Breaking Bharat: সন্দেহবাতিক হওয়া কি দোষের? এটা কি একটা রোগ কী করে পরিত্রাণ পাওয়া যায় জানা আছে? এটা একটা রোগের লক্ষণ হতে পারে?
মানুষের জীবনের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিশ্বাস করতে শেখার মত শক্তপোক্ত হওয়া। রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ। তাই মানুষকে বিশ্বাস করার মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ আছে। বিশ্বাস করেই ঠকা ভালো এমন কথা অনেকেই বলেন। কিন্তু আজকের প্রতিবেদন বিশ্বাস না করে সন্দেহপ্রবণ হওয়া নিয়ে। আপনি কি জানেন এটা একটা রোগের লক্ষণ হতে পারে?
কেউ সন্দেহ করলে কি বুঝায়?
সিজোফ্রেনিয়া রোগের কথা অনেকেই হয়তো শুনেছেন। আসলে অতিরিক্ত সন্দেহ প্রমাণ হওয়া থেকেই এই রোগের সৃষ্টি হয়। এই রোগে আক্রান্ত রোগী মনে করেন তার বিরুদ্ধে প্রত্যেকটা মুহূর্তের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই সন্দেহ করার প্রবণতা বাড়তে থাকে তার মধ্যে (how to remove doubt from mind)।
সিজোফ্রেনিয়ার রোগীরা অযথায় যে সন্দেহ করেন এটা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে কোন দ্বিমত নেই। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলেও হতে পারে। অনেকেই জানতে চান সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন কিনা। এর উত্তরটা হলো সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে এবং মনোবৈজ্ঞানিক কৌশল মেনে জীবন যাপন করলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব এইসব রোগীদের।
সন্দেহ দূর করার উপায়:
ওষুধ খাওয়া এবং সাইকোলজিক্যাল পদ্ধতি মেনে চলতে পারলে রোগমুক্তি সম্ভব। গবেষণায় জানা গেছে বেশ কিছু পদ্ধতি যেমন হ্যালুসিনেশন নিয়ন্ত্রণ করা, ফ্যামিলি থেরাপি, যোগাযোগের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশল জানা এইসবের মাধ্যমেই একমাত্র মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। তবে আমরা বলি বিজ্ঞানের কথা। তাই ধারাবাহিকভাবে কিন্তু ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।
এবার একটু রোগীর বাইরে গিয়ে কথা বলা যাক যেগুলো নিজেদের থেকে সৃষ্টি হয় সেই বিষয়টা নিয়ে। ধরুন একই অন্যের প্রতি অবিশ্বাস থেকেই সব থেকে বেশি করে এই সন্দেহ শব্দটা জন্ম নেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা দেখা যায় স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে। বিশ্বাসের ভিত যদি মজবুত না হয় তাহলে সম্পর্কের সন্দেহ প্রবেশ করবেই।
আরো পড়ুন – রাইনোপ্লাস্টি কী? কীভাবে ভোঁতা নাক ঠিক করবেন জানা আছে?
যদি কোন মানুষরূপ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারকে দেখিয়ে চিকিৎসা শুরু করাতে পারেন কিন্তু যদি মনের মধ্যে অনবরত সন্দেহ করার বাহ্যিক তৈরি হয় তাহলে তো অচিরেই আপনি মানুষ থেকে রোগী তে পরিণত হবেন। সব থেকে বেশি করে যেটা দরকার সেটা হলো ঈশ্বরের ওপর ভরসা রাখা।
আরো পড়ুন – উপার্জন করা সত্ত্বেও কেন সবাই বড়লোক হতে পারে না বলুন তো?
আপনি যদি ভালো কাজ করেন তাহলে আপনার সঙ্গে সব সময় ভালো হবে। অকারণে অন্যের উপর সন্দেহ না করে নিজের কাজে মন দিন। শ্রী শ্রী সারদা মা বলতেন অন্যের দোষ খুঁজতে যাবার কোন প্রয়োজন নেই।
আরো পড়ুন – আপনার স্ত্রী কি আপনার থেকে বয়সে বড়? একাধিক সমস্যার আশঙ্কা রয়েছে বুঝি?
কারো অন্যের দিকে একটা আঙ্গুল তুললে নিজের দিকে আরো চারটি আঙ্গুল ধেয়ে আসে। এই চেষ্টা করুন যত ভালো করে নিজের কাজগুলো নিজে করতে পারবেন ততই ঈশ্বরের করুণা পাবেন আপনি। সন্দেহ করে কী লাভ যে মানুষটাকে মনে হচ্ছে সন্দেহের কারণ হতে পারে বলে তাকে ভালো করে চেনার চেষ্টা করুন।
যাই করুন না কেন নিজের বিচার বুদ্ধির ওপর আপনাকে আস্থা রাখতে হবে। অন্যজনের কথায় সন্দেহ করার মতো ভুল কখনো করবেন না যুক্তি দিয়ে বিচার করে সবটা বুঝুন।