Breaking Bharat: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে উঠে আসা অরিজিৎ বরাবরই মাটির কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন। না চাইতেই ধরা দেন সাধারণের নাগালে। সম্প্রতি অরিজিৎ সিংকে দেখা গিয়েছিল মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলের সামনে। সেখানেও সাদামাটা পোশাকে সাধারণের সঙ্গে মিশেই ছিলেন। এই মুহূর্তে বলিউডে জনপ্রিয়তায় প্রথমসারিতে জায়গা করে নেওয়া অরিজিৎ (Arijit Singh)। এই সাফল্যের পথ কি আদৌ মসৃণ ছিল?
ব্যর্থতাকে জয় করার আর এক নাম অরিজিৎ সিং! রিয়্যালিটি শো-তে হার থেকে সঙ্গীতপ্রেমীদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নেওয়ার নাম অরিজিৎ সিং! (Melody King Bollywood Singers Arijit Singh)
মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের মানুষ অরিজিৎ। যদিও বলিউডে কাজের সূত্রে তাঁকে অনেকটা সময় থাকতে হয় মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে। কিন্তু তাঁর পরিবারের সদস্যরা মুম্বইয়ের বিলাসবহুল আবাসনে থাকেন না। বরং তাঁরা বেশির ভাগ সময় থেকেছেন জিয়াগঞ্জেই। ২০০৫ সালে ১৮ বছর বয়সে অরিজিৎ গানের রিয়্যালিটি শো ফেম গুরুকুলে অংশ নেন। শো চলাকালীন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালী মুগ্ধ হন বাংলার তরুণটির কণ্ঠে।
আরো পড়ুন- ফের কি পঞ্চম সন্তানের বাবা হতে চলেছে সইফ আলি খান? আর মা হচ্ছেন করিনা!সইফকে বার্তা করিনার
সেই সময় তিনি ‘সাওরিয়া’ সিনেমা তৈরির পরিকল্পনা করছিলেন। সঞ্জয় লীলা বনশয়ালীর থেকে ওই সিনেমায় ‘ইউ শবনমি’ গানটি গাওয়ার প্রস্তাব আসে অরিজিতের কাছে। দুর্ভাগ্যবশত, প্রযোজনার সময় সিনেমার চিত্রনাট্য পরিবর্তিত হলে গানটি আর রাখা হয়নি। ফলে অরিজিতের কণ্ঠে ‘ইউ শবনমি’ কোনওদিন মুক্তিও পায়নি। তাছাড়া বাদ পড়েছিলেন রিয়্যালিটি শো থেকেও। কিন্তু থেমে থাকেননি অরিজিৎ।
তাঁর প্রথম গান ছিল হাই স্কুল মিউজিক্যাল ২ এর ‘অল ফর ওয়ান’। এটি সুর দিয়েছিলেন শঙ্কর-এহসান-লয়। শুধু বড়পর্দা বা অ্যালবামের জন্য নয়, অরিজিৎ সিং গান গেয়েছেন ছোটপর্দার জন্যও। টিভি শো ট্র্যাকে তিনি যেমন গেয়েছেন ‘হাম হ্যায় দিওয়ানে’ বা ‘মধুবালা- এক ইশক এক জুনুন’-এর জন্য তেমনই অরিজিৎ সিংয়ের কণ্ঠ শোনা গিয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সঞ্চালিত ‘দাদাগিরি’-র টাইটেল ট্র্যাকেও।(Arijit Singh is an Indian singer and music composer.)
আরো পড়ুন- রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাট, তাঁদের সম্পত্তি, জীবনযাত্রা ও গাড়িবাড়ির পরিমাণ কত জানেন?
২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘আশিকি টু’-র টাইটেল ট্র্যাক ‘তুম হি হো’ গেয়ে রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান অরিজিৎ সিং। তারপর থেকেই একের পর এক হিট। আর কোনওদিন পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি জিয়াগঞ্জের ছেলেটিকে।
Thank You Houston, Atlanta and Austin for last week.
Looking forward to Washington DC and New Jersey this weekend .. pic.twitter.com/pfiXzKr1Hj
— Arijit Singh (@arijitsingh) May 27, 2022
অরিজিৎ সিংয়ের বাবা পঞ্জাবি, মা বাঙালি। এই যে সুরের প্রতি টান তা মামারবাড়ি থেকেই পাওয়া। অরিজিতের মা ও মামারবাড়ির অন্যান্যরা সকলেই গানের সঙ্গে যুক্ত। তাই ছোট থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার।৩ বছর বয়সে হাজারী ভ্রাতাদের কাছ থেকে অরিজিতের সঙ্গীতের শিক্ষা শুরু। ৯ বছর বয়সে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে প্রশিক্ষণের জন্য সরকারের কাছ থেকে বৃত্তি পেয়েছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন- ‘দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা’ রমরমিয়ে ব্যবসা করে বেরিয়ে যাচ্ছে! যা নিয়ে কিন্তু বেশ চাপে রয়েছেন সলমন খান!
Arijit Singh waiting for her children infant of school gate like normal people pic.twitter.com/NAH7JlhkWb
— Arif Rahaman Mondal (@ArifRahamanMon4) April 15, 2022
বলিউড হোক বা টলিউড, ‘মেলোডি কিং’ হিসেবে আট থেকে আশির মন জয় করে নিয়েছেন অরিজিৎ সিং। রোম্যান্টিক হোক বা ট্র্যাজেডি, তাঁর প্রত্যেকটি গানই যেন মোহের খেলা। তাঁর সুরেলা কন্ঠে গাওয়া প্রতিটি হৃদয় ভাঙার গান বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।