Breaking Bharat: রবিবার সূর্যের পথে পাড়ি দিয়ে কতদূর যাবে আদিত্য এল ওয়ান? নাসার মহাকাশযান কি সত্যিই এখন সূর্যতে? দেখতে দেখতে প্রায় আট দিন কেটে গেল। চাঁদের মাটিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারতের রোভার। চন্দ্রযান তিনের সাফল্যের উচ্ছসিত গোটা দেশ। এবার সূর্যের দেশে পাড়ি দেওয়া। শনিতেই রবির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে আদিত্য এল ওয়ান।
এখনো পর্যন্ত জানা যাচ্ছে চন্দ্রযানের মতোই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে আদিত্য-এল১ মিশনের যাত্রা শুরু হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে ইসরোর তরফে। এই সৌর মিশনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত আদিত্য-এল১ স্যাটেলাইট ও সেটির বাহন পিএসএলভি-সি৫৭ রকেট।
এই রকেট ঠিক মতো কক্ষপথে এগোচ্ছে কিনা তার দায়িত্বভার আবার রয়েছে এক বাঙালি বিজ্ঞানীর হাতে, যিনি নদীয়ার বাসিন্দা। নাম বরুণ বিশ্বাস। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে এখন ইসরোতে।
সত্যিই কি সূর্য পর্যন্ত যাবে এই মহাকাশযান?
শনিবার বেলা দ্বিপ্রহরের আগেই মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ। আদিত্যর উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে মহাকাশযানের নামও আদিত্যই রাখা হয়েছে।পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল বা পিএসএলভি-লি৫৭ রকেটের সাহায্যে এই মিশনের সূচনায় কোন সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূর্য সম্পর্কিত একাধিক তথ্য পাওয়ার লক্ষ্যে এই অভিযানের দিকে শুধু ভারত নয় তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। প্রাথমিক পর্যায়ে সব ঠিকঠাকই রয়েছে কারণ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সফল ভাবে উৎক্ষেপণের মহড়া শেষ হয়েছে। পাশাপাশি সব যন্ত্রাংশ সঠিক ভাবে কাজ করছে কি না, সেই পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে সফল ভাবে।
সূর্যের জ্বলন্ত পিণ্ডের গায়ে অবতরণ কি সম্ভব?
কিন্তু সবার মনে একটাই প্রশ্ন সূর্যের জ্বলন্ত পিণ্ডের গায়ে অবতরণ কি সম্ভব হবে এই মহাকাশযানের? এখানে একটু বলে দেওয়া প্রয়োজন যে চাঁদের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে সূর্যের ক্ষেত্রে তেমনটা হচ্ছে না।সূর্য মিশনের জন্য ব্যবহৃত মহাকাশযানটিকে সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের প্রথম পয়েটে স্থাপন করা হবে। সূর্যকে কোনোভাবেই ছোঁবে না সেটি।
আরো পড়ুন – রিলায়েন্স থেকে এক টাকাও স্যালারি নেন না মুকেশ আম্বানি? কিন্তু কেন জানেন?
পৃথিবী থেকে এল১ পয়েন্টের দূরত্ব মোটামুটি সাড়ে ১০ লাখ কিলোমিটার। এই অবস্থানে পৌঁছতে মহাকাশযানটির সময় লাগবে মোটমুটি ১৩০ দিনের কাছাকাছি সময় লাগার কথা। উল্লেখ্য এই দূরত্ব পৃথিবী ও সূর্যের মোট দূরত্বের ১ শতাংশ মাত্র।
আরো পড়ুন – কী ভাবে কাজ করছে ইসরোর পাঠানো রোভার প্রজ্ঞান? রোভার প্রজ্ঞান এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে?
নাসার পার্কার প্রোব কি সূর্যকে ‘ছুঁয়েছে’?
নাসার সূর্য মিশন সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন তাই আপনার মনের স্বাভাবিক প্রশ্ন নাসার পার্কার প্রোব কি সূর্যকে ‘ছুঁয়েছে’? এখানে বলে দেয়ার প্রয়োজন যেএখনও পর্যন্ত সূর্যের সব থেকে কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছে নাসার পার্কার সোলার প্রোব। বছর দুয়েক আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এই মহাকাশযান সূর্য পৃষ্ঠের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছয়।
আরো পড়ুন – চাঁদে পা দেওয়া কনিষ্ঠতম মহাকাশচারী কে চেনেন? তিনি নাকি এক মারাত্মক ভুল করেছিলেন চাঁদে গিয়ে?
এবার সেখানে সৌরকণার উত্তাপ অনুভব করে ওই মহাকাশযান তথ্য দেয় যে এই উষ্ণতা প্রায় ৭৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সমান। এই সোলার প্রোবের মাধ্যমে আসলে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছনোই একমাত্র লক্ষ্য। বর্তমানে সূর্যের চারপাশে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে রয়েছে সে।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাম্প্রতিকতম আপডেট অনুসারে, পার্কার প্রোব সফলভাবে শুক্রের পাশ কাটিয়ে দিয়ে ২১ অগাস্ট। আপাতত শুক্র গ্রহের মাধ্যাকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে সূর্যের আরও কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে।