Babies are made in the lab: সমকামী হলেও মা-বাবা হতে কোন বাধা নেই? যুগান্তকারী আবিষ্কার চমকে দেবে আপনাকে! ল্যাবেই জন্মাবে শিশু। আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষায় এই অসম্ভব সম্ভব হয়ে সুখবর রূপে চলে আসবে মানুষের কাছে।
প্রত্যেকেই চান বংশ এগিয়ে যাক কিন্তু তাই বলে ভালোবাসাকে কোন এক লিঙ্গের মধ্যে আটকে রাখাটা খুব একটা উচিত নয়। আজকালকার দিনে সমকামী বিয়ে কিংবা সম্পর্ক নিয়ে মানুষ অনেক বেশী সচেতন। কিন্তু অনেকেই বলেন যে এই ধরণের সম্পর্কে তো সন্তান লাভ হয় না।
তাই এই সম্পর্ক কিছুদিন পর আর তার ভালবাসার জায়গাটুকু ধরে রাখতে পারে না। তবে এবার সন্তান ধারনে আর কোনও বাধা রইল না। আসলে বিজ্ঞান এতটাই দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে তাতে চিকিৎসা বিজ্ঞান একের পর এক উদ্ভাবনী আবিস্কারের মাধ্যমে মানুষের সব দুঃখ কষ্ট দূর করতে পদক্ষেপ করছে।
সমকামী হলেও মা-বাবা হতে পারবেন:
যারা সন্তান ধারন করতে পারতেন না তাঁদের সারা জীবনের আক্ষেপ থেকে যেতো। এমনকি সমাজের কাছেও নানা কটাক্ষ শুনতে হয়। তখন নিজেকে আর ঘুরে দাঁড়ানোর ভরসা দিতে পারেন না কেউই। তবে এবার সুখবর, ল্যাবেই জন্মাবে শিশু। আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষায় এই অসম্ভব সম্ভব হয়ে সুখবর রূপে চলে আসবে মানুষের কাছে।
আপনি ভাবতেই পারবেন না অথচ বিজ্ঞান অনেক কিছু সত্যি করে দিচ্ছে। তেমনি এক ঘটনা সামনে আসতে চলেছে। আপনি জানেন যে বিজ্ঞানীরা প্রতিদিন তাদের নতুন বিস্ময়কর আবিষ্কার দিয়ে বিশ্বকে অবাক করে চলেছেন।
আরো পড়ুন – সমুদ্র মানেই বিশাল বড় বড় ঢেউ! কিন্তু এত ঢেউ সমুদ্র পায় কোথা থেকে?
তবে অবাক করার মতো ঘটনা হল জাপানের বিজ্ঞানীরা আরেকটি আশ্চর্যজনক গবেষণা শুরু করেছেন যার মাধ্যমে ‘ল্যাবে বেবি তৈরি‘র কথা বলছেন তাঁরা (Babies are made in the lab)। মানে সহজ ভাবে বলতে গেলে মানুষের জন্মের জন্যে আর শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর উপর নির্ভর করতে হবে না। আসলে সবটাই হবে একেবারে কৃত্রিম ভাবে।
ল্যাবে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু তৈরির এক্সপেরিমেন্ট সফল:
দীর্ঘদিন গবেশনার পর জাপানি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ল্যাবে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু তৈরির এক্সপেরিমেন্ট সফল হয়েছে। ইতিমধ্যেই ল্যাবে ইঁদুরের শুক্রাণু ও ডিম্বাণু তৈরি করতে পেরেছেন তাঁরা। সুতরাং আগামী ৫ বছরের মধ্যেই এই এক্সপেরিমেন্ট হবে মানুষের ক্ষেত্রেও।
আরো পড়ুন – ধেয়ে আসছে বীভৎস ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ ও ‘তেজ’! দুই বাংলাকে কি তছনছ করতে চলেছে?
সেই হিসেব বলছে আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে ল্যাবে একটি শিশু জন্ম নেবে আর তাতে আলাদা করে মা কিং বাবার প্রয়োজন হবে না। জেনে রাখা দরকার যে গবেষণাগারে মানুষের শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু বৃদ্ধির ক্ষমতাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ইন ভিট্রো গেমটোজেনেসিস (IVG) বলা হয়।
ইন ভিট্রো গেমটোজেনেসিস ঠিক কী?
বিজ্ঞান বলছে একজন ব্যক্তির রক্ত বা ত্বক থেকে কোষ নিয়ে নতুন কোষ তৈরি করা হয়। এই কোষগুলি আসলে ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু কোষ সহ শরীরের যে কোনও কোষে পরিণত হতে পারে। এবার বিজ্ঞানীরা সেই থেকে ভ্রূণ তৈরি করতে এবং মহিলাদের গর্ভে ইমপ্লান্ট করতে সক্ষম।
আরো পড়ুন – My Ami Buggy: পুঁচকে ইলেকট্রিক চারচাকা গাড়ি, বাড়ির ছোটরা এবং মহিলারা আরামসে চালাতে পারবে
এর একটি বড় সুবিধা হল, যে কোনও বয়সের নারীই সন্তানের মা হতে পারবেন। তবে এই প্রযুক্তির সুবিধা পেতে গেলে জীব বৈচিত্র্যের পরিবর্তন ছাড়াও অনেক নীতি-নৈতিকতার বিষয়ও জড়িত,তাই দ্রুত এই পদ্ধতি কার্যকরী হবে কিনান সেটাই দেখার।