Breaking Bharat: ইনজেকশন নিতে ভয় পান? তাহলে এবার আপনাকে ভয় কাটাবার উপায় বলব আমরা! শরীর সুস্থ থাকুক এটাই সবাই চায়। কিন্তু মাঝে মাঝে শরীর বিগড়ে যায় বটে। তখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এবার ডাক্তার যদি ওষুধ দেন তো ঠিক আছে।
কিন্তু যদি ইনজেকশন দেন তাহলে অনেকেরই তখন আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার উপায় হয়। কিন্তু এই ভীতি থেকে বেরোনোর উপায় কী সেটা জানতে হবে আপনাকে।
আসলে ভয় আমাদের মস্তিষ্কের একটা অনুভুতি বটে। যেটা হরমোনের ক্ষরণের কারণে হয়। আর এটা একটা ইনসিকিওর অনুভূতি । বিহেভিয়ার থেরাপি বলে একটা ব্যাপার সাইকোলজি তে। যার কারনে মানুষের ব্যবহারের পরিবর্তন হয়ে যায়। আর মস্তিষ্ক যদি একবার কোনও অবজেক্ট কে ভয় বলে বিশ্বাস করে নেয় তবে সেই ভীতি কাটিয়ে ওঠা খুব কঠিন।
ইনজেকশন নিতে ভয় পান?
এর কিছু উদাহরন দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আসলে। ‘ইনজেকশন ব্যাপারটা হলো দেহে সূঁচ ফোটানো‘। রক্ত নেওয়ার সময় যেমন ওইভাবে সূঁচ ফুটিয়ে রক্ত টেনে নিতে হয়, ইনজেকশনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। সিরিঞ্জ নিয়ে তাতে ওষুধ ভরে এরপর হাত বা কোমরে সেই ওষুধ প্রবেশ করাতে হয়।
এখন যিনি ইনজেকশন দিচ্ছেন তিনি কীভাবে কোন পদ্ধতিতে সেই ইনজেকশন প্রয়োগ করছেন তার উপর ভীতি তৈরি হওয়ার একটা প্রবণতা বা কারণ সৃষ্টি হয়। তাই এক্ষেত্রে ভালো ইনজেকশন যিনি দিতে পারেন তার থেকেই ইনজেকশন নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
টেডব্যাক জাতীয় ইনজেকশন নিলে এই সমস্যা:
আসলে।কথায় কথায় গল্প ছলে যে কাজ করা যায় তার জন্য প্যানিক তৈরি হওয়া মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। একটা সূঁচ দেহে প্রবেশ করলে খুব যে।ব্যথা যন্ত্রণা হয় তেমনটা নয়। আসলে যন্ত্রণা হতে পারে ইনজেকশন দেওয়ার পরে। বিশেষ করে টেডব্যাক জাতীয় ইনজেকশন নিলে এই সমস্যা হতে পারে। কিছু ইনজেকশন শিরায় এবং কিছু ধমনীতে দেওয়া হয়। সেই মতো ব্যথার প্রকারভেদ হতে পারে।
আরো পড়ুন – নিয়মিত আই ব্রো করান তো? মাথার চুল বড় হয় কিন্তু চোখের ভ্রু বড় হয় না কেন?
যখন ইনজেকশন নেবেন তখন ঐদিকে মন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ডাক্তাররা যখন শিশুদের ইনজেকশন দেন তারা নানা গল্প করে কথায় ভুলিয়ে সেই বাচ্চার মন অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখেন। ফলে মস্তিষ্ক তখন অন্য ভাবনায় ব্যস্ত থাকার দরুণ ইনজেকশনের কথা ভুলে যায়।
আরো পড়ুন – আপনার কি ঝাল লেগেছে? অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে? আপনি জানেন যে ঝাল খেলে অনেকের ঘাম ঝরে?
ইনজেকশন দেওয়ার সময় ব্যথা বা যন্ত্রণা?
অনেকে আবার বলেন চোখ বুজে রাখলে বুঝি এই যন্ত্রণা কম হয়। এটা কথার কথা। আসল ব্যাপারটা হল মন ডাইভার্ট করে রাখা সেটাই দরকার। আর একটা কথা, যাদের মেডিসিনজনিত প্রশিক্ষণ আছে তাদের থেকেই ইনজেকশন নেওয়া প্রয়োজন।
আরো পড়ুন – হেসে খেলে জীবন! কিন্তু হাসি পায় কোথা থেকে সেটা জানা আছে কি?
হাতুড়ে কারোর থেকে ইনজেকশন নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি। তাই সজাগ থাকুন আর বিজ্ঞান কে মান্যতা দিন। ইনজেকশন দেওয়ার সময় মারাত্মক ব্যথা বা যন্ত্রণা কোনোটাই হয় না। তাই ভুল ভাবনা ভাবতে মস্তিষ্ককে প্রশ্রয় দেবেন না।।