Breaking Bharat: নস্টালজিয়ার রাস্তা ধরে অমলিন নটরাজ এবং অপ্সরা পেন্সিল! কীভাবে?
একটা সময় ছিল যখন পেন নয়, পেন্সিলেই ছিল জগত জয়ের অঙ্গীকার। অঙ্ক হোক বা আঁকিবুকি ৬৪ বছর ধরে একই ভাবে রয়ে গেছে ‘নটরাজ এবং অপ্সরা‘। এই দুটো নামেই এক নিমিষে ছোটবেলায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ। ফ্ল্যাশব্যাক ৯০ এর দশক।
বিজ্ঞাপনের জেরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে নানা প্রোডাক্টের।নটরাজ, অপ্সরার নামটাও উজ্জ্বল হতে শুরু করল সেই পথেই। যেন এই পেন্সিল ব্যবহার করলে না পড়েও পাশ করা যায়। চলুন পেন্সিলের যাত্রা পথে হাঁটা যাক এবার।
আসলে পঞ্চদশ শতক। সিমোনিও এবং লিন্ডিয়ানা বার্নাকোটি নামে এক ইতালিয়ান দম্পতির হাত ধরে মানুষের নিত্যদিনের জীবনে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করল পেনসিল। প্রাথমিকভাবে অবশ্য মাত্র একটা কাঠের ফ্রেমবন্দি গ্রাফাইট্ট পেনসিল দিয়ে লেখার কথাই ভাবনা চিন্তার মধ্যে ছিল।
বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে জানা যায় আমেরিকায় পেনসিল বানানো শুরুর পর থেকে বেশিরভাগ পেনসিলের বাইরের রঙ ছিল হলদে। ভারতে প্রথম পেনসিল যাত্রা শুরুকরে ‘হিন্দুস্তান পেন্সিলস্ প্রাইভেট লিমিটেড‘-র হাত ধরে ১৯৫৮ সালে। এই কোম্পানি ‘নটরাজ‘ ব্র্যান্ডের নাম নিয়ে প্রথম পেনসিল তৈরি শুরু করে।
এবার নটরাজ যখন বেশ পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে তখন ব্যবসাতেও নতুন কিছু আবিষ্কার করার লক্ষ্যে ১৯৭০ সালে ‘অপ্সরা‘ নামক ব্র্যান্ড আসে বাজারে। দেশে প্রথম নন-ডাস্ট ইরেজার এরাই নিয়ে আসে। ২০০৭ সালে হিন্দুস্তান কোম্পানি এবার পেন বা কলম নিয়ে আসার কথা ভাবে।
ততদিনে বাজার জাঁকিয়ে বসেছে সবুজ রঙ্গের ২বি, ৪বি, ৬বি । আর সত্যি কথা যারা আঁকতে ভালবাসেন তাদের কাছে আজও অপ্সরার বিকল্প তৈরি হয়নি।
হিন্দুস্তান পেনসিলস প্রাইভেট লিমিটেড লেখাপড়ায় বইখাতার সঙ্গে আনুষঙ্গিক যা যা প্রয়োজন সব মোটামুটি বাজারে এনেছে। কিন্তু সত্যি পেন্সিলের একটা নস্টালজিয়া আজকেও সমান। হয়তো মোবাইলের যুগে পেন্সিল আর শিশুদের মধ্যে উন্মাদনা ছড়ায় না।
কিন্তু আমাদের কাছে এ যেন আজকের দিনেও আলাদা ভাল লাগা। এই পেন্সিল আজ নানা রূপে এসেছে তবে ‘নটরাজ আর অপ্সরা‘ একই ভাবে স্মৃতির অকপটে রয়ে গেছে বৈকি। ফেলে আসা দিন আজও মনে পড়ে, এসবের হাত ধরে।