Breaking Bharat: মহাকাশে ভেসে ভেসে একটা গোটা বছর কাটানো যায়? এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন কোন মহাকাশচারী জানেন?
মহাবিশ্ব দিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। তার সঙ্গে আবার জুড়ে গেছে মহাকাশ। আসলে মানুষ যত সভ্যতার পথে এগিয়েছে ততই সে নিত্য নতুন আবিষ্কারের দিকে নিজের মনোনিবেশ করেছে। এই কাজটা করতে গিয়ে তাকে অনেক সময় একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।
বিশেষ করে যদি বোকাস নিয়ে কোন কিছু করতে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় তাহলে একটু বেশি থাকে রিস্ক ফ্যাক্টর। পৃথিবীর মধ্যে কিছু হলে সেটা আমাদের হাতের কাছে থাকে তার কারণ আমাদের পায়ের তলায় একটা জমি আছে। কিন্তু বুঝতে পারছেন মহাবিশ্ব যদি কিছু হয় সেখানে আর কোন চেষ্টা করার উপায় টুকু পর্যন্ত থাকেনা।
মহাকাশে কিনা ৩৬৫ দিন কাটিয়ে ফেলতে হলো:
আরি মহাকাশে কিনা ৩৬৫ দিন কাটিয়ে ফেলতে হলো এক মহাকাশচারীকে। উদ্দেশ্য সেরকম ছিল না কিন্তু এমনটাই ঘটলো। আজ তাকে নিয়েই আমাদের এই প্রতিবেদন। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে এরকম একটা অভাবনীয় কান্ড করতে হলো তাকে সেটা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন আর ভাববেন এই দুনিয়ায় শুধু নয় এই দুনিয়ার বাইরে ও কত কিছু হয় ,সবই সত্যি।
৬ মাসের পরিকল্পনা ছিল মানে ১৮০ দিনের জন্য মহাকাশে শহরে পরিকল্পনা করেছিলেন মহাকাশচারী রুবিও। তাঁর সঙ্গে ওই অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন আরো দুই রাশিয়ার মহাকাশচারী । একজন হলেন সের্গেই প্রোকোপেভ এবং অপরজন হলেন দিমিত্রি পেতেলিন।
পৃথিবীতে ফিরেছেন মহাকাশের মায়া কাটিয়ে:
মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক কারণ ৬ মাসের পরিকল্পনা নিয়ে বেরিয়ে এক বছর কাটাতে হল মহাকাশে। তবে সম্প্রতি তারা পৃথিবীতে ফিরেছেন মহাকাশের মায়া কাটিয়ে। যার কথা বলা হচ্ছে সেই ফ্র্যাঙ্ক রুবিও স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যে তার সঙ্গে বাকি দুই মহাকাশচারী কেউ এরকম বিপদের মধ্যে পড়তে হবে। নাসার মহাকাশচারী অবশ্য ঘরে ফিরেছেন।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে বলা হয়েছে গত ২৪ সেপ্টেম্বর কাজাখস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আছড়ে পড়ে একটি স্পেস ক্যাপস্যুল।আর তার ভিতর থেকেই উদ্ধার করা হয় সেই উল্লেখিত তিন মহাকাশচারীকে। তারা যে ফিরতে পেরেছেন এভাবে সেটা সত্যিই একটা বড় সুখবর।
আরো পড়ুন – বাবার সাফল্য দেখতে প্রায় দু-যুগ অপেক্ষা কেন করতে হলো সানি দেওলের ছেলে রাজবীরকে?
এখানে বলে রাখা দরকার যে রুবিওদের জন্য নাসা আগেও একটি ক্যাপসুল পাঠিয়েছিল মহাকাশে। তখনো এইবারের মতোই তিন মহাকাশচারীর জন্য অপেক্ষাও করছিল সেই ক্যাপসুল। কিন্তু পৃথিবীর দিকে রওনা হওয়ার আগেই আচমকা ঘটে যায় দুর্ঘটনা। এরপর মহাকাশে ১৮০ দিনের সফরের পরিকল্পনা নিয়ে বেরিয়েছিলেন নাসার মহাকাশচারী রুবিও।
আরো পড়ুন – ক্রিকেট বিশ্বকাপের ট্রফিটি কি সোনা দিয়ে তৈরি? এই ট্রফি টির আনুমানিক মূল্য কত?
তাঁর সঙ্গে ওই অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন প্রোকোপেভ এবং পেতেলিন। স্পেস স্টেশনেই থাকার কথা ছিল তাদের।মাস চারেক পরে যখন মহাকাশচারীদের ফিরিয়ে আনার জন্য মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছয় সোয়ুজ ক্যাপস্যুল, তাতে হঠাৎ ধাক্কা লাগে মহাকাশে ভেসে থাকা ‘স্পেস জাঙ্ক’ এর।
ব্যাস ২০২২ সালের এই ঘটনায় ভেস্তে যায় পুরো প্ল্যানিং, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্যাপসুলের রেডিয়েটর। আসলে রেডিয়েটের ক্যাপসুলের ভেতরেই মহাকাশচারীদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই সেটা যদি কোন কারনে খারাপ হয়ে যায় তখন জীবিত কাউকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না। তাই কোন উপায় না দেখে ওই ক্যাপসুলটিকে বাতিল করতে বাধ্য হয় নাসা।
আরো পড়ুন – প্রথম দিন শুটিংয়ে ভয় পেয়ে গেলেন শাহরুখের মেয়ে সুহানা খান? তারকা বাবার কন্যার কেমন অভিজ্ঞতা?
আর তিন মহাকাশচারীকে অপেক্ষা করতে হয় কবে দ্বিতীয় ক্যাপসুল আসবে। এর আগে অবশ্য নাসার মহাকাশচারীদের ৩৫৫ দিন মহাকাশে থাকার রেকর্ড ছিল। নিজের রেকর্ডই ভেঙে নতুন কৃতিত্ব অর্জন করল NASA, বলতেই হচ্ছে।
আমেরিকার ইতিহাসে এর আগে কোনও মহাকাশচারী এই এতদিন মানে এক বছরের বেশি সময় অর্থাৎ ৩৭১ দিন টানা মহাকাশে থাকেননি। নব্বইয়ের দশকে ৪৩৭ দিন টানা মহাকাশে ছিলেন রাশিয়ার মহাকাশচারী। তাই সেই দিক থেকেই রেকর্ড রাশিয়ার দখলে।