Breaking Bharat : Sleeping : লাইফস্টাইলে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানবদেহে রোগের প্রভাবও বেড়েছে। ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসারের মতো অনিদ্রাও আজকাল প্রত্যেক ঘরে ঘরে বাসা বেঁধেছে। একজন প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে সারাদিনে কতক্ষণ ঘুমের প্রয়োজন? কিংবা পর্যাপ্ত ঘুম বলতে কী বোঝায়? এমন নানা প্রশ্ন অনেকের মনেই উদয় হয়। তাছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুয়ে থাকা সত্ত্বেও ঘুম না আসার রোগ তো রয়েছেই। আর তা নিরাময়ের জন্য মুঠো মুঠো ওষুধও খাচ্ছেন অনেকে। অথচ খাবারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানলে স্লিপিং পিল ছাড়াই ভাল ঘুম আসতে পারে।
তিনভাগ জল আর একভাগ স্থল। ঘুমের ক্ষেত্রেও সংখ্যাতত্ত্বে বিশেষ কোনও ফারাক নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের কথায়, সুস্থ থাকতে গেলে দিনে অন্তত তিনভাগের একভাগ ঘুমের প্রয়োজন। আর তা না হলেই নানা সমস্যার মুখে পড়তে হবে। এই ইঁদুর দৌড়ের জীবনে মানুষের হাতে সময় কই? আর সময় থাকলেই বা কী! আজকালের লাইফস্টাইলে নির্দিষ্ট রুটিন বড় বালাই। তাই রাতের পর রাত জেগে হই-হল্লা অথবা কাজের ব্যস্ততা।
ফলে অজান্তেই যে শরীরে বড়সড় রোগ বাঁধাচ্ছেন, সেদিক হুঁশ নেই। এই সমস্যার মূলে রয়েছে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। অল্প সময় ঘুমানোর অভ্যেস ছাড়াও ভাল ঘুমেরও ঘাটতি রয়েছে বর্তমান জীবনে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেদার ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে মানুষের মধ্যে। আর ঘুম কম হলে হার্টের সমস্যা থেকে উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের সমস্যাও দেখা যেতে পারে। বাড়তে পারে ওজনও। তাই সবার আগে ঘুমের দিকে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকা ভীষণ জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। যদিও শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময়সীমার ফারাক দেখা যায়। তাতে অহেতুক দুশ্চিন্তা করারও প্রয়োজন নেই। কারণ ১ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে ১০-১২ ঘণ্টা ঘুম হওয়াটাই একপ্রকার স্বাভাবিক। ঘুমের এই নির্দিষ্ট সময়সীমার ঘাটতি দেখা গেলেই সেদিক নজর দেওয়া দরকার। তা বলে ঘুমের ওষুধ নয়। বরং কিছু নিয়ম মেনে ঘরোয়া খাবার খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনি।
আরো পড়ুন- মানুষের মনে দুঃখ না দিয়ে সরাসরি মুখের উপর ‘না’ বলতে শিখুন, কিন্তু সেটা কিভাবে?
আরো পড়ুন- উৎসব মুখর বঙ্গবাসী,কতটা ভালোবাসে টুসু? টুসু গান কী? কোথায় হয় এই টুসু গান ?
এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা বলছেন, ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছু খাবার খেলে ঘুম ভাল হয়। সেই খাবারে তালিকায় পালং-এর জুস থাকলে ভাল। টার্ট চেরি, ডার্ক চকোলেটও এক্ষেত্রে ভাল ঘুমের জন্য কার্যকরী। ঘুমের জন্য শরীর রিল্যাক্স হওয়া খুব জরুরি। এজন্য ম্যাগনেশিয়াম-যুক্ত খাবার খেতে পারেন। এছাড়া তৈলাক্ত মাছ, পেস্তা-আমন্ডও ঘুমের জন্য ভাল। তাই শোওয়ার আগে খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এই খাবারগুলি। এছাড়া নিয়মিত ডিম বা ঈষৎ উষ্ণ দুধ খাওয়াও ঘুমের ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করে।
আরো পড়ুন- Kissing is good for health: চুমু খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো জানেন কি?
আরো পড়ুন- আচমকাই কখনও কানে মাছি বা পোকা ঢুকেছে ? যদি এমন হয় কী করবেন?
শরীর সুস্থ রাখতে গেলে ঘুমের বিকল্প কিছু নেই। তাই সবক্ষেত্রে অনিয়ম করলেও রাতের নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া দরকার। শুধু অনিদ্রা নয়, ব্লাড প্রেসার, স্থূলতা কিংবা ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকে মুক্তি পেতে ঘুমের প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই। আধুনিকতা, লাইফস্টাইল… সবই ঠিক আছে। তবে সুস্থতা থাকাটা কিন্তু সবার আগে। তাই এক্ষেত্রে আপোস? নৈব নৈব চ!