Breaking Bharat: আপনার স্ত্রী কি আপনার থেকে বয়সে বড়? একাধিক সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে বুঝি? কী সুবিধা পাবেন সেটা জানেন? পুরুষের কি বেশি বয়সী মেয়েকে বিয়ে করা উচিত?
ছোট থেকে একটা ধারণা নিয়ে বড় হয় প্রতিটি ছেলে এবং মেয়ে। সেই ধারণাটা বিয়ে সম্পর্কিত। অর্থাৎ বিয়ে হবে ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে আর ছেলের বয়স মেয়ের থেকে বেশি হতে হবে। এবার আপনি যদি বাড়ির গুরুজনদের প্রশ্ন করেন কেন এমন ব্যাপার স্যাপার, তাহলে এমন কিছু যুক্তি তারা দেবেন যেগুলো সহজে খন্ডন করতে পারবেন না।
প্রেমিকা বা স্ত্রী বয়সে বড় হলে:
তবে ইদানিংকালে ব্যতিক্রম আছে সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই কিন্তু ওই যে প্রতিবেদন ব্যাতিক্রমকে কেন্দ্র করে হচ্ছে না। তাই যেটা সহজাত চিন্তা-ভাবনা বা সমাজে ঘটে আসছে সেটা কথাই বলছি আমরা। বয়সে বড় মেয়েকে বিয়ে করাটা এই সমাজ পরিবার খুব একটা ভালো চোখে দেখেনা। তাদের মতে অনেক সমস্যা হতে পারে। চলুন আমরা একটু বোঝার চেষ্টা করি কী কী সমস্যা আর কী কী সমাধান আমরা পেতে পারি।
একটা মেয়ে তার চিরাচরিত জীবনের অভ্যাসগুলো ছেড়ে নতুন পরিবারে সবকিছু মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কাজটা সহজ নয় তবু তাকে লড়াইটা করতে হয়। বসে থেকে বড় মেয়েকে বিয়ে করলে কী সমস্যা হয় সেদিকে প্রথমে চোখ রাখি তারপর সুবিধাগুলোর কথা বলব আপনাকে।
পুরুষের কি বেশি বয়সী মেয়েকে বিয়ে করা উচিত?
বিবাহিত জীবনের অন্যতম একটা লক্ষ্য হলো যৌন চাহিদা পূরণ। মনে করা হয় বিজ্ঞানসম্মত কারণেই মহিলাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌন চাহিদা কমতে থাকে। যদিও পুরুষদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত তা বর্তমান থাকে। তাই সেক্ষেত্রে এটা একটা সমস্যা হতে পারে যা পরবর্তীকালে পারিবারিক দাম্পত্যে ফাটল ধরাতে পারে বলে ইঙ্গিত করেন বাড়ির বড়রা।
মূলত এটাই প্রধান কারণ এবং এর দিকেই সমাজ বারবার করে আঙুল তোলে। এছাড়া বয়স বিয়ের ক্ষেত্রে অন্য কোন বাধা হতেই পারে না। সুতরাং বুঝতেই পারলেন সবটারই মূল উদ্দেশ্য সন্তান উৎপাদন অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তবে এখানে যেটা বলার দরকার সেটা হল মোদ্দা কথা হলো ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হওয়া।
দুটো মানুষ একে অন্যের সঙ্গে এক ছাদের তলায় বাস করতে গেলে তাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব সাথে অবশ্যই শ্রদ্ধার এক আত্মিক টান থাকা দরকার। দুজন মানুষ যদি একে অপরকে শ্রদ্ধা না করতে পারেন তাহলে তারা একে অন্যকে অসম্মান করে জীবন কাটাতে পারবেন কি?
আরো পড়ুন – উপার্জন করা সত্ত্বেও কেন সবাই বড়লোক হতে পারে না বলুন তো?
মনস্তাত্ত্বিকরা বলেন মহিলারা তাদের বয়সের থেকে দু বছর বেশি পরিণত মস্তিষ্কের অধিকারী হন। মানে ধরুন কোন মহিলার বয়স ২৫ তার ভাবনা চিন্তা ২৭ বছর বয়সী মহিলার মত হয়। পুরুষের ক্ষেত্রে সেটা হয় না অর্থাৎ ৩০ বছরের যুবক তিরিশ বছরের যুবকের মতই ভাবনা চিন্তা করেন।
সেক্ষেত্রে বয়সে বড় মহিলা যদি সহধর্মিনী হয় তা বাড়তি একটা গাইডেন্স বটে। হ্যাঁ আমরা এবার ভালো দিকগুলোর কথাই বলছি। যদি আপনার থেকে বয়সে ছোট হন আপনার স্ত্রী তাহলে প্রত্যেকটা মুহূর্তে তাকে ভালোবাসার পাশাপাশি স্নেহ দিয়ে একটু একটু করে পরিণত করতে হবে আপনাকে ।
আরো পড়ুন – মেয়েদের বয়স জিজ্ঞাসা করেন কি? একবারও ভেবে দেখেছেন এটা করলে মেয়েরা কেন রেগে যায়?
একটা সময় পরেই সেটা ক্লান্তিকর হয়ে উঠতেও পারে। কিন্তু প্রতিটা ছেলেই তার মা অন্ত প্রাণ হয় আর একটু বেশি বয়সী মহিলা যদি সঙ্গিনী হয় তাহলে কোথাও একটা মায়ের মত স্নেহের পরশ সহধর্মিনীর কাছ থেকেই পাওয়া যায়। ক্লান্ত বা পরিতক্ত মনে সেই মাথায় হাত বোলানো ওষুধের মত কাজ করে।
আপনার সহধর্মিনী যদি বয়সে বড় হন তাহলে কোন কিছু বোঝানোর ক্ষেত্রে আপনাকে বেশি পরিশ্রম করতে হবে না তিনি বুঝতে পারবেন। অকারণ সন্দেহ সম্পর্ককে তিক্ত করবে না। যেকোনো বিষয়ে একজন গার্জিয়ানের মত পরামর্শ পেতে পারেন যেটা কিন্তু অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যুগলের দাম্পত্যে।
আরো পড়ুন – ঘুষ খাওয়া অপরাধ নয়, প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া অপরাধ হতে পারে? ঠিক বললাম তো?
বাকি থেকে যায় প্রতিবেশীদের এটা ওটা কথা শোনা । সেটা নিন্দুকের কাজ নিন্দা করা, তাকে আটকাতে পারবেন না। তবে বয়সের ছোট মেয়েকেই বিয়ে করতে হবে বলে চিরকাল চলে আসা ভিত্তিহীন যুক্তিকে প্রশ্রয় দেবেন না প্লিজ।