে সমাজের খারাপ জিনিস বা ভাবনার প্রভাব সবার আগে পড়ে। সাম্প্রতিক কালে সবথেকে বেশি করে সামনে এসেছে ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা।।একটা সময় শিক্ষিত থেকে বুদ্ধিজীবী সকলেই ভাবতে বসেছিলেন এটাই কি সমাজের ট্রেন্ড হতে চলেছে?
আঁতকে উঠেছিল সবাই। বিশ্বাস করুন আমরা ব্যক্তিবিশেষে কাউকে আঘাত বা আক্রমণ করছি না। কিন্তু পরিস্থিতি যাই হয়ে থাকুক না কেন ধর্ষণ কখনোই সমর্থন যোগ্য নয়। এই কথাটা জানে না এমন কেউ নেই তবুও ঘটনাটা ঘটেই চলেছে।
আজকে এই জায়গায় কালকে অন্য জায়গায় একবার এই ঘটনা শিরোনামে এলে তারপরের কিছুদিন শিরোনাম হয়ে থাকে নক্কারজনক এই ঘটনাগুলো। এটাকে কি বলবেন সমাজের খারাপ দিকের কুপ্রভাব নাকি সঠিক মানসিকতার অভাব?
খুন জখম রাহাজানির ঘটনা প্রত্যেকদিন আমাদের চোখের সামনে ঘটছে বা কানে শুনতে পাচ্ছি সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে। ব্যাপারটা এরকম হয়ে দাঁড়াবে না তো যে একজন যখন করছে আমিও করে দেখি। চলুন সাংসারিক দাম্পত্যের কথায় আসা যাক।
ডিভোর্সের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, কেন?
আজকাল দেখা যায় ডিভোর্সের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, কেন? বেশিরভাগই তো প্রেম করে বিয়ে তবুও সম্পর্ক টিকছে না কেন? এই সম্পর্কগুলো যেখানে নিদর্শন হয়ে থাকতে পারতো সেখানে শুধুই ভাঙ্গনের প্রতিচ্ছবি হয়ে পড়ে রয়েছে। আর এই ঘটনা যত বেশি করে ঘটছে পরবর্তী প্রজন্ম বিয়ের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে।
আরো পড়ুন – পুরুষেরা মহিলার পাশে থাকতে গেলে সমাজের কটাক্ষর শিকার হতে হয় কেন?
যাকে বলা যায় কুপ্রভাব পড়ছে অন্যান্যদের মধ্যে। আজকাল ছেলে মেয়ে দুজনেই স্বাবলম্বী। ফলে কেউ কারোর কথা শুনতে নারাজ। প্রত্যেকেই যেখানে ভাবছে আমি সেরা সেখানে কারোর সঙ্গে কারোর মতের মিল না হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।
আরো পড়ুন – ক্যান্ডি ফ্লস’ বা ‘কটন ক্যান্ডি’ কিংবা ‘স্পুন সুগার’ বা বুড়ির চুলের আসল রহস্য কি?
এই যে যৌথ পরিবার ভেঙে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি । বৃদ্ধ বাবা মা কে অন্যত্র রেখে আসার ঘটনা বাড়ছে, এগুলো প্রভাব ফেলছে পরবর্তী প্রজন্মের মনে। তারা বুঝেই যাচ্ছে এভাবেই জীবন বাঁচা যায়। তাই তারাও ভবিষ্যতে তাই করছে। বাবা মায়ের পার্টি আর মদের নেশা ছোট্ট বাচ্চাকে কী শেখাচ্ছে কেউ জানে না।
আরো পড়ুন – ১৯০ বছরের জন্মদিন সেলিব্রেশন ব্যাপারটা শুনেছেন? আহা, বয়স তো সংখ্যা মাত্র !
পরে সেই সন্তান বড় হয়ে যখন অন্যায় করছে বিশেষজ্ঞরা তার কারণ খুঁজতে তার অতীতের পাতায় চোখ রাখছেন। আর কত খারাপ হব আমরা? চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেও কী বুঝব যে কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ?