Breaking Bharat: ভাতের পাতে কাঁচা নুন খাওয়া কি আপনার প্রতিদিনের অভ্যাস? একটু সাবধান হওয়ার সময় বোধহয় এসেছে!
খাবারের ব্যাপারে একটু সচেতন থাকতে হয় আজকাল। দিনদিন চারপাশে যেভাবে নানা ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়া নিজেদের দাপট দেখাচ্ছে তাতে নিজেদের খাবারের ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকার প্রয়োজন আছে। কিছু মানুষের জিনগত কারণে নানা রোগ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। ডায়বেটিস উচ্চ রক্তচাপ এগুলো সাধারণত বংশগত কারণেই হয় বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা (What happens if raw salt is eaten with rice?)।
অন্যান্য কারণ আছে বটে কিন্তু এগুলো কেও হালকা ভাবে নিলে চলবে না। তাই যতটা সম্ভব নিজের প্রচেষ্টায় শরীর সুস্থ রাখতে সুষম আহার মেনুতে রাখা উচিত। অনেক বছরের পুরনো অভ্যাস এই ডায়েট চার্টে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। সেরকম একটি অভ্যাস হল ভাতের পাতে কাঁচা নুন খাওয়া। এর মধ্যেই মারাত্মক বিপদের ইঙ্গিত লুকিয়ে আছে।
ভাতের পাতে কাঁচা নুন খান? সাবধান!
অধিকাংশ বাঙালির পছন্দের খাবার হল ভাত। তরকারি পাওয়া যাক বা না যাক অন্ততপক্ষে সেদ্ধ ভাত আলু আর ঘি দিয়ে জমিয়ে খাওয়া যায়। এখন বিষয় হচ্ছে এটা করতে গেলে তাতে ভীষণভাবে নুনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন ভাতপ্রেমী মানুষেরা।
অনুষ্ঠান বাড়িতেও লেবু আর নুন দেওয়ার হিড়িক শুরুতেই দেখা যায়। কিন্তু কাঁচা নুন কি আদৌ খাওয়া উচিত এই বিষয়ে চিকিৎসকদের মতামত জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অতিরিক্ত কোন কিছুই শরীরের জন্য ভালো না । তাই আপনি যদি ‘মাত্রাতিরিক্ত লবণ খান‘ তাহলে শরীরের যে সেটা সমস্যার সৃষ্টি করবে তা বলাইবাহুল্য। এর থেকে রক্তচাপ বৃদ্ধি থেকে শুরু করে হাঁপানির সমস্যা এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
লবণ খাওয়া হলে রক্তচাপ বৃদ্ধি, পেটে ক্যান্সার, স্থূলতা এমনকি হাঁপানির সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হলে হৃদয় ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। দেখবেন যাদের হাইপ্রেশন আছে তাদের চিকিৎসকেরা কাঁচা নুন খেতে বারণ করেন। কারণ নুন অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইড রক্তের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয় যা হৃদপিণ্ডে পৌঁছতে বেশি বল প্রয়োগ করে।
আরো পড়ুন – হাইওয়ের পাশে গজিয়ে ওঠা দোকানগুলিতে জিনিসের দাম বেশি কেন নেওয়া হয় জানেন?
ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।স্বাস্থ্য গবেষকরা বলছেন একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক দুই চা-চামচ নুন খাওয়া দরকার, তার থেকে বেশি নয়। অনেকেই রান্না করা খাবারের উপর নুন ছিটিয়ে নেন , এটা ঠিক নয়। অতিরিক্ত নুন খেতে থাকলে শরীরে তৃষ্ণার অনুভূতি কমতে থাকবে। এর ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই জলের ঘাটতি বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে।
আরো পড়ুন – বেশি দাম দিয়ে হলেও ব্র্যান্ডের জিনিস ব্যবহার করতে ভালোবাসেন?
তাই বলে ‘কম নুন খেলে আবার অসুবিধা আছে‘। নুনের খনিজ উপাদান শরীরের জন্য উপকারী হলেও এর মাত্রা বেশি বা কম দুটোই শরীরের জন্য শুভ নয়। অর্থাৎ নুন সম্পর্কে যে বলা হয় বেশি বা কম হলে খাবারের স্বাদ নষ্ট হয় তেমনটা আপনার দেহের জন্যও প্রযোজ্য। তাই পরিমিত বা যথাযথ নুন খাওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। এখন আপনি প্রশ্ন তুলতেই পারেন যে তাহলে রান্না করা নুন খাওয়া হচ্ছে কেন?
আরো পড়ুন – বাড়ির বয়স্কদের প্রশ্নে আপনি কি জর্জরিত? যখন তখন স্যালারি স্ট্রাকচার নিয়ে প্রশ্ন উঠে বুঝি?
এই প্রসঙ্গে আপনাকে জানাই রান্না করা হলে নুনের মধ্যে থাকা লৌহযৌগের সরলীকরণ ঘটে। এর ফলে খুব সহজেই তা শোষিত হয়। কিন্তু কাঁচা নুনে লৌহযৌগ একই থাকে যা কিনা রক্তচাপ বাড়ায়। সোডিয়াম ক্লোরাইড শরীরে বেশি হয়ে গেলে আপনার স্নায়ুতন্ত্রে তার প্রভাব পড়তে পারে।
আরো পড়ুন – আপনার পরিবারের সদস্য কি গার্হস্থ্য নির্যাতনের শিকার? বাড়ির মহিলাদের উপর শারীরিক নিগ্রহ?
আবার নুন না খেলে দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড যৌগের ঘাটতি তৈরি হতে পারে। আমরা একটা অপশন দিচ্ছি মানে যদি আপনি সুস্বাদু খাবার রান্না করতে চান তাহলে নুনের পরিবর্তে ভিনেগার, অরিগেনো, রোজমেরি ও রসুনের গুঁড়া ইত্যাদি ব্যবহার করুন। আর যদি কোন রকমের কনফিউশন তৈরি হয়, কতটা নুন খাবেন বা খাবেন না তাই নিয়ে, তাহলে কারোর কথায় কান না দিয়ে সোজা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।