Breaking Bharat: মানুষের মাথার কথা বুঝবে মেশিন? কি বলছে AI? সব ধরণের প্রতিকূলতা কাটিয়ে তুলতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আনছে এক নয়া চমক। জানুন বিস্তারিত
আজকের দিনে প্রযুক্তির কথা বলতে গেলেই সবাই লাফিয়ে ওঠে। আসলে এখনকার দিনে যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে গেলে আপনাকে প্রযুক্তির সঙ্গে একটা আলাদা বন্ধুত্ব করতে হবে। আপনি কি জানেন আরটিফেসিয়াল ইন্টালিজেন্স কে কাজে লাগিয়ে আজ চিকিৎসা বিজ্ঞান একদম অন্য জায়গায় পৌঁছে গেছে।
এবার সেই তালিকায় জুড়েছে অভিনব প্রযুক্তি ‘সেমান্টিক ডিকোডার‘ (Semantic decoder technology) এর নাম। যারা শারীরিক প্রতিবন্ধি তাঁদের জন্য এই প্রযুক্তি যথেষ্ট কার্যকরী হতে চলেছে। দেখুন মানুষ কী ভাবছে সেটা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রযুক্তি কখন যে কী কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলতে পারে সেটা কিন্তু স্বয়ং ঈশ্বরও জানতে পারেন না।
তবে এই নতুন প্রযুক্তি দারুণ চমক আনছে আপনার জন্য। এতে আপনার মনের কথা মানে মাথা কী ভাবছে সেটা কাগজের পাতায় প্রকাশ করা সম্ভব ।
AI প্রযুক্তির দ্বারা ব্যক্তির চিন্তাভাবনার সারাংশ তৈরি:
দেখুন শারীরিক সমস্যা থেকে মাঝে মাঝেই এমন মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয় যে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে যাঁদের কথা বলার শক্তি সম্পূর্ণ হারিয়ে যায় তাঁদের জন্য এই নয়া প্রযুক্তি যথেষ্ট কার্যকরী। মানে এই ধরণের প্রতিকূলতা কাটিয়ে তুলতে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স‘ এক নয়া চমক আনছে।
আরো পড়ুন – Women’s Beauty: মহিলারা কেন নিজের মুখে সৌন্দর্যের রহস্য স্বীকার করতে চান না জানেন?
যারা কথা বলতে পারেন না বা নিজের কথা প্রকাশ করতে পারেন না, এবার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছাড়াই তাঁদের মনের কথা লেখায় তুলে ধরা যাবে। খুব একটা নিখুঁত না হলেও ‘AI প্রযুক্তি‘ সফলভাবে ব্যক্তির চিন্তাভাবনার সারাংশ তৈরি করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির নাম সেমান্টিক ডিকোডার (AI ‘Brain Decoder’ System Translates Human Brain Activity)।
আরো পড়ুন – বিরাট কোহলির জঘন্য হার! অনুষ্কা শর্মার জন্যই বিশ্ব টেস্টের ফাইনালে হেরেছে ভারত?
এখানে আসলে এক ধরণের এফএমআরআই স্ক্যানার ডেটা ব্যবহার করা হয়। মানে ধরুন এই প্রযুক্তি আংশিকভাবে ট্রান্সফরমার মডেলের উপর নির্ভর করে। যা ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি এবং গুগল বার্ডেও রাখা হয়েছে । এটা আসলে একটা ডিকোডিং সিস্টেম যার সুবিধা হল এটিতে অন্যগুলির ্মতো অপারেশনের প্রয়োজন হবে না। আবার নির্ধারিত কোনো তালিকা থেকে শব্দ ব্যবহার করতে হয় না।
কী ভাবে মস্তিষ্কের ভাবনা লেখায় প্রকাশ হয়?
এই বিষয় নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করছেন গবেষকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন শব্দ প্রতিলিপি নয় বরং এই সিস্টেম এমন ভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে যাতে ব্যক্তির চিন্তাভাবনার সম্পূর্ণ সারাংশ প্রকাশ করা সহজ হয়। নিউরোসায়েন্স এবং কম্পিউটার সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক অ্যালেক্স হুথ এই বিষয় নিয়ে আশাবাদী, তিনি বলেন, নন-ইনসেসিভ পদ্ধতির ক্ষেত্রে আগে যা করা হয়েছে তার থেকে এটি অনেক বেশি বাস্তব।
আরো পড়ুন – প্রায় তিন যুগের কাছাকাছি সময়ের পর ফের পর্দায় অমিতাভ – রজনীকান্ত?
আসলে যখন একটি ডিকোডারকে মানুষের মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ নিরীক্ষণ করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তখন মেশিন এমন লেখা তুলে ধরার চেষ্টা করে যা আসলে ঐ ব্যাক্তির ভাবনার উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিলতে পারে। ভেবে দেখুন কোথায় এগিয়ে চলেছে বিশ্ব।