Breaking Bharat: বাজারে নতুন গাড়ি লঞ্চ করতে চলেছে রিলায়েন্স, জানেন কী কী সুবিধা পাবেন তাতে? জানা যাচ্ছে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ব্যাটারি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে।
গাড়ি আর এখনকার দিনে বিলাসবহুল যান বলে পরিচিত নয়। অপটিকের জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন মনে হয় আর হাঁটা পথ নয় গাড়ি করে যাতায়াত করতে হবে। এর মানে এমনটা নয় যে সবটাই বিলাসিতা অনেকটা প্রয়োজন বটে। এবার এই গাড়ির বাজারে একে অন্যকে টেক্কা দিতে বিভিন্ন কোম্পানি মাঠে নেমে পড়েছে।
সাধারণত উৎসবের মরশুম বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের সময় নতুন নতুন ধামাকা দিতে তৈরি হয়ে যায় গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো। এবার বহুল পরিচিত।টাটা মাহিন্দ্রাকে টক্কর দিতে বাজারে নয়া গাড়ি লঞ্চ করতে চলেছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। কোন বিদেশি কোম্পানি নয় একেবারে দেশীয় কোম্পানির এই গাড়ি লঞ্চ করার খবরে রীতিমতো উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।
আম্বানি গ্রুপ মানেই ধনকুবের পরিবারের নানা ব্যবসার কথা মনে আসে। সবকিছুই বোধহয় হয়ে গেছে শুধুমাত্র এই গাড়ির ব্যবসা প্রবেশ করা ছাড়া। অনিল আম্বানির (Anil Ambani) মালিকানাধীন রিলায়েন্স গ্রুপ এবার সেই কাজটাও করতে চলেছে। জানা যাচ্ছে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ব্যাটারি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে (Anil Ambani Wants To Build Electric Cars)।
তবে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বিওয়াইডি (BYD) এর প্রাক্তন কর্মকর্তা সঞ্জয় গোপালকৃষ্ণান। তাই দেশের বাজারে টাটাকে টক্কর দিতে রিলায়েন্স যে জোর কদমে মাঠে নামছে তা বলাই বাহুল্য। এই গাড়ির জন্য ইতিমধ্যে রেজিস্টার করা হয়েছে reliance ইভি প্রাইভেট লিমিটেডকে। বাজেট থেকে শুরু করে সব খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে নজর দেয়া হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে যে ইভি প্ল্যান্টের টার্গেট থাকবে বছরে আড়াই লক্ষ গাড়ি উৎপাদন করা। ভবিষ্যতে এখান থেকে উৎপাদন হবে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ গাড়ি, এমনটাই ভেবেছেন ‘অনিল আম্বানি‘।
রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার এখন বিস্তারিত তথ্য দিতে নারাজ। এটি মূলত অনিল আম্বানির কোম্পানি যিনি মুকেশ আম্বানির থেকে ব্যবসায়িক হিসেব বুঝে নিয়ে ২০০৫ সালে আলাদা হয়ে গেছেন। মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ তেল, গ্যাস, টেলিকম এর মতো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু অনিল আম্বানির সেভাবে সফলতা পাননি।
আরো পড়ুন – Project December AI: মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ! ‘প্রজেক্ট ডিসেম্বরের’ কথা জানলে চমকে উঠবেন
তাই এবার নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে মরিয়া তিনি। শোনা যাচ্ছে তার কোম্পানিটি ১০ গিগাওয়াট/ ঘণ্টা ক্ষমতার একটি ব্যাটারি প্ল্যান্টও স্থাপন করতে চায়। পরে অবশ্য ৭৫ গিগাওয়াট/ ঘন্টা পর্যন্ত যা বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যে আবার খবর মিলেছে যে মুকেশ আম্বানি সম্প্রতি একটি ব্যাটারি উৎপাদনকারী কোম্পানি খুলতে চলেছেন।
আরো পড়ুন – অস্থির বাংলাদেশের দুর্গাপূজা হবে কি? কী হতে চলেছে পদ্মাপাড়ে বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসবের ভবিষ্যৎ?
টেসলা কোম্পানি দ্রুতই ভারতীয় মার্কেটে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করবে। এইসব মিলিয়ে অনিল আম্বানিকে যে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে সেটা এখন থেকেই বেশ বোঝা যাচ্ছে। সকলেই জানেন যে গাড়ির মার্কেটে টাটা হল এমন একটি সংস্থা যা সবথেকে বেশি পরিমাণে ইভি গাড়ি উৎপাদন করছে। গাড়ির দিকে বেশি নজর দিচ্ছে যাতে পরিবেশ দূষণ অনেকটা কম করা যায়।
আরো পড়ুন – বিয়ের মণ্ডপে বরের জুতো চুরি! কী কেলেঙ্কারি তাই না? তাহলে এটা নিয়ে এত উন্মাদনা কেন?
এ কারণে ইভি, ব্যাটারি ও যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়েছে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে ‘মারুতি সুজুকি এবং hyundai ইভি‘ মডেল লঞ্চ করতে চলেছে। তাই গাড়ি প্রেমিক মানুষের জন্য এখন অনেক বেশি সংখ্যায় গাড়ির অপশন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।