Breaking Bharat: বিছানায় পড়লেই যাদের ঘুম আসে চোখে, তারা সব থেকে সুখী মানুষ জানেন কি? আপনি কি ঘুমোতে ভালোবাসেন? প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডের জেরে আমাদের কাছে খাওয়া দাওয়া বা পর্যাপ্ত ঘুমের রুটিনটা আজকাল অনেকটাই বদলে গেছে।
সকাল কখন হয় আর রাত কখন আসে এটা কাজের জন্য বুঝতে পারিনা আপনি আমি। এমনিতেই করোনা পরবর্তী সময় দাঁড়িয়ে বাড়ি থেকে কাজ কিংবা অফিসে গিয়ে কাজ করতে হলে সময় হিসেবটা একটু পরিবর্তিত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই নতুন পরিবর্তনে মানে নিউ নরমালে আপনার ঘুম ঠিক মত হচ্ছে তো যদি না হয় তাহলে বিপদ বাড়বে।
যে মানুষ আরামে ঘুমোতে পারেন তিনি সব থেকে সুখী?
কথায় বলে যে মানুষ আরামে ঘুমোতে পারেন তিনি সব থেকে সুখী, তা বিষয়টা মন্দ নয়। আপনি যদি এই তালিকায় পড়েন তাহলে আপনাকে আমাদের তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা জানানো রইল। বিছানায় ঘুম আসা সহজ ব্যাপার নয় অন্তত এখনকার দিনে এটা একটা বড় টেনশনের কারণ।
আসলে কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লেই যে চোখে ঘুম আসবে এমনটা নয় । ডাক্তাররা এর পেছনে বেশ কিছু বিজ্ঞানসম্মত তথ্য তুলে ধরেছে। এই প্রতিবেদনে সেটাই উল্লেখ করব আমরা।
রাতে ঘুম না হওয়া একটা বড় ধরনের অসুখ:
রাতে ঘুম না হওয়া একটা বড় ধরনের অসুখ কিন্তু তার থেকেও বড় সমস্যা হলো কাজের চাপে রাতে ঘুমের সময় পেরিয়ে যাওয়া। যাদের রাতে ডিউটি থাকে তাদের এটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে যারা ধরুন দূরপাল্লার গাড়ি চালান কিংবা টিকিট পরীক্ষক হন অথবা এমার্জেন্সি সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত থাকেন যেমন পুলিশ, ডাক্তার, দমকল কিংবা সংবাদ মাধ্যম।
এইসব পেশার সঙ্গে যারা যুক্ত থাকেন তাদের পক্ষে কখন ঘুমাবেন কখন খাওয়া দাওয়া করবেন এটা কিছুতেই আগে থেকে ঠিক করে রাখা সম্ভব নয়। একটা হিসেব করে রাখতেই পারেন কিন্তু সেটা যে মিলবে না সেটাও নিশ্চিতভাবে জেনে রাখুন।
সেক্ষেত্রে অনেকেই ঘুমের ওষুধ খাওয়া কিংবা বিশেষ কোন থেরাপি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এগুলো হলো উটকো ঝামেলা যা আপনার জীবনে এসে জীবনটাকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।
কাজের চাপে বা টেনশনে ঘুম না আসা:
একটা সময় ছিল যখন মানুষ বিছানায় পড়লে ঘুমিয়ে পড়তো কিন্তু এখন সেই সংখ্যাটা ক্রমাগত কমে আসছে। এই পেছনে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে যেমন ধরুন কাজের চাপে বা টেনশনে ঘুম না আসা অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আকর্ষণ বোধ করে মোবাইলে দেখতে দেখতে ঘুমের সময় পেরিয়ে যাওয়া।
আরো পড়ুন – টাকার জন্য শিক্ষকতা করেন না এমন মানুষ আছেন? ২ টাকার মাস্টারমশাই তার প্রমাণ!
এই দুটোই আপনাকে কন্ট্রোল করতে হবে নিজে থেকে না করতে পারলে অন্য কেউ সাহায্য করতে পারবেনা। যারা রাতে ইমার্জেন্সি ডিউটি করেন তাদের সত্যিই দুর্ভাগ্য যে রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে পারেন না। কারণ সারাদিন যখন খুশি ঘুমোন না কেন রাতের ঘুমের একটা আলাদা আরাম আছে।
আরো পড়ুন – job permanent: নিজের চাকরিটা স্থায়ী করতে চাই! উপায় রয়েছে এই প্রতিবেদনে
যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সেই কারণেই আপনিও চেষ্টা করুন রাতে যত দ্রুত সম্ভব বিছানায় ঘুমিয়ে পড়া। যতক্ষণ কাজ আছে কাজটা করলেন কিন্তু তারপর মোবাইল ঘাঁটা কিংবা এদিক-ওদিক তাকানো এটা ওটা চিন্তা করা এই সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
আরো পড়ুন – স্বাস্থ্য সাথী কার্ড-এ ক্যান্সারের চিকিৎসা কি সম্ভব? স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নয়া বদল আনল রাজ্য সরকার?
আসলে যে মানুষ সহজে ঘুমোতে পারে তাকে চিন্তা মুক্ত মানুষ হিসেবে ধরা হয়। কারণ মাথায় হাজার একটা চিন্তা থাকে বলেই তো ঘুম আসেনা। এবার ভেবে দেখুন যার চিন্তা নেই তিনি যে জগতে সবথেকে সুখী মানুষ এটা তো আর বলার প্রয়োজন নেই।
প্রতিবেদনের শেষে একটাই কথা বলার যে সহজে রাতে ঘুম না আসা মানুষের সংখ্যাটা যতদিন যাবে তত বেড়েই যাবে এটা আমরা জানি। তবু একটু চেষ্টা করতে হবে কারণ চিন্তা করে না ঘুমিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি আর ভবিষ্যতেও হবে না।