Breaking Bharat: ব্যাংকে প্রচুর ঋণ আছে? মৃত্যুর পর কি ব্যাংক ঋণগ্রহীতার সমস্ত লোন মুকুব করে দেয়? ব্যাংক কী বলে? এরকম কোন নিয়ম কি আদৌ রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আজকে প্রতিবেদনে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং বাস্তব একটা বিষয় উত্থাপন করার চেষ্টা করলাম আমরা। যেকোনো ধরনের ভাবনা সমাজের দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে যদি তা সেলুলয়েডে প্রদর্শিত হয়। ঠিক ধরেছেন আমরা বলছি সিনেমা জগতের কথা।
সিনেমায় এরকম অনেক কিছু দেখানো হয় বাস্তবের সঙ্গে যার কোন মিল থাকে না। তাই সিনেমায় কী দেখানো হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে বসে থাকবেন না কোন বিষয়ে জানার আগ্রহ হলে তার সঠিক তথ্য অনুসন্ধান করুন। আজকের শিরোনামে যা বলা আছে তার সঙ্গে সিনেমার কথা কেন উল্লেখ করলাম সেটা হয়তো অনেকের কাছে স্পষ্ট।
ব্যাংক কী বলে?
ব্যাংক থেকে ঋণ নেবার পর তার সুদ দিতে না পারায় মৃত্যুর নাটক করে ব্যাংকে ভুল বোঝাবার মত একাধিক কনসেপ্টে সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর বাস্তব ভিত্তি আছে কি? ব্যাংক কী বলে? এরকম কোন নিয়ম কি আদৌ রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আজকালকার দিনে প্রত্যেক মানুষের ইএমআই নামক শব্দটার সঙ্গে একটা দারুন সম্পর্ক রয়েছে। ছোট বড় মাঝারি অর্থাৎ আপনার উপার্জনের লেভেল যেরকমই হোক না কেন ইএমআই নিয়ে টেনশন কিন্তু চূড়ান্ত লেভেলে থাকে তা বলাই বাহুল্য।
করোনা কালে ‘ইএমআই মুকুব‘ করা হবে কিনা সে নিয়ে বিস্তার আলোচনা হয়। যদিও কাজের কাজ বা লাভের লাভ মধ্যবিত্তের জন্য কিছুই হয়নি। কারণ নিজের কাজের জন্য কারুর বা গাড়ি বা বাড়ির জন্য ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয়। মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ে সেই লোনের টাকা পরিশোধ করতে হয় তাও আবার ইন্টারেস্ট মানে সুদ সমেত।
যদি না করতে পারেন তাহলে একটা মোটা টাকা এক্সট্রা চার্জ দিতে হয়। এখানেই শেষ নয় সিভিল স্কোরে এর বড় প্রভাব পড়ে। অনেকেই মনে করেন যে ব্যক্তির ‘ঋণ বা লোন‘ নিয়েছেন তিনি যদি হঠাৎ করে মারা যান তাহলে কি তার লোন আর পরিশোধ করার প্রয়োজন পড়ে না?
এই বিষয়ে সঠিক তথ্য আমরা এই প্রতিবেদনে জানাবো আপনাকে। আসলে গোটা বিষয়টাই নির্ভর করে পরিস্থিতির উপর। আর এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে একাধিক শর্ত। দেখুন যে ব্যক্তি লোন নিয়েছেন তিনি যদি লোন পরিশোধ করার আগেই মারা যান তাহলে সবার আগে ব্যাংক দেখে সেই লোন ইন্সুরেন্স করা আছে কিনা।
আরো পড়ুন – অভিনয় না করেও বলিউডের মালাইকা আরোরা কি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে?
যদি উত্তরটা হ্যাঁ হয় তাহলে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করার ব্যবস্থা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে একজন নয় দুজন আছেন সেক্ষেত্রে অন্যজন মানে যে দ্বিতীয় জন ঋণগ্রহীতা ছিলেন তাকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে নচেৎ শাস্তি হবে বলে ব্যাংকে তরফে জানা যাচ্ছে।
আরো পড়ুন – আপনি কি অলস? জীবনে পরিশ্রম করার জন্য কি সত্যিই কোনও অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়?
একইভাবে যদি কোন গ্যারান্টার থাকেন তাহলে তিনি পরিশোধ করার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ থাকবেন। সেটা না করলে ব্যাংক আইনি পদক্ষেপ করতে পারে। যদি মৃত গ্রিন গ্রহীতার ব্যাংকে কোন টাকা জমা থাকে বা যেটা হয়তো ম্যাচিওর হবে তাহলে সেখান থেকে লোনের টাকা ব্যাংক নিজে ডিডাক্ট করতে পারে।
আরো পড়ুন – আপনি কি অলস? জীবনে পরিশ্রম করার জন্য কি সত্যিই কোনও অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়?
সম্পত্তির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম একইভাবে প্রযোজ্য। এসব ক্ষেত্রে ব্যাংক right of set off কে execute করবে বলে নিয়মে বলা আছে। মানে ধরুন যদি মৃত ঋণগ্রহীতার নামে কোনো সম্পত্তি ব্যাংকের কাছে বন্ধক থাকে, সেটা ব্যাংকের নিয়মানুসারে নিলাম করে ঋণ আদায় করা যেতে পারে।
এমনও হতে পারে যে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি আছে কিন্তু সেটা ওই ব্যাংকের কাছে গথিত নয় সেক্ষেত্রেও ব্যাংক টাকা ক্লেম করতে পারে। যিনি মারা গেছেন তার উত্তরাধিকারী যদি কেউ থাকেন তিনি দায়বদ্ধ থাকবেন ঋণ পরিশোধ করার জন্য। কিন্তু এসবের কোনটাই যদি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ঋণ মুকুব করা ছাড়া ব্যাংকের হাতে অন্য কোন উপায় থাকে না। তবে সেটা পরিস্থিতি অনুযায়ী বিবেচিত হয়।