Breaking Bharat: পৃথিবীতে মূল্যবান ধাতু হিসেবে সোনার নাম কেন আসে বলতে পারেন? কোন জায়গায় সোনা বাকিদের থেকে আলাদা?
প্রকৃতিতে একাধিক মৌল এবং যৌগ পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ যখন খনন কার্য শুরু করে তখন থেকেই এই প্রাপ্তি সভ্যতার ইতিহাসের সঙ্গে জুড়তে থাকে। এরপর তখন একট নতুন নাম পায় মানুষ যা হল ‘সোনা‘। ব্যাস সেই শুরু। তারপর থেকে বেড়েই চলেছে ‘সোনার দাম‘। কিন্তু কেন এটা এত মূল্যবান হয়ে উঠলো?
সোনা নানা কারণে মানুষের কাছে প্রিয়। আসলে যেকোনো মৌলের দাম নির্ধারিত হয় প্রাপ্যতার কারণে। ধরুন আপনি যদি সোনার বদলে অন্য কিছু মনে লোহা বা তামা বেছে নিতে চান সেটাও পারেন। তবে মনে রাখতে হবে যে লোহা বাতাসের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে। যার ফলে মরচে পড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি তামার কথা বলেন তাহলেও সেই একই সমস্যা।
সেটাও নানাভাবে বিক্রিয়া করে যার ফলে উজ্জ্বলতা হারায়। তাই সেগুলো ব্যবহার করা যাবে না। এখানে কিন্তু সোনা বাজিমাত করে বেরিয়ে যায় । আসলে সোনা কিছুটা হলেও দুষ্প্রাপ্য।আর ইদানিং কালে যা দাম তাতে কিন্তু মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। আর সোনা কোথাও গিয়ে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা দেয় বলেও সকলের কাছে বড্ড প্রিয়। সবাই যা জিনিস সহজে পায় তা খেলো হয়ে যায়। সোনা রাখার ক্ষমতা সবার থাকে না তাই এমনিতেই সেটা দামি হয়ে যায়।
সোনা শুধু দামি এটা ভাবা ভুল। কারণ বর্তমান হিসেব বলছে প্লাটিনাম – ‘ইরিডিয়াম সংকর ধাতুর মূল্য সোনার থেকেও বেশি‘। অর্থনীতির হিসেব বলছে যে কোনো বস্তুর মূল্য নির্ধারণ হয় দুটো জিনিসের উপর। এক হচ্ছে তার সাপ্লাই এবং ডিমান্ড এর উপর।তাই খুব স্বাভাবিক কারণে সোনার ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম নয়। রসায়নের পিরিয়ডিক টেবিল বলছে সোনা, রূপো, প্ল্যাটিনাম, ইরিডিয়াম এদের নোবেল মেটাল বলে (Gold is the most precious metal complex)।
আরো পড়ুন – কমলালেবু না পাতিলেবু? কোনটা শরীরের জন্য উপকারী জানেন?
এরা রাসায়নিক ভাবে তুলনা মূলক কম নিষ্ক্রিয় হওয়ার কারণে যতটা সম্ভব সরু করা সম্ভব । ফলে এই দিয়ে যে গয়না তৈরি হয় সেগুলো কিন্তু অনেকদিন পর্যন্ত উজ্জ্বল থাকে। আর এর ফলে যে গয়না তৈরি হয় সেগুলো বহুদিন অক্ষুণ্ণ থাকে বলে দেখা গেছে।
আরো পড়ুন – বাড়ির বয়স্কদের প্রশ্নে আপনি কি জর্জরিত? যখন তখন স্যালারি স্ট্রাকচার নিয়ে প্রশ্ন উঠে বুঝি?
এবার বলি আপনি হয়তো ভাবছেন যে ‘সোনার থেকেও মূল্যবান তো হিরে‘ তাই না? একদম সঠিক ভাবছেন। তবে হিরের থেকেও দামি মৌল আছে বটে। আসলে হিরের স্পেশালিটি হল এটা পৃথিবীর এক দুর্লভ রত্ন। প্রাকৃতিকভাবে এই রত্ন পৃথিবীর প্রায় ২০০ কিমি গভীরে উচ্চ তাপ এবং চাপের মধ্যে থাকে। ভূগোল বলছে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে ম্যাগমার দ্বারা কয়লার সঙ্গে এই হিরে বেরিয়ে আসে।নানা রঙ হয় যেমন হলুদ, বাদামি, সবুজ, গোলাপি, লাল ইত্যাদি ।
আরো পড়ুন – হাইওয়ের পাশে গজিয়ে ওঠা দোকানগুলিতে জিনিসের দাম বেশি কেন নেওয়া হয় জানেন?
এই তালিকায় ক্যালিফোরিয়াম এবং এর পাশাপাশি ট্রিটিয়াম এই তালিকাটিতে রয়ে গেছে। তবে মাথায় রাখুন সোনা মানেই এক মুখ উজ্জ্বল হাসি আর সেটাই যেন বুঝিয়ে দেয় এটা কেন আর কতটা দামি? পৃথিবীতে অনেক মূল্যবান ধাতু রয়েছে কিন্তু আপনার আমার কাছে সবার মূল্য যে অনেক সেটা সত্যি বটে। তাই সোনা কে যত্ন করে সঙ্গে রাখুন আর খুশি থাকুন।