Breaking Bharat: সব ভাল কি একসাথে পাওয়া যায়? কেনই বা শেষটুকু ভালো হওয়ার জন্য সারা জীবন লড়াই করতে হয়?
জীবন লম্বা হওয়ার প্রয়োজন নেই কিন্তু বড় হওয়ার প্রয়োজন আছে। এমন কথা বলে থাকেন গুণী মানুষেরা। আসলে জীবনের গতিময়তার মধ্যে একটা ছন্দ আছে। যেটা চলতে চলতে নিজের গন্তব্য ঠিক করে নেয়। জীবন থেকে মৃত্যুর মাঝির সময়টাতে সবকিছু ভালোভাবে ঘটার আশা নিয়ে আমাদের পথচলা। তবে বাংলা প্রবাদ সব ভালো যার শেষ ভালো, নিঃসন্দেহে এই দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ যুক্তিযুক্ত।
সাহিত্যে কাব্যে শাস্ত্রে এমন অনেক কথা বলা থাকে যেগুলোর মর্ম আমরা উদ্ধার করতে পারি না। বা হয়তোবা জীবন যখন একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন গিয়ে সামান্য ধারণা হয়। সারাটা জীবন কেটে যায় ভালো করার জন্য। এখানে প্রশ্ন আসতেই পারে।
যেটা আপনার ভালো সেটা আমার ভালো কিনা। আসলে ভালো এবং খারাপ শব্দ দুটো বড্ড বেশি আপেক্ষিক। তাই সময়ের পরিবর্তনে নিজের মতো করে বদল করতে থাকে চরিত্র। আজকে যে জিনিসটা বা যে মানুষকে আপনার ভালো হলে মনে হচ্ছে পরিস্থিতির সময়ের প্রেক্ষিতে আপনার ধারণা পাল্টে যেতে বিন্দুমাত্রও সময় নেয় না।
তবু কিছু জিনিস কে চিরকালীন ভালো বলে ধরে রাখা হয়েছে। যেমন ধরুন আর্থিক স্বচ্ছলতা উন্নতমানের শিক্ষা ভালো জীবন যাপন। আচ্ছা পরিবারের সদস্যরা সকলে হাসিখুশি থাকবে এটা তো স্বাভাবিক চাহিদা তাই না? মা চায় সন্তান যেন দুধে ভাতে, প্রেমিক মন চায় প্রেমিকা যেন সুখে-দুখে পাশে থাকে , বাড়ির কর্তা চান সকলে সুন্দর সুস্থ থাকুক।
আরো পড়ুন – লোকনাথ বাবার জন্মস্থান নিয়ে দ্বিমত আছে, আপনিও কি এই বিষয়ে একমত?
কিন্তু সকলে মিলে যে চাওয়া তৈরি হয় তা কি সব সময় পাওয়া পর্যন্ত যায়? একটা ঘটনা তার উৎপত্তি থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত যেভাবে চলুক না কেন যদি শেষ মুহুর্তে সবকিছু ঠিকভাবে হয় তাহলে সেটাই পরমানন্দের। মানে ধরুন সারা বছর পড়াশোনা করে পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করা। ৯০ মিনিট মাঠে ফুটবল দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে অন্য পক্ষকে হারিয়ে গোল করে জেতা।
আরো পড়ুন – বিশ্বের সবথেকে শিক্ষিত ব্যক্তি কে? তিনি কুড়িবার স্নাতক হয়েছেন ভাবতে পারেন?
নানা ঘাত প্রতিঘাত সংগ্রাম পেরিয়ে সিনেমার শেষ দৃশ্যে নায়ক নায়িকার এক হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ সাফল্যের হাসি বা বিজয়ী হওয়া সবশেষে এটাই যেন আসল লক্ষ। কোন একটা ঝঞ্ঝাটের অনুষ্ঠান ভালোভাবে মিটে যাওয়া। অর্থাৎ লড়াইটা যতই কঠিন হোক না কেন যখন সেটা শেষ হয় তখন যেন হাসি মুখে শুভেচ্ছা ভরিয়ে দিতে পারে। মোদ্দা কথা এটাই।
আরো পড়ুন – পুজোর অনুষঙ্গ আরতি, কিন্তু দেবী বিগ্রহ বা ছবির সামনে ঠিক কোন কারণের জন্য আরতী করা হয়?
যার জন্য বলা হয় মধূরেন সমাপয়েত। প্রত্যেকটা মুহূর্তে এই ভালো টুকুর জন্যই লড়াই করে চলেছি আমরা। এ বিষয়টা রোগের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। দীর্ঘদিন ধরে ভুগতে থাকা মানুষ সুস্থ হয়ে উঠলে তবেই সেটা সত্যি সত্যি ভালো হয়। বুঝতে হবে ভালো থাকার ইচ্ছে গুলো ভালো রাখাকে বাঁচিয়ে রাখে।
আরো পড়ুন – পিকনিক ছাড়া শীতকাল? কিন্তু বাঙালির চড়ুইভাতির চর্চা বিশ্বজুড়ে, এটা কেমন করে সম্ভব?
একটা কথা মনে রাখবেন কোন কিছুকে শেষ পর্যন্ত ঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে গেলে শুরু থেকে প্রতিটা পর্যায়ে সঠিক পদক্ষেপে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। সেটা যদি করতে পারি তাহলে দেখবেন সব ভালো, শুরুও ভালো শেষও ভালো।