Breaking Bharat: আপনি কি নলকূপের জল পান করেন? গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা এবং শীতকালে গরম জলের ম্যাজিক জানেন?
গরম আর ঠাণ্ডা মূলত এই দুটো ঋতুর অনুভূতি ছাড়া বঙ্গে আর অন্য কোনও ঋতুর খুব একটা বোধ নেই বললেই চলে। বছরের অর্ধেক সময় গরমে হাঁসফাঁস করা অবস্থা চলে আর সেটা যখন থাকে না তখন চলে ঠাণ্ডা অনুভূতি। মাঝে অবশ্য বৃষ্টির জন্য কিছুটা ভাসতে হয় বঙ্গবাসীকে। তবে গরমে ঠাণ্ডা থাকার ইচ্ছে আর শীতে গরম হওয়ার ইচ্ছে সবার থাকে। আর এই অনুভুতি যেন বাড়িয়ে দেয় পিপাসাকে (Drink tube well water benefits)।
তাই তো গরমে ঠাণ্ডা জল আর ঠাণ্ডায় গরম জল খেতে উৎসাহী হই আমরা। আর এই ক্ষেত্রে যেন নলকূপ বা চাপকলের কোনও বিকল্প থাকে না। কিন্তু নলকূপে ঋতু অনুযায়ী বিপরীত আবহাওয়ার জল ওঠে কেন? আসুন বিজ্ঞানের সাহায্য নেওয়া যাক।
মনে রাখতে হবে যে টিউবওয়েলের মাধ্যমে যে জল ওঠে সেটা অবশ্য খুব বেশি গভীর নয়। এই ধরুন মাত্র মাত্র কয়েক’শ মিটার মতো হবে। এই ধরণের জলকে বলা হয় ‘সারফেস ওয়াটার‘ । অন্যদিকে আবার যদি গভীরতা বেশি হয় তাহলে সেখান থেকে যে জল ওঠে তাকে বলা হয় গ্রাউন্ড ওয়াটার । শিতকালে সেখান থেকে গরম জল আর গ্রীষ্মকালে ঠাণ্ডা জল পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন – বিছানায় খাবার! প্রবাদ আছে ” খেতে পেলে শুতে চায়” , কিন্তু তাই বলে শোবার জায়গা খাওয়া কি যায়?
আসলে মাটির নিচে যে সার্ফেস থেকে টিউবওয়েলের মাধ্যমে জল ওঠে সেই সার্ফেসে জলের তাপমাত্রা মূলত ধ্রুবক হিসেবেই থাকে। আর এটা প্রায় ১৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। গরমকালে বা শীতকালে যখন জল ওঠানো হয় তখন ১৫-২০ ডিগ্রি। এবার গরমকালে টিউবওয়েলের উপরের পরিবেশ অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে তাপমাত্রা প্রায় ২৭-৩০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকে।
আরো পড়ুন – মহিলাদের স্বাবলম্বী হওয়ার প্রবণতা কি কমছে? পরবর্তী সময় কি আমাদের আরও পিছিয়ে দিল?
তাই যখন ৩০° সেলসিয়াস তাপমাত্রার পরিবেশে থেকে ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার জল খান মানুষ তখন সেই জল ঠাণ্ডা লাগে। আর এই ১৫-২৫°সেলসিয়াসের তাপমাত্রাযুক্ত জল যখন শীতকালের ১০-১৫ ডিগ্রির পরিবেশের সংস্পর্শে আসে তখন তা গরম লাগে। কখনো কখনো আবার সারফেস ওয়াটার বলতে কেবল নদী, সাগর, পুকুরকেই বোঝান হয়।
আরো পড়ুন – যমজ সন্তান নিয়ে একাধিক ভুল ধারণা আছে, আসল সত্যিই জানেন কি?
মনে রাখতে হবে এলাকাভিত্তিক এই গ্রাউন্ড ওয়াটারের একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা রয়েছে। শীতে তখন বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রার চেয়ে নলকূপের জল গরম বলে অনুভূত হয়। আবার গরমের সময় বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে এ সময় নলকূপের জল বাইরের তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় নলকূপের জল ঠাণ্ডা বলে মনে হয়।