Breaking Bharat: শীতকাল মানেই আমলকির গুরুত্ব এত বেড়ে যায় কেন বলুন তো? ফল খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী (amla benefits)। এমনিতেই বলা হয় খালি পেটে জল আর ভরা পেটে ফল শরীরকে সুস্থ আর সুন্দর রাখে। প্রতিটি ফলের আলাদা আলাদা করে বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে বা শরীরকে সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা নেয়।
আমলকিকে কেন অমৃত ফল বলা হয়?
কিন্তু আপনি কি জানেন অমৃত ফল বলে একটি ফল আছে যার মাহাত্ম্য শীতকালে ভীষণভাবে বেড়ে যায়। শিরোনামে অবশ্য নামটা উল্লেখ করা আছে অর্থাৎ আমলকি। নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন যাচ্ছে আমলকিকে কেন অমৃত ফল বলা হয়, উত্তর দেব আমরা।
অমৃত মানেই যা অবিশ্বাস্য রকমের পবিত্র ভালো ঠিক এভাবেই শাস্ত্র ব্যাখ্যা করা হয়। যেমন দেখুন অমৃত কথা , অমৃত বাণী ইত্যাদি। আবার খুব ভালো খাওয়া দাওয়া মানে রান্নাবান্না হলেও সেই স্বাদ অমৃতের মতো এ কথাও বলে থাকেন অনেকের। ভাষাগতভাবে অর্থ করতে গেলে অমৃত অর্থাৎ যা পান করলে বা খেলে মৃত্যু হয় না। আমলকি কি ঠিক সেরকম কাজ করে?
- আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, আমলকি কিভাবে খেতে হয়? আমলকির পুষ্টিগুণ, আমলকির ব্যবহার, আমলকির গুনাগুন ও আমলকি কখন পাওয়া যায়? চলুন সবটাই জানা যাক এই প্রতিবেদনে!
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা:
আগেকার দিনের মানুষ সব সময় ভালবাসতেন আয়ুর্বেদে ভরসা রাখতে। তখন এতটা পরিমাণ এলোপ্যাথিক বা হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার প্রচলন ছিল না। যদি দেখেন মা ঠাকুমার আমলেও গাছের শিকড় ডাল এই সব থেকেই প্রথম তৈরি করার একটা প্রচেষ্টা থাকতো।
সুতরাং এই সমস্ত উদ্ভিদের মধ্যে নিঃসন্দেহে প্রচুর পরিমাণে ভেষজ গুণাবলী থাকতো তবেই তাকে চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হতো। আমলকির গুণের বর্ণনা করতে গেলে এক কথায় তা বলে শেষ করা যাবে না। এটা এমন একটা ফল যা রক্তকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। রক্ত যদি দূষিত হয় তাহলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায়।
রোজ একটা করে গোটা আমলকি যদি খাওয়া যায় কিছুটা হলেও ইমিউনিটি পাওয়ার বা দেহের মধ্যে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে তা অনেক বেশি করে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। ওষুধ খেলেই তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে যার জেরে আপনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
আরো পড়ুন – Source of Fire: আগুনের উৎস কী? এই আগুনে পুড়েই তো সব ছারখার! তাহলে জানুন বিস্তারিত
এই যে ঠান্ডা আসছে একটু একটু সর্দি কাশি ছোট থেকে বড় সবার লেগেই থাকে। সেই সময় যদি আপনি গাদা গাদা ওষুধ খান তাহলে তার রিঅ্যাকশন পরে হয়। আপনি কি জানেন আধুনিক যুগের ডাক্তাররাও বলে থাকেন যে যাদের ঠান্ডার সময় রোগে পড়ার প্রবণতা বেশি, তারা রোজ এক চামচ আমলকির রসে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
আরো পড়ুন – Taro Leaves: বৃষ্টি পড়লে কচু পাতা মাথায় চাপা দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন? কিন্তু কচু পাতায় জল ধরে না কেন?
এতে সমস্যা থেকে সমাধান মিলবে দ্রুত। আমলকি খেলে শরীর ভিটামিনে সমৃদ্ধ হয়, আপনার ত্বক এবং চুলকে পুষ্টি দেয় আমলকি। ভিটামিনের অভাবে শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা হয়। মুখের ভেতর ঘা বা আলসার দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে আমলকি খেলে উপকার মেলে। আমলকি হৃদপিন্ডের কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত আমলকির রস খেলে কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরো পড়ুন – Fruit stickers: ফলের গায়ে লাগানো স্টিকার বলে সেটি কতটা বিশুদ্ধ আর টাটকা?
হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকটা কমে। এছাড়া যারা ডায়াবেটিস রোগী তারা যদি আমলকি রস খান তাহলে রক্তে অতি শর্করার মাত্রা ব্যালেন্স হয়ে যায়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে আমলকি রস আপনার পরিপাকতন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায়। তাই খাবার খাওয়ার পর দু-এক টুকরো আমলকি মুখে চিবোতেই পারেন।
আরো পড়ুন – BSNL এর প্ল্যানের ঠেলায় ছিটকে গেল জিও এয়ারটেল? এক রিচার্জে সারা বছর আনলিমিটেড কল?
আজকাল অবশ্য আমলকির গুঁড়োও বাজারে পাওয়া যায়। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চোখ বা দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে আমলকি দারুণ কার্যকর। তাই ছোট থেকে নিজের বাড়ির শিশুসন্তানকে আমলকি রস খাওয়ান তাহলে আর সে চশমা পড়ে পড়াশোনা করছে এই দৃশ্য আপনাকে দেখতে হবে না। দেরি না করে আমলকির অমৃত গুণকে উপলব্ধি করে নিজের রুটিনে তাকে যোগ করে ফেলুন দেখি, শীতকালে আমলকি ভীষণ সস্তা।