Amish Women Rules: মেয়েদের চুল কাটতে গেলে কঠিন শাস্তি? কেন নিজের ইচ্ছেয় চুল কাটতে পারেন না মহিলারা? চুল কাটলেই বিপদ! মেয়েদের চুল কাটা নিয়ে এত কঠিন নিয়ম কিসের বলতে পারেন ? মাথার চুল কাটা তো দূরের কথা গায়ের লোম পর্যন্ত এতোটুকু কম হলে সেখানে মেয়েদের কঠিন শাস্তি পেতে হয় এমন ঘটনার নজিরও রয়েছে (Not Allowed To Cut Hair)।
নারী সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে গেলে পাতার পর পাতা শেষ হয়ে গেলেও লেখা যেন শেষ হতে চাইবে না। নারীর সৌন্দর্যের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম তার কেশ বা চুল। প্রাচীনকালে হাঁটু বা কোমর পর্যন্ত লম্বা চুল আজও অনেকের মধ্যেই দেখা যায়।
মেয়েদের চুল কাটতে গেলে কঠিন শাস্তি?
আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেকে আবার যুগোপযোগী করে নিজের হেয়ার স্টাইল ঠিক করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন ‘মেয়েদের চুল কাটতে গেলে কঠিন শাস্তি’ পাওয়ার মত নজিরবিহীন ঘটনার নজিরও এখনো রয়ে গেছে?
এই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিশ্বাস আর বিজ্ঞানের লড়াই প্রতিমুহূর্তে চলতে থাকে। ধর্মের নামে অন্ধবিশ্বাস কুসংস্কার তো রয়েছে। এমন কিছু নিয়ম আজও পৃথিবীর বুকে রয়ে গেছে সমাজের অন্যতম পরিচালন হিসেবে যার মূল্য দিতে হয় সাধারণ মানুষকে বিশেষ করে মেয়েদের।
কেন নিজের ইচ্ছেয় চুল কাটতে পারেন না মহিলারা?
আজকের যুগে দাড়িয়েও সেটা সমানভাবে প্রযোজ্য। মাই লাইফ মাই রুল, অর্থাৎ আমার জীবনে আমার শরীরে আমার অধিকারের কথা যখন বিশ্বজুড়ে গলা ফাটিয়ে বলছেন মেয়েরা, সেখানে দাঁড়িয়ে আজও ধর্মের দোহাই দিয়ে ভুল বোঝানো এবং মেয়েদের উপর নিয়ম চাপিয়ে দেওয়াও চলছে রমরমিয়ে।
আরো পড়ুন – স্তন ক্যান্সার! ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়, বলছেন ডাক্তাররা। জেনেনিন কিভাবে?
একেক ধর্ম একেক রকমের নিয়ম বলবৎ করে সেই ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের ওপর। মাথার চুল কাটা তো দূরের কথা গায়ের লোম পর্যন্ত এতোটুকু কম হলে সেখানে ‘মেয়েদের কঠিন শাস্তি‘ পেতে হয় এমন ঘটনার নজিরও রয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে ঠিক এই নিয়মই মেনে আসছেন সেই ধর্মের মহিলারা। আপনি জানলে সত্যিই অবাক হবেন নিজের ইচ্ছেয় চুল কাটতে পারেন না আমিশ মহিলারা (Amish Women Rules)। এই সম্প্রদায়ের নিয়ম এতটাই অদ্ভুত। এক্ষেত্রে তারা বাইবেলের নিয়ম অনুসরণ করেন বলে প্রচলিত বিশ্বাস আছে।
আরো পড়ুন – স্বামীর কষ্টের রোজগার হেলায় শেষ করে দিচ্ছে স্ত্রী? ‘অসহায় পুরুষেরা’ কী করবেন জানেন?
‘আমিশ মহিলাদের’ ক্ষেত্রে রয়েছে আরো একাধিক নিয়ম:
- এই ধর্মে মহিলাদের জীবনধারণের ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়ম আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, হাত-পা ঢেকে রাখার জন্য, ‘আমিশ মহিলারা‘ এক বিশেষ ধরনের পোশাক পরেন। প্রায়ই ফুল স্লিভ পোশাক পড়তে দেখা যায় তাদের যার ঝুল প্রায় পা পর্যন্ত হয়।
- এখানেই শেষ নয় দু পায়ের পায়ে গাঢ় রঙের মোজা পরেন এই সম্প্রদায়ের মহিলারা।
- বেশ কিছু নিয়মের মধ্যে আলোচনা শিরোনামে উঠে এসেছে যে নিয়মগুলি তার মধ্যে অন্যতম চুল কাটতে না দেওয়া বা সব সময় মাথা ঢেকে রাখার নিয়ম।
- পাশাপাশি বাইরে বেরোলে চুল খুলে রাখা যাবেনা আর সব সময় চুল বেঁধে রেখে কাজকর্ম করতে হবে। চুল কাটতে না দেওয়া মানে বড় চুলের অপরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। সেক্ষেত্রে শ্যাম্পু ব্যবহারে ছাড় দেওয়া হয়। বিশেষ কোন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে এইরকম বাধ্যবাধকতা অবশ্যই নেই (Amish hair rules)।
- আরো একটা বিষয়ের লক্ষ্য করার মতো। যেহেতু মহিলাদের আন্ডার আর্মস শেভ করার অনুমতি নেই, তাই ঘাম বেশি হয় তাঁদের। হলে যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সে কারণে নানা ব্র্যান্ডের সুগন্ধি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় এই সম্প্রদায়ের মহিলাদের।
এতে কোথাও গিয়ে যেন ধর্ম আর বিশ্বাসের নামে কিছুটা স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তরও দেখা যায় বলে মনে করেন সমাজতাত্ত্বিকরা। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে একেক জন মানুষের মতামত এক এক রকম। অদ্ভুত সব নিয়ম বটে যার প্রকৃত কোন যুক্তি নেই বললেই চলে।
আরো পড়ুন – Cutting Trees: বিনা প্রয়োজনে ‘গাছ কাটার শাস্তি’ যে কি ভয়াবহ হতে পারে জানেন কি?
- যেমন ধরুন কারও যদি চুল যদি খুব ঘন হয়, তবে তাঁকে চুল পাতলা করার চিরুনি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয় যাতে মাথার ভার কিছুটা হালকা হয়।
বুঝুন অবস্থা! কোন বিশ্বাসকে আঘাত করা নয়। তবে হ্যাঁ অন্ধ বিশ্বাস আর অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া কখনোই উচিত নয় ।
আমরা এই ধর্মের নিয়মের সত্যতা যাচাই করি নি। তবে লোকমুখে এমনটাই প্রচারিত যা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।