Breaking Bharat: ধন দৌলত চুরি এক জিনিস, তাই বলে বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ব্রেইন চুরি? এও সম্ভব? (Einstein brain) এই দুনিয়ায় সব সম্ভব, কারণ অসম্ভব কথাটার কোনও অস্তিত্ব নেই এখনকার যুগে।
এই যেমন ধরুন আপনি যদি শোনেন কারোর মাথা মানে ‘মস্তিষ্ক চুরি হয়েছে‘, তাহলে কী ভাববেন? গল্প নয় সত্যি কথা। মস্তিষ্ক চুরি হয়েছে বটে আর সেটা বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের (Scientist Einstein)।
অতবড় বিজ্ঞানী তাঁর মাথার দাম কত ভাবুন?
মূলত ‘গবেষণার জন্যই চুরি যায় মস্তিষ্ক’ (albert einstein brain stolen)। কিন্তু মাথা কী করে চুরি হবে? আইনস্টাইন চেয়েছিলেন যেন তাঁর মৃত্যুর পর স্বাভাবিক শবদাহ প্রক্রিয়া পালন করা হয়। তাঁর মৃত্যুর পর প্রিন্সটন হাসপাতালের প্যাথোলজিস্ট ডঃ টমাস হার্ভিকে আইনস্টাইনের মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করতে বলা হয়।
তিনি চাননি পৃথিবীর এত মহান মানুষের বিস্ময়কর ব্রেন হাতছাড়া হয়ে যাক (Albert Einstein’s brain different)। তাই তিনি আইনস্টাইনের মৃত্যুর সাত-সাড়ে সাত ঘণ্টার মধ্যেই ‘আইনস্টাইনের ব্রেইন‘ মাথা থেকে বের করে ফেলেন! সাথে তাঁর দুটি চোখও বের করে নিয়েছিলেন!
যা প্রিজারভেশন জারে করে পরবর্তীতে আইনস্টাইনের চোখের ডাক্তার ডঃ হেনরি অ্যাব্রামসের কাছে হস্তান্তর করেন। এই বিষয়ে এখনও ধারণা করা হয় তাঁর চোখ নিউইয়র্কে কোন সেফটি লকের ভেতর সংরক্ষিত আছে। তবে ডঃ টমাস হার্ভিকে অনেকেই চোর বলেন কারণ কাজটা অনৈতিক ছিল।
যদিও আইনস্টাইনের পরিবারকে বোঝাতে তিনি পরে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে তিনি ব্রেইন চুরি করেননি। তিনি ব্রেইন বের করে নিয়েছেন বিজ্ঞানের স্বার্থে গবেষণার জন্য! যাতে মানব জাতির কল্যাণ হয় (Scientists study Einstein’s brain)।
বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের সেই ব্রেন নিয়ে হল টা কী?
আসলে ডঃ হার্ভি ছিলেন প্রথম এবং শেষ ব্যক্তি যিনি ইতিহাসের সব থেকে বিখ্যাত ব্রেন সম্পূর্ণ অবস্থায় হাত দিয়ে ধরেছিলেন। কারণ, তিনি প্রথমে সম্পূর্ণ ব্রেইনের সব অ্যাঙ্গেল থেকে বেশ কিছু ছবি তুলে নেন এবং তারপর ব্রেইনটিকে (Einstein brain) ভাগ করে ফেলেন ২৪০টি ব্লকে!
পরবর্তীতে ব্রেইনের আলাদা আলাদা অংশের কথা মাথায় রেখে এই ব্লক থেকে এক হাজারেরও বেশি স্লাইড তৈরি করেন তিনি। এরপর এই স্লাইডগুলোকে আলাদা আলাদা ভাবে বাক্সবন্দী করে পাঠিয়ে দেন পুরো পৃথিবীর নানা দেশের গবেষকদের কাছে। আর তারপর থেকেই গবেষণা শুরু সাধারণ মস্তিষ্ক আর আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের মধ্যে।
আরো পড়ুন- Brainwashed Symptoms : মগজ ধোলাই মনে আছে? সেটাই কি এখন নাম পাল্টে হয়েছে ব্রেন ওয়াশ?
গবেষণা করে জানতে পারা যে সাধারণ মানুষের IQ গড়ে ৯০-১১০ এর মধ্যে থাকলেও আইনস্টাইনের IQ ছিলো ১৬০-১৯০। অথচ তার ব্রেইনের সাইজ ছিল সাধারণ মানুষের ব্রেইনের তুলনায় ছোট (albert einstein brain)।সুতরাং এখান থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় যে, মেধা কিংবা চিন্তা করার ক্ষমতার সাথে মস্তিষ্কের আকার অথবা ভরের কোনো সম্পর্ক নেই।
আরো পড়ুন- Hemorrhoids Treatment: কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগেন? মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ছে? অর্শ হয় নি তো?
আরো পড়ুন- হঠাৎ মাংস পেশি বা শিরায় টান ধরল, বা রগে টান লাগলে কী করা উচিত?
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ব্রেনের সেরিব্রাল কর্টেক্স মস্তিষ্কের বাকি অংশগুলোর থেকে অনেক পাতলা ছিলো এবং নিউরনের অস্বাভাবিক ঘনত্ব লক্ষ্য করা যায় তাতে (albert einstein brain usage percentage)।
আর অদ্ভুত বিষয় হল এই ব্রেন বয়সের তুলনায় আচরণে অনেক তরুণ বা নবীন ছিল। তবে যেহেতু জানার কোনও শেষ নাই, তাই গবেষণা আজও চলছে।