Breaking Bharat: সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে সম্মান জানাতে বেনজির পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। চালু হচ্ছে পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী (Male Self Help Group)। কৃষিকাজ থেকে শুরু করে উদ্যান পালন, পশুপালন, মৎস্যচাষ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহণ বা পণ্য মজুতকরণের মতো ব্যবসায় উৎসাহ দিতেই সরকারের এই উদ্যোগ।
কালীপুজোর আবহে আচমকাই নেমে আসল অন্ধকার। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা রাজ্য রাজনীতির অন্যতম ‘সিনিয়র’ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘জীবনে এত মৃত্যু দেখেছি। কিন্তু সুব্রতদার মৃত্যুটা মেনে নিতে পারছি না। আলোর দিনে এত বড় অন্ধকার ভাবতে পারছি না।’ তবে সেই অন্ধকার মুছে ফের আলো জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী চালু করার মাধ্যমে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে যে স্মরণে রাখতে চান মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
পশ্চিমবঙ্গে ‘আনন্দধারা’ প্রকল্প চালুর নেপথ্যে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। যা গোটা রাজ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তারপর অন্যান্য প্রকল্প চালুর কথা ভেবেছিলেন তিনি। একসময় পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী চালুর উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। তিনি এই মুহূর্তে ‘না ফেরার দেশে’। তাই সেই উদ্যোগকে এবার বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জনপ্রিয়তা ইতিমধ্যেই বারবার উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। রাজ্যের বাইরেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গ্রামবাংলার মহিলাদের নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি। মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মতোই এবার চালু হবে পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী। এই উদ্যোগকে সরকারিভাবে ‘প্রোডিউসার্স গ্রুপ’ হিসেবে চিহ্নিত হবে। যারা বিভিন্ন ছোট ছোট ব্যবসার কাজে নিযুক্ত থাকতে পারবে। তাদের পাশে থাকবে সরকার। সরকারের নানা স্কিমের সুবিধা যাতে এই গ্রুপগুলি পায়, সেদিকে কড়া নজর রাখা হবে। সহজ শর্তে ঋণও নিতে পারবেন গ্রুপের সদস্যরা।
আরো পড়ুন- কেনাকাটা বা শপিং এর কিছু কৌশল জেনে নিন, নয়তো ঠকে যেতেন পারেন!
আরো পড়ুন- বাসে বা ট্রেনে ভ্রমণ করেও ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন তাড়াতাড়ি? অবহেলা করবেন না!
সূত্রের খবর, গ্রুপের সদস্য পিছু প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। তবে তার পুরোটাই নির্ভর করবে সদস্যদের ব্যবসার ধরন অনুযায়ী। এক্ষেত্রে রাশির পরিমাণ নির্ধারণ করবে ব্যাঙ্ক। শুধু যে ব্যবসার ক্ষেত্রে এই সুযোগ পাওয়া যাবে, এমনটাও নয়। রাজ্যের কৃষকরাও পেতে পারেন এই সুবিধা।
আরো পড়ুন- Hand Fan : তীব্র গরমের হাঁসফাঁস থেকে রেহাল মিলতে হাতপাখার জুড়ি মেলা ভার।
পুরুষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করলে এক্ষেত্রেও সাহায্য করবে সরকার। অনেকেই মনে করছেন, কোনও কৃষকের যদি কৃষিজমি না থাকে, তাহলে তাঁরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। আসলে তা নয়। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, নিজস্ব কৃষিজমি না থাকলেও হবে, ভাগচাষ বা অন্যান্য ক্ষেত্রের কৃষকরাও পাবেন এই সুযোগ। সর্বোচ্চ ১০ জন মিলে গ্রুপ তৈরির কথা বলা হলেও চার থেকে পাঁচ জনকে নিয়েই গ্রুপ গড়তে চায় রাজ্য।