Breaking Bharat: সবাই বড়লোক হতে চায় কিন্তু সবার কাছে প্রচুর টাকা থাকে না, তাই না? উপার্জন করা সত্ত্বেও কেন সবাই বড়লোক হতে পারে না বলুন তো ?
জীবনে প্রত্যেকেই চাই বড় হতে। আসলে ‘অর্থ উপার্জন‘ যে জীবনের অন্যতম এক লক্ষ্য এটা অস্বীকার করার কোন জায়গায় নেই। বড়লোক হওয়ার অর্থ ব্যাংক ব্যালেন্স আর বড় বাড়ি গাড়ি । বলা যেতে পারে আজকের সমাজে ধনী শব্দের অর্থ এটাই (Why can’t everyone be rich people?)।
কিন্তু রোজগার করার পরিমাণটা দিনের পর দিন বাড়া সত্ত্বেও ধ্বনি তকমাটা আপনার নিজের সঙ্গে কেন জুড়ছে না বলুন তো? চলুন এই নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
কী করলে আপনি বড়লোক হতে পারেন?
ধনী শব্দের এক কথায় অর্থ হল আপনার পকেটে আর ব্যাংক ব্যালেন্স এর সর্বত্র প্রচুর টাকা থাকবে। সেটা করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে সঞ্চয় বা জমানোর দিকে মন দিতে হবে অটোমেটিক্যালি খরচ কমবে। তাহলে ১০ টাকা উপার্জন হলে বড়লোক হতে গেলে অন্তত ৭ টাকা সঞ্চয় করতে হবে। সেটা কি সম্ভব ?
আগে ভেবে নিন। কথায় আছে ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না এক্ষেত্রেও এটা একই ভাবে প্রযোজ্য। ছোট কয়েকটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে ধরুন আপনার একতলা বাড়ি আছে। আপনার দোতলা বাড়ির প্রয়োজন নেই। কিন্তু পাশের বাড়ির বা পাশের পাড়ার নিজের প্রতিবেশী দোতলা হয়ে তিন তলা গড়ে ফেলল।
বাস মন খারাপ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক আপনিও সেই কাজে মন দিলেন তাহলে আর সঞ্চয়টা হলো কই? খরচের একটা বাজেট নিজেকে করতে হবে। আপনি নিজের জন্য যে নিয়মটা তৈরি করবেন তাতে কতটা উপার্জন করছেন প্রতি ঘন্টায় তার একটা হিসেব করতে পারেন তাহলে প্রতিদিনের উপার্জন এবং সেটাকে ৩০ দিয়ে হিসেব করে প্রতি মাসে উপার্জনের ভিত্তিতে খরচকে ভাগ করতে পারবেন।
ব্যাপারটা খুব সহজ দেখুন আপনি প্রতিদিন কত টাকা রোজগার করছেন। ধরে নিচ্ছি ১০০ টাকা। সেখানে আপনি সাত দিনের একটা অ্যাভারেজ তৈরি করুন যে প্রতিদিন আপনার যাতায়াত খাওয়া দাওয়া টুকিটাকি খরচ মিলিয়ে কত টাকা খরচ হচ্ছে।
আরো পড়ুন – জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে ইচ্ছুক? কী করলে অনেক টাকা রোজগার করতে পারবেন আপনি?
তাহলেই আয় এবং ব্যয়ের একটা হিসেবে পেয়ে যাবেন তাহলে সেখান থেকে কোথায় কত টাকা কম খরচ করবেন সেটা নির্ধারণ করা আপনার জন্য সহজ হবে। তবে বলতেই হচ্ছে ন্যূনতম চাহিদা গুলো পূরণ করার পর মানুষের কিছু স্বাদ আহ্লাদ থেকেই যায়।
এই জায়গাতেই অনেক সময় বাড়তি খরচ হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা বা প্রবণতা তৈরি হয়। যে টাকা রোজগার করছেন সেই টাকা কি আপনাকে আরও টাকা এনে দিচ্ছে? সেই হিসেব করতে হবে, তা না হলে বড়লোক হবেন কী করে?
আরো পড়ুন – মেয়েদের বয়স জিজ্ঞাসা করেন কি? একবারও ভেবে দেখেছেন এটা করলে মেয়েরা কেন রেগে যায়?
মনে রাখবেন পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই কিন্তু পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তার যেকোনো জুড়ি নেই সেটাও তো বোঝা দরকার। যত বেশি আপনি বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে নিজের কাজ হাসিল করতে পারবেন ততই দেখবেন সময় সাশ্রয় করছেন আর কোথাও গিয়ে অর্থ উপার্জন বেশি হচ্ছে।
যে টাকাটা রোজগার করলেন সেটা নিজের কাছে ঘরের মধ্যে বন্দী করে রেখে দিলে সেটা তো আর পরিমাণে বাড়বে না। তাই কোন জায়গায় ইনভেস্ট করলে বা কী ভাবে টাকা কোন কাজে লাগাতে পারলে তার পরিমাণ বাড়বে সেই দিকে হিসাব-নিকাশ করা প্রয়োজন।
আরো পড়ুন – এক কমপ্লেক্সে থেকেও পাশের ফ্ল্যাটের মানুষকে চেনেন কি? গ্রাম আর শহরের মধ্যে এই তফাৎটা কেন?
সবশেষে একটা কথা বলি ধনী বা গরীব এগুলো এক একটা বিশেষণ মাত্র জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করতে হলে আগে মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিবর্তন করে দেখুন। কারণ জীবনটা চলে যেতে এক মুহূর্তও লাগে না আর তখন সবকিছু পিছনে পড়ে থাকে। কিছু সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন না বিশ্বাস করুন।