Breaking Bharat: প্রেম দিবসেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে ‘২০২৩ ডিডব্লু গ্রহাণু’। ভালোবাসার দিনে পৃথিবীতে শুরু তারাদের যুদ্ধ? কী বলছে NASA?
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ক্যালেন্ডারের তারিখ থেকে হিসেব করা শুরু হয়ে যায় কবে আসবে প্রেম দিবস। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝের এই দিনটি সত্যি সত্যি ভালোবাসার জন্য উৎসর্গ করতে চায় গোটা বিশ্ব। কিন্তু সেই দিন যদি মারাত্মক কোন ঘটনা ঘটে যা কিনা শতকের পর শতক এক রক্তক্ষয় ইতিহাস তৈরি করে দেবে? এটা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়।
কিন্তু এই সংগ্রামে তারাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে মানুষকে সেই দিন আসতে আর খুব একটা দেরি নেই। যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। প্রেম দিবসেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে ২০২৩ ডিডব্লু গ্রহাণু। ১৪ ই ফেব্রুয়ারি সেই ভয়ংকর দিন হতে চলেছে। তবে এমনটা নয় যে এই বছর মানে ২০২৪ এ বা তার পরের বছরেই এমন আশঙ্কা জন্মাবে।
ভালোবাসার দিনে পৃথিবীতে শুরু তারাদের যুদ্ধ?
কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে ২০৪৬ সালের প্রেমদিবসের দিন অর্থাৎ, ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রহাণুটি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়়তে পারে। ভয়ংকর হতে চলেছে সেই দিন।
মাঝেমধ্যে খবরে শোনা যায় যে, পৃথিবীতে ভয়ংকর সব গ্রহাণু ধেয়ে আসছে। আমাদের চিন্তা বাড়তে থাকে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহাজাগতিক ঘটনার প্রত্যক্ষ প্রভাব আমাদের ওপর এসে পড়ে না। কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে প্রত্যেকটা মুহূর্তে চিন্তায় থাকেন কারণ একবার যদি পৃথিবীর সঙ্গে ভয়ঙ্কর কোন উল্কা বা গ্রহানুর সংঘর্ষ হয় তাহলে যে কত বড় বিপর্যয় ঘনিয়ে আসতে পারে তার কিছুটা আন্দাজ হয়তো হলিউড সিনেমায় দেখা গেছে।
২০২৩ ডিডব্লু গ্রহাণুর ব্যাস ৪৯.২৯ মিটার:
বিজ্ঞানীরা বলছেন পৃথিবীর দিকে আবার ধেয়ে আসছে পেল্লাই আকারের এক গ্রহাণু। আপনি হয়তো করতে পারবেন না যে সুইমিং পুলের আকারের এই গ্রহাণুটির আগামী ২৩ বছরের মধ্যে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে। চলতি বছরে খোঁজ পাওয়া গ্রহাণুটির বিষয়ে এখনও পর্যন্ত যেটুকু জানা গেছে এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে বলা যায় যে আগামী ২০৪৬ সালে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন – পৃথিবীর বাইরে এত এত দামি ধাতু? এইসব হাতে পেলে বদলে যাবে পৃথিবীর চেহারা?
এখনও পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন যা জানা যাচ্ছে তার ভিত্তিতে বলা যায়, ‘২০২৩ ডিডব্লু গ্রহাণুর ব্যাস ৪৯.২৯ মিটার‘। আর পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ০.১২ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট । এখনো পর্যন্ত এই গ্রহাণুটি নিয়ে গবেষণা চলছে। যদিও বিজ্ঞানীরা বলছেন যে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা না লাগার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। গোটা বিষয়টা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা সন্ধিহান।
আরো পড়ুন – পৃথিবীর বাইরে এত এত দামি ধাতু? এইসব হাতে পেলে বদলে যাবে পৃথিবীর চেহারা?
আগামী বছর বা এই বছরের শেষের দিকে এমন কোন ঘটনা ঘটতে পারে কি এই প্রশ্ন এসেছিল নাসার কাছে। উত্তরে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২০২৩ ডিডব্লু গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত হানার আশঙ্কা প্রায় ৫৬০ ভাগের এক ভাগ। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে বর্তমানে পৃথিবীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ গ্রহাণুর তালিকা বা ‘টরিনো ইমপ্যাক্ট হ্যাজার্ড স্কেল’-এ এটি এক নম্বরে রয়েছে (asteroid 2023 dw which could crash on earth)।
আরো পড়ুন – শাহরুখ না গৌরী, কার আয় বেশি? কর্তাকে রোজগারে টেক্কা দেন বাদশা পত্নী?
আসলে এই স্কেলে যদি কেউ শূন্য নম্বরে থাকে তাহলে ঝুঁকি নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এই গ্রহাণু একটা শহরকে অনায়াসে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। গবেষকরা বলছেন যে এর অর্ধেকেরও কম আকারের একটি উল্কা বছর দশে আগে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কের বুকে ধেয়ে এসেছিল। সেই অভিঘাতে প্রায় ৫১৭ বর্গকিলোমিটার জুড়ে থাকা বাড়িগুলির জানালার কাচ ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কা বাড়ছে।