Breaking Bharat: নারী চরিত্র সত্যিই কি জটিল? একা পুরুষ কি হিমশিম খায় স্ত্রী আর মাকে সামলাতে? ‘মেয়েদের চরিত্র নাকি বোঝা দুষ্কর, দেবতারাই বুঝতে পারেন না, মানুষ তো কোন ছাড়’- আপনি কি এই কথাটা মানেন?
নারী এই সংসারের এমন এক সৃষ্টি যিনি সব কিছু অনায়াসে সহ্য করতে পারেন। ঈশ্বরের এমন এক সৃষ্টি হলো নারী যার প্রতি জীবদ্দশার সব রকমের অনুভূতি সঞ্চারিত হতে পারে। একটু ভারী শব্দ হয়ে গেল কি? তাহলে বরং সহজ করে বলে দিচ্ছি। প্রেম, বন্ধুত্ব, মাতৃত্ব, স্নেহ, আদর এই সব কিছু যে সত্তার মধ্যে আপনি ফুটিয়ে তুলতে পারেন বা পেতে পারেন তাহলে নারী চরিত্র।
নারীরা কি আসলেই জটিল:
কথায় আছে প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর অবদান আছে। তিনি প্রেমিকা হতে পারেন, স্ত্রী হতে পারেন, বান্ধবী হতে পারেন আর এই সব কিছুর থেকেও আগে মা হতে পারেন। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল কিন্তু গন্ডগোলটা বাধে যখন একজনকে বেছে নেওয়া বা গুরুত্ব দেওয়া নিয়ে টানাটানি শুরু হয়।
ঠিক ধরেছেন, বিবাহিত পুরুষের কথাই বলছি । যারা মা নাকি বউ কার কথা শুনবেন, কাকে তুষ্ট করবেন এটা ভেবেই জীবনের অর্ধেকটা কাটিয়ে দেন।
জীবন কেটে যায়, শুধু কাটিয়ে নেবার উপায় টা জানতে হয়। গর্ভধারিনী মা এই পৃথিবীতে সবার আগে। সিনেমাটিক শোনালেও বলতে বাধ্য হচ্ছি, “বউ হারিয়ে গেলে বউ পাওয়া যায় রে পাগলা, মা হারালে মা পাওয়া যায় না”। আর মা না থাকার যন্ত্রণা যে কী তীব্র সেটার ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়।
কিন্তু যখন ছেলে মায়ের আঁচলে থাকে ঠিক আছে, কিন্তু যখন সে অন্যজনের প্রতি আসক্ত বা আকৃষ্ট হয়ে পড়ে সেখান থেকেই মায়ের মনে দুশ্চিন্তা শুরু হয়। এই বুঝি ছেলে হাতছাড়া হয়ে গেল। তাই বিয়ে দিয়েও ছেলেকে নিজের কথামতো উঠতে বসতে বাধ্য করে রাখতে চান মা।
এটা কিছুই না নিরাপত্তাহীনতার অভাব থেকেই তৈরি হয় বলে মনোবিজ্ঞানীরা বলেন। এবার সেই মেয়েটির কথা ভাবুন যে নতুন সংসার পেতেছে। তার স্বামী তার থেকে বেশি তার মাকে মানে শাশুড়িকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এটা একদিন দুদিন মেনে নেয়া গেলেও পরবর্তীতে মেনে নিতে একটু কষ্ট হয়।
অথচ উপায় কিছু নেই। মাঝখানে পড়ে ফ্যাসাদে পড়ে যায় বেচারা ছেলেটা। তাকে ধরবে আর কাকে ছাড়বে সেটাই বুঝে উঠতে পারে না, ফলে সম্পর্কে বাড়ে দূরত্ব।
আরো পড়ুন – চাহিদা বাড়ছে বিটকয়েনের, বিষয়টা আসলে কী?
একজন মানুষের জীবনে অন্য মানুষের ভূমিকা কি? জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে একের পর এক ঘটনা বোঝাতে আর বুঝতে সাহায্য করে। স্ত্রীর প্রতি যেমন স্বামীর কর্তব্য আছে মায়ের প্রতিও তার দায়িত্ব রয়েছে। আরি দুটো শব্দই কিন্তু ভালোবাসার নামান্তর।
পরিস্থিতি এরকম হতে দেওয়াই উচিত না যেখানে দুজনের মধ্যে কাকে ধরবেন আর কাকে ছেড়ে দেবেন এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হয়। প্রয়োজনে শ্বাশুড়ি আর বৌমার মধ্যে দারুন একটা বন্ধুত্বের সেতু আপনি হয়ে উঠে দেখুন না। একজন মেয়ের কথা আর একজন মেয়ে সবথেকে ভালো বুঝতে পারে।
আরো পড়ুন – ভাত প্রেমী মানুষ কি পাতে কাঁচা পেঁয়াজ রাখতে পছন্দ করেন? অভ্যাস টা ভাল না খারাপ?
একটু সময় দিয়ে একটু ঠান্ডা মাথায় বোঝা পড়া গুলো গুছিয়ে নিতে পারলেই কিন্তু অশান্তি দরজা থেকে পালিয়ে যায়। মা আপনাকে বড় করেছেন তিনি আছেন বলেই আপনি এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছেন তাই সবার আগে তাকে সম্মান দিতে হবে। আবার উল্টোদিকে আরেক মা তার সন্তানকে আপনার দায়িত্বে পাঠিয়েছেন। তাই সেই সম্মান রাখাও আপনার কর্তব্য।
আরো পড়ুন – স্লিপ প্যারালাইসিস রোগটার সম্পর্কে জানা আছে? নিজের অজান্তে আপনিও এই রোগের শিকার নন তো?
বন্ধুত্ব শব্দ টা কিন্তু সব ধরনের টানাপড়েনকে এক লহমায় ডিলিট করে দিতে পারে। সুস্থ সম্পর্ক গঠনের এটাই তো সময়। একটা ভালো সিনেমা মা এবং বউ দুজনকে নিয়েই দেখতে যান। মায়ের সঙ্গে ফন্দি করে বউকে সারপ্রাইজ দিন, বউয়ের সঙ্গে প্ল্যান করে মাকে নিয়ে বেড়াতে চলে যান। এই পৃথিবীতে সহজ হওয়াটা সবথেকে সহজ কিন্তু শব্দটার গুরুত্ব আজও কেউ বুঝতে শিখলো না।