Breaking Bharat : কবিতা – জলছবিতে অশ্রু নদী ( ১৯৯৮ সময়ের কোলাজ ) বিদ্যুৎ ভৌমিক (Poet Bidyut Bhowmick)
বুকের মধ্যে জ্বলছে শ্মশান ;
পুড়ছি আমি দহন জ্বরে,
চোখ ডুবেছে চোখের ভেতর
মরণ তবু রয়না ঘরে !
এই আবাসনে ঘুমিয়ে আছে প্রাচীন কালের এক মস্ত অজগর ! থাকলেও সে অনেকটাই ভূমিহীন,কিম্বা একক একাকীত্ত্বের অবসাদে অতীব দানব ৷ কোথাকার ক্ষতিপূরণ অথবা নানান তিরস্কারে সে চড়ম উদাস,নয়তো অমানবিক ইত্যাদিতে সয়ে সয়ে ক্লান্তিতে নীরর ৷
এতকাল আলো বাতাসহীন ছিল,শেষবার এই ঘরে অধিকার প্রয়োগের অহংকার নিয়ে মধ্য দুপুরের রোদ তার দুঃসময়ের ভেতর আবিষ্কার করলো সে এখনো বেঁচে আছে !চিকন উত্তরিও ঢেকে বারমাসের নিপাট ঘুমন্তে সে নির্জন,এভাবেই একা ও একক তার মেরুদন্ডহীন শুয়ে শুয়ে থাকা ।ওর পরিচিত সর্পের দল,ওরাও বিষধর নয়তো মাটির প্রত্যন্ত গভীরে বেয়াদব উলঙ্গে কুঁকড়ে রয়েছে ! এই আমৃত্যু অতলান্তের শূন্যতা,নতুবা প্রহরে থার্মোমিটারের পরদ প্রকৃতি ভ্যানিস হয়েছে ! সে জন্য আদীম প্রবৃত্তি ছাড়েনি ৷
এ্যাডিটোরিয়্যাল টেবিল থেকে অপমানিত হয়ে ফিরে আসা পচিশ বছর আগের কবিতা গুলো এ্যাতকাল ধরে ট্রাঙ্কে বন্দি ছিল ! পাহাড় প্রতিম প্রতিভা নয়তো নিছক কবির ছদ্মবেশ,সেও আয়নায় না দেখা এতোকালের শরীর একান্নভাগ ভুলে গেছে !
তাই কবিতা গুলোকে তেল সাবান দিয়ে স্নান করাই নি,পারতোপক্ষে কেটে গেছে আরও কয়েকটা বছর,অথচ এই ঘরে এক সময় প্রীতিকাব্যের বর্ণপরিচয় সোহাগ ছড়াতো ! সেই কবিতারা মৃতপ্রায় অতীব বিবর্ণ ! শেষবারের মত নীচু নির্জনে কবি এসে ঢুকে ছিলেন এই ঘরে,তাঁর চোখ ভরা বহতী নীরবতা কিম্বা অশেষ স্বপ্নের আকুতি মনে মনে অতীত ও বর্তমান নিয়ে কাটাকুটি খেলে
আরো পড়ুন- একা একলা জীবন কাটানোর কী কী সুবিধা ও অসুবিধা আছে ? Breaking Bharat
বেঁচে থাকতে তোমার অতীত কাছে চোখ ছিল সততই ঈশ্বরীও ৷ বুকের ভেতরে এক সমুদ্র ঢেউ,নতুন আকাশ থেকে তারাদের বিজ্ঞাপন অন্তর লজ্জায় ঘুমের মতন একদলা স্বপ্ন গন্ধে বহতাময় ! কেমন সহজ সেই ছবি এঁকে ভাসমান সুখ দেখতে চেয়ে ঔষধি স্মৃতির ভেতর চোখাচোখি,চোখের মধ্যে ছুটে আসা স্পষ্ট ছায়া চুম্বন মুছে,তুমি এই মৃত্যুর আগেও শ্মশান যাত্রীদের নাম বাতাসে লিখেছো,সেই সারাদিনের বৃষ্টি স্পষ্ট কথা গুলোকে ইস্ত্রি করা পোশাক পরিয়ে কবিতা করেছি ! প্রথম থেকে চোখ ভাসিয়েছি গোটা আকাশে,ভুল উচ্চারণে ডেকেছি তোমাকে … এ্যাই নবনীতা একটু ভালোবাসবে ?
আরো পড়ুন- তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর, কখন আসে এই অবস্থা? কী বলেন তখন মেয়েরা ?
আরো পড়ুন-পৃথিবীজুড়ে ধনী-গরিবের বৈচিত্র, তবে এখানকার অধিকাংশ লোকই ধনী কেন জানেন ?
এই হদয়ের পার ভেঙেছে,বুকের মধ্যে পুড়ছে আকাশ অথচ সেই প্রেমের সাথে কবেকারের নিভৃত সহবাস !তোর চোখেতে চোখ রেখেছি বাস স্টেন্ডে কী আমায়িক অচেনা তুই অপ্রমেও প্রেম,স্বপ্নে স্বপ্নে ঘুম নির্ঘুমে যতই তোকে খুঁজি,এই রাস্তাতে সর্বনাশের হৃদয় নিয়ে ভাসি ! অথচ তোকেই ভালোবাসি , ভা-লো-বা-সি !!
অপ্রকাশিত কোলজ কাব্য,লেখনী কাল ১১/০৫/৯৮ ,স্থান > ছায়ানীড় – শ্রীরামপুর , হুগলী