Facebook: ফেসবুকে ভুয়ো প্রোফাইল! ফেসবুকে ক্লোন প্রোফাইলের হাত থেকে বাঁচবেন কীভাবে?
সোশ্যাল মিডিয়া এই মুহূর্তে মানুষের জীবনের সঙ্গে অত্যন্ত ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে। কিছু হোক বা না হোক নিজের কথা অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য সমাজ মাধ্যমকে বেছে নিয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। এটা যে কাজ হচ্ছে না তা বলা হচ্ছে না কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন নতুন আন্দোলন আর প্রতিবাদের ভাষা চোখে পড়ছে।
কিন্তু এই ফেসবুক ব্যবহার করে একগুচ্ছ অনৈতিক কাজ হচ্ছে বটে। বিশেষ করে যার নামে প্রোফাইল তিনি হয়তো জানতেই পারছেন না অথচ এমন কিছু কাজের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে যাচ্ছে যে কারণে পরবর্তীতে তাকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এটা হচ্ছে তার কারণ ‘ভুয়ো প্রোফাইল‘ (The Facebook Clone Scam)।
একশ্রেণীর মানুষ অন্যের প্রোফাইল করে অনৈতিক অসামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ থেকে অভিনেতা অভিনেত্রী বড় বড় শিল্পী সকলের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটছে। এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে এবার আশঙ্কা বাড়ছে আম জনতা থেকে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্বদেরও।
আপনার প্রোফাইল লোন করা হয়েছে এটা বোঝা সহজ কথা নয়। আপনার চেনা পরিচিতদের কাছে “নতুন প্রোফাইল খুলেছি” বলে আপনার নামের ক্লোন একাউন্ট থেকে ফেক মেসেজ যাচ্ছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট হিসেবে। আপনি হয়তো জানেন না যে আপনার নাম করে কোনো প্রিয়জনের কাছ থেকে সেই প্রোফাইলের মালিক ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিলেন পরবর্তী কালে দোষ পড়ল আপনার ওপর।
যত দিন যাচ্ছে খবরের কাগজে টেলিভিশনে এইসব খবর বেশি বেশি করে চোখে পড়ছে। তাই সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট যথেষ্ট তৎপর হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটাই জালিয়াতির নতুন ফাঁদ। একবার এতে পা দিয়েছেন তো সব শেষ।
কীভাবে কাজ করে এই জালিয়াতিচক্র?
ফেসবুকে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা ব্যক্তির ছবি, ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে হুবহু একই রকম দেখতে আরও একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। সেখান থেকে ওই ব্যক্তির চেনা-পরিচিতদের কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট যায়। একবার একসেপ্ট করা মানে বিপদ ডেকে আনা।
সেই মানুষটির দোষ নেই কারণ তিনি তো আর এত কিছু জানেন না আর যার প্রোফাইল ক্লোন করা হচ্ছে তিনিও জানেন না। তথ্য চুরি তো বটেই এ ভাবে জালিয়াতেরা টাকা পয়সা, ব্যক্তিগত তথ্য, মেল বা অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের পাসওয়ার্ডও চুরি করতে পারে। তাই বিশেষভাবে সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। এখন প্রশ্ন ফেসবুক প্রোফাইল ‘ক্লোন’ হলে কী করবেন?
আরো পড়ুন – বলিউড ভাইজান সলমান খানের হাত ঘড়িতে ৭১৪ টা হিরে? অবাক লাগছে কিন্তু এটাই সত্যি?
প্রথমেই বলে রাখা দরকার বিষয়টি যদি বুঝতে পারেন তাহলে আপনার পরিচিতদের এই সম্পর্কে অবগত করুন। এই কাজ করতে আপনি ফেসবুককেই ব্যবহার করবেন। গোটা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিজের আসল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করতে পারেন।
সেই পোস্ট যাতে সকলের নজরে পড়ে তার জন্য মন্তব্য করার বাক্সতে ‘অ্যাট হাইলাইট’ বা ‘অ্যাট ফলোয়ার’ লিখে রাখতে পারেন।সকলকে বলুন যদি ভুল একাউন্ট থেকে কোন রিকোয়েস্ট আসে তাহলে যেন রিপোর্ট করা হয়। এই কাজটার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত কয়েকটা পদক্ষেপ করতে হবে।
আরো পড়ুন – বাসে ট্রেনে নিত্য যাতায়াত করেন? কেন গণপরিবহনে সফর মেয়েদের জন্য এত অস্বস্তিকর?
প্রথমেই ফেসবুকে আসা বন্ধুর তালিকার মধ্যে থেকে পুরো একাউন্টের পেজ খুঁজে তার আসল পেজে যেতে হবে। প্রোফাইলের এক পাশে থাকে ছবি, নাম। ঠিক তার উল্টো দিকে একটু নীচে রয়েছে তিনটি ‘ডট’ চিহ্ন। সেখানে ক্লিক করে রিপোর্ট প্রোফাইল অপশন অন করুন।
এবার কেন রিপোর্ট করতে চাইছেন আপনি সেটা জানতে চাওয়া হবে। উত্তর দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অপশন পাবেন।। এই তালিকা থেকে ‘ফেক অ্যাকাউন্ট’ ক্লিক করলেই কাজ শেষ। এরপর আপনার চিন্তা নেই। সঠিক পদ্ধতিতে রিপোর্ট করতে পারলে নিশ্চিতকরণের চলে আসবে।