Breaking Bharat : আমরা প্রত্যেকে প্রায় গরমে নাজেহাল হয়ে শীতের দিনের জন্য অপেক্ষা করি। আর শীতকাল আসা মানেই খুশকি,ঠোঁট ফাটা (Lips ) প্রভৃতির সমস্যা। অনেকের আবার দেখা যায় ঠোঁট ফেটে রক্তও পর্যন্ত বেরিয়ে আসে। আবার কারো দেখা যায় হাত পা ত্বক রুক্ষ হতে থাকে। শীতকাল আসা মানেই এই ধরণের কিছু সমস্যা থাকবেই।
তাহলে জেনে নিন কেন ঠোঁট ফাটছে ? ঠোঁট ফাটলে কি করবেন?
শীতকাল হল টানের সময়, আর এই শীতের সময়ে আমাদের ত্বক রুক্ষ হয়ে ওঠা,ঠোঁটের আর্দ্রতা কমে যাওয়া।আবার অনেকের ঠোঁট একেবারে লাল হয়ে গিয়ে চুলকানির মত অবস্থা শুরু হয়ে যায়। কারণ- কড়া সূর্যের আলোয় বেশিসময় থাকার ফলে থাইরয়েড ও অ্যালার্জির মত সমস্যা দেখা যায় যার ফলে মানব দেহে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের (Vitamin B complex) অভাব দেখা দিতে শুরু করে,যার জন্য ঠোঁট ফাটতে শুরু করে । আবার রুক্ষ ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণেও ঠোঁট ফেটে যেতে পারে।
আরো পড়ুন- Diabetes : ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে বুঝবেন কিভাবে? জেনে নিন
অনেকের আবার ঠোঁট কামড়ানো,ঠোঁট চাটার মতো অভ্যেস থাকে -সেটাও ঠোঁট ফাটার অন্যতম কারণ হতে পারে। আবার ঠোঁটে লিপজেল ,লিপবাম বা লিপস্টিক অনেকের সহ্য নাও হতে পারে,যার ফলে চুলকানি হয়ে ঠোঁট ফেটে থাকে।
১/পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভ্যাসলিন ত্বককে নরম করতে সাহায্য করে । আর এই দুটো জিনিস যদি একসাথে ঠোঁটে ব্যাবহার করা সম্ভব হয়,তাহলে ঠোঁটের জন্য বেশ উপকারী আবার ঠোঁট ফাটা থেকেও রেহাই মিলবে।
আরো পড়ুন- Amla Health Benefits : আমলকি কেন খাবেন ? খেলে কি কি উপকার হয় ?
২/ ঠোঁট যেন সব সময় ভেজা থাকে,তার জন্য ঠোঁটে ময়শ্চারইজার বা ক্রিম লাগিয়ে রাখবেন।সম্ভব হলে দিনের অধিকাংশ সময়ে ঠোঁটে ময়শ্চারইজার বা ক্রিম লাগিয়ে রাখলে ঠোঁট ফাটা থেকে এড়াতে পারবেন।এর পাশাপাশি শরীরে কোনরকম জলের ঘাটতি দেখা না দেয়,পারলে বেশি করে জল খান তাহলেও ঠোঁট ফাটা থেকেও রেহাই মিলবে।
৩/ রাসায়নিক মিশ্রিত কসমেটিক্স যতটা সম্ভব কম ব্যাবহার করুন এগুলিও ঠোঁটের সমস্যা বেশ বাড়িয়ে তোলে। অ্যালোভেরার জেল ঠোঁটে লাগাতে পারেন আবার মধু ও গ্লিসারিন দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন তাহলে ঠোঁট নরম পাবেন বা নারকেল তেলও ঠোঁটকে নরম করে তোলে।তাছাড়াও ঠোঁটে এক – দু ফোঁটা ঘি লাগিয়ে রাখতে পারেন যার দ্বারা আপনি নরম ঠোঁট পাবেন।