Feel Cold All the Time: আপনার কী সবসময় শীত শীত অনুভূতি হয়? লেপ কম্বল চাপা দিয়ে হাত পা ঠান্ডা থাকে? জেনে নিন আসল কারণ!
মানুষ স্তন্যপায়ী প্রাণী। দেহের অস্থি মজ্জা বিন্যাস সম্পর্কে সকলেই অবগত। প্রত্যেকেই জানে যে মানুষ উষ্ণ রক্তের প্রাণী। অর্থাৎ দেহের ভিতরে রক্ত গরম বা উষ্ণ অবস্থায় থাকে। এটা অবশ্য সরীসৃপের মধ্যে দেখা যায় না। তারা শীতল রক্তের প্রাণী।
কিন্তু আমাদের দেহ সব আবহাওয়া আর সব তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারলেও এমন অনেকেই আছেন যারা বলেন যে কিছুতেই যেন শীত শীত ভাব যায় না। ঠিক কোন কারণের জন্য এমনটা হয় সেটা বোঝা দরকার।
বেশিরভাগ সময় শীত অনুভূত হওয়ার সম্ভাব্য কারণ:
বিজ্ঞান বলে আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের ত্বকের তাপমাত্রা বদলায়। যেমন গরমে আমাদের ত্বক ঠান্ডা থাকে আবার ঠান্ডায় একদম উল্টো ঘটনা দেখা যায়। তবু কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায় বটে। কারও কারও ক্ষেত্রে দেখবেন সারাবছরই হাত পায়ের তালু ঠান্ডা থাকে। চিকিত্সকেরা অনেক সময় বলেন যে বয়স বাড়লে ঠিক হয়েযাবে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে সবসময় এটা হয় না।
বয়স বাড়লেও অনেক সময় একই ঘটনা দেখা যায়। আসলে মনে রাখতে হবে যে আমাদের ত্বকের নিচে লক্ষ লক্ষ কোষ রয়েছে, সঙ্গে আছে শিরা ও উপশিরা, ধমনী যার মধ্যে দিয়ে প্রত্যেকটা মুহূর্তে রক্ত চলাচল করে। কিন্তু কোন জায়গায় যদি রক্ত চলাচল কম হয় লক্ষ্য করে দেখবেন সেইখানটা ঠান্ডা লাগে।
এই যে সারাক্ষণ শীত শীত অনুভূত হওয়া গরম পোশাক পড়ে ও ঠান্ডা লাগা এর কারণ হিসেবে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হতে পারে। আসলে হিমোগ্লোবিন রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে সমস্ত কোষের মধ্যে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পৌঁছে দেয় যেখানে খাবার পরিপাক হয়ে শরীরের মধ্যে তাপ সৃষ্টি করে। তাই এরকম সমস্যা দেখা দিলে একটা হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করে নেয়া উচিত।
আরো পড়ুন – মহাতীর্থ কেদারনাথ মন্দির সম্পর্কে কতটা জানেন আপনি? পুজো নিতে দেবতা কে আসন ছেড়ে নিচে নামতে হয়?
আবার যদি হাইপোথাইরয়েডিজম থাকে তাহলেও এই সমস্যা হতে পারে। বিজ্ঞান বলে থাইরয়েড হলো শরীরে শক্তির ভারসাম্য রক্ষাকারী গ্রন্থি। এখান থেকে সঠিক পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন বের না হলে এই সমস্যা হতে পারে। রনৌডস ডিজিজ হতে পারে আপনার এই রোগে আক্রান্ত হলে সেই ব্যক্তির হাত,পায়ের ছোট রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায়।
আরো পড়ুন – ডেকান ওডিসি! রেলগাড়ি চড়তে কত খরচ হতে পারে? এক রাতের ভাড়া ১১ লক্ষ টাকা হতে পারে?
ফলে স্বাভাবিক কারণেই গরম রক্ত সেখানে পৌঁছতে পারে না। আপনার যদি সুগারের সমস্যা থাকে মানে অনিয়ন্ত্রিত সুগার থেকেও আপনি পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিতে আক্রান্ত হতে পারেন।এর পাশাপাশি নিজের কোলেস্টরল সম্পর্কে সতর্ক থাকুন কোলেস্টেরল যদি রক্তনালীর ভেতরে জমতে থাকে তাহলে কিন্তু মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুন – দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝুন বা না বুঝুন, আক্কেল দাঁতের মর্যাদা আপনাকে বুঝতেই হবে, তাই না?
বিশেষ করে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রক্তনালীর ভেতরে রক্ত ঘন হওয়ার কারণে হৃদপিন্ডে চাপ পড়তে পারে। আরেকটা বিষয় হলো দুশ্চিন্তা অতিরিক্ত করলেও কিন্তু এই ধরনের সমস্যা হয় মানে এই একটা শীত শীত ভাব আপনার মধ্যে সারাক্ষণ থাকবে।
সেভাবে হয়তো প্রতিকার না মিললেও প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার কথা বলব আমরা। কারণ শীতকালে এমনিতেই জল খাওয়ার প্রবণতা একটু কম থাকে। যত বেশি জল খাবেন তত শরীর সুস্থ থাকবে এবং রক্ত চলাচল বা কিডনি ঘটিত কোন সমস্যাই হবে না। তখন দেখবেন একসঙ্গে একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন আপনি।