Breaking Bharat : কবি বিদ্যুৎ (Bidyut Bhowmick) এর কলম কথা এ”- দেশের মানুষ কবিতা
লেখার ইচ্ছা মনে মনে পোষণ করলে পরিবারের লোকজন সেই পরিবারের অন্যতম বিশেষ সদস্যটিকে একটু চোখে চোখে রাখতেন ; এবং ওরা ভাবতেন ওদের বাড়ির সেই প্রিয়জনটি উচ্ছন্নে গেল ! এই ঐতিহাসিক ব্যাপারটা আমার জীবনেও ঘটেছে ! “কবি হওয়া মানে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনা !”- এটা অবশ্য ওদের বক্তব্য |
আমি আমার কবিতার রাস্তায় সেই চল্লিশটা বছর ধরে হেঁটে চলেছি , পথ কিন্তু ফুরায়নি ! পশ্চিমবঙ্গ তথা বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর বেশ কিছু দেশের কবিতা ভক্ত মানুষ আমার কবিতা পছন্দ করে আসছেন | এখন আমার একটু নাম ডাক হয়েছে , তাই আপনার পরিবারের লোকজন এই মুহুর্তে আমাকে নিয়ে গর্ব বোধ করে ! ওরা বলে ; “মানুষটার প্রতিভা ছিল তাই কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ৷”
গোড়ার দিকে আমাকে এই কবিতার পেছনে প্রচুর সময় দান করতে হয়েছে ! বহু রাত কাটিয়েছি এক একটা কবিতা লেখার পেছনে ৷ এখনো যে করি না ; তা কিন্তু নয় ৷ চাপ বারে কোনো উৎসবের সময় ! সম্পাদকদের ফরমাইস সামলাতে সামলাতে জীবন যায় আর কী |
কবিতা লিখতে গিয়ে হোঁচট খেয়েও-ছি | ভুল দরজায় এসে কড়া নেড়েছি , উত্তর এসেছে আমরা কবিতা ছাপি না , যদি “বৌদির একাদশি”- র মত কিছু লেখা লিখে আনতে পারেনে তাহলে ভেবে দেখতে পারি ৷” এই তো অবস্থা ! উপেক্ষা , গালমন্দ সবই জুটেছে ; আবার প্রশংসাও পেয়েছি ৷ আমি যে সময় থেকে কবিতা লিখছি ; অনেকটা ডায়নোর আমল থেকে বলা যায় ( ঠাট্টা ) !
এখানে একটা কথা না বললে খুব ভুল হবে ; সেটা হল আমি ভীষণ ঈশ্বর বিশ্বাসী ৷ সব ধর্মের ঈশ্বরের প্রতি আমার বিনম্ন শ্রদ্ধা অতি অল্প বয়স থেকে ৷ এই ঈশ্বর নামক অদেখা বস্তুটা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন ! শুধু কবিতা লেখা নয় , কবিতাকে কন্ঠে নিয়ে শ্রোতাদের মনরঞ্জন করার যোগ্যতা আমাকে অর্পণ করেছেন ! সে যাই হোক , এতকালের আমার কবিতা লেখার পাগলামিকে আপনারা যে সহ্য করে আসছেন , এবং আমার কবিতাকে পছন্দ করছেন এর জন্য অশেষ অটুট কৃতজ্ঞতা রইল | সবাই ভালো থাকুন এবং Breaking ভারত”- এর সঙ্গে থাকুন ৷
বরফ শরীর ও শীতার্ত জ্যোৎসা ~বিদ্যুৎ ভৌমিক ~
মধ্য বয়ষ্ক রোদে শরীর গড়া চর্চিত কস্তুরী;মুখোমুখী আকাশ পৃষ্ঠার অভিধান এভাবেই তুমিহীন অভিমানে স্থির হীম অবিচল !
যদিও ছ্যাৎলা ধরা এই পাঁজরে স্বপ্ন নির্ঘুম ; শুধুই বক্ষ কন্দরে
নিছক টেনেছি দাগ ; এভাবেই এই রাস্তার গোপনাঙ্গে ! তবু
সব দাগ বিষাক্ত প্যারাসাইড মেখে পুনশ্চ আতুর ৷
সময় শূন্য চারধার এবং এখানে,কষ্ট দোষে বর্ণলোভা স্পর্শ এই হাতে এঁকে দেয় আজন্মের রেখা ! এক গ্লাস হেমলগ তাও আত্মশ্লাঘায় ভীষণ পরজীবী ,আমার এতকালের ব্রত ভাঙা নান্দনিক হৃদয় অবাক চতুর ; তবুও শেষ রাতের বৃষ্টির শব্দ মাঝেমধ্যে বারুদ হয়ে জ্বলে ওঠে বাল্মীকি প্রতিভায় একক আবেগে !
আরো পড়ুন- immortality possible : মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, কিন্তু সারা জীবন বেঁচে থাকা যায় কি?
দর্পণে মহাকাল দেখা দিলে শারীরীক প্রযন্তে একত্রিত স্মৃতিরা বিছানা থেকে উঠে আসে উত্তরের জানলার
ধারে ; চড়ম মন দ্বারাপে,ভাগ্যিস প্রমাণপত্র না থাকা আফিমে ধৃতরাষ্ট্রের নেশা মহাভারতের মনচিত্রটাকে ছেঁড়েনি ; তা না হলে চোখ ভরা উস্কানি গুলো শ্রীকৃষ্ণের পোশাক বিতরণের অপেক্ষা করতো না দ্রৌপদীকে নগ্ন দেখতে !
আরো পড়ুন- Phone for Viruses: আপনার ফোনে কি ভাইরাস আছে ?গোপন নথি কেউ হাতিয়ে নিচ্ছে না তো ?
এই চোখ নির্বাক ; নিরামিষাশী ! এই চোখে ঈশ্বর ও আঁধার প্রেত বেমালুম আমারই মত ,
সহজ সত্যটুকু উদার হয়নি,কেবল কৃপণ চক্ষুতে মৃদু হাস্যোজ্জ্বল ! এভাবেই বরফ শরীর নিয়ে স্বতস্ফুর্ত কামুক আমিও,শেষ রাতে ভবিতব্য মিলিয়ে যায় এই বিছানায় ! কিছু কিছু তারাদের অপমৃত্যু ঘটে যোনি ও লিঙ্গ শুদ্ধ না হলে !
আরো পড়ুন- Father is happy : বাবা হওয়া কি এতই সোজা ? বাবারা কখন আনন্দ পায় জানেন ?
আবছায়ায় কিছু কিছু ক্লান্তিকর ঘুম রাস্তা না চিনে অপরিচিত এক স্বপ্নের কাছে ঝিঁঝি স্বর শোনে !
কেবল দু’হাতের রেখা গুলো ইহকাল পেরিয়ে মৃদু অশরীরী ,সেজন্য সারারাত গুছিয়ে রাখা আমার মৃত সমৃতিগুলো বাঁচিয়ে তুলতে নিসর্স পেতেছি তোমার শাড়ির আঁচলে !!
লেখনীকাল :~ ১৬ জুন ১৯৯৫ সাল ৷ স্থান :~ কবির বাসগৃহ ছায়ানীড়,শ্রীরামপুর , হুগলী