Twins baby symptoms: যমজ সন্তান নিয়ে একাধিক ভুল ধারণা আছে, আসল সত্যিই জানেন কি? পৃথিবী জুড়ে নানা রকমের মানুষ থাকেন। একেক জন মানুষের একেক রকমের বৈশিষ্ট্য আছে। এটা সেই মানুষকে একটা আলাদা পরিচিতি দেয়।
একটা মানুষের বাইরের আকার কখনোই তার আসল পরিচয় প্রকাশ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে কোনো মানুষের ভেতরে কী গুন আছে সেটাই বড় কথা।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বোধ হয় বাহ্যিকভাবে শারীরিক কিছু বৈশিষ্ট্য কখনো কখনো দুজন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। এটা একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে আর আমরা এই প্রসঙ্গে বলবো যমজ সন্তানদের কথা।
যমজ সন্তান নিয়ে ভুল ধারণা:
জমজ সন্তানদের নিয়ে হামেশাই বাবা-মায়ের থেকে পারিপার্শ্বিক লোকজনের সমস্যা বেশি থাকে। একাধিক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যমজ মানুষদের নিয়ে। এর মধ্যে কোনটা সত্যি আর কোনটা সম্পূর্ণ ভুল জানাবো আপনাদের।
আমাদের জীবনের অনেকটা জুড়ে রয়েছে সিনেমার প্রেক্ষাপট। বাস্তব থেকে সিনেমা অনুপ্রাণিত হয়, কখনো কল্পনা থেকে কিন্তু সিনেমায় ঘটে অনেক কিছুই আমরা বাস্তব বলে ধরে নিয়ে থাকি। এর একটা ছোট্ট উদাহরণ হচ্ছে যমজ নিয়ে তৈরি হওয়া একাধিক হিন্দি বাংলা সিনেমার নানা ঘটনাকে ঠিক ভেবে ধরে নেওয়া।
যেমন সিনেমা দেখানো হয় যমজ ভাইদের মধ্যে একজনকে মারা হলে অন্যজন ব্যথা পায়। একজনের যদি কোন রকমের বিপদ আসে অন্যজন ঠিক তা টের পেয়ে যায়। বিষয়টা কতটা সত্যি নাকি অনেকটাই কাকতালীয় এটা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণা করেছেন। আসলে এই যে একে অন্যের কথা বুঝতে পেরে যাওয়া বৈজ্ঞানিক ভাষায় এর নাম ইএসপি বা এক্সট্রা সেনসরি পারসেপশন।
আপনাদের জানাই ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের টুইন স্টাডিজ সেন্টারের তথ্য থেকে জানা যায় পশ্চিমী দেশে জন্ম নেওয়া অন্তত ৮০ জনের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে একটি ‘যমজ সন্তান‘ দেখা যায়। বাকিদের তুলনায় তাদের একে অন্যের প্রতি টান বেশি থাকে।
আরো পড়ুন – চাণক্য নীতির কথা শুনেছেন নিশ্চয়? কিন্তু মানুষটাকে কতটা চেনেন? কেন তাকেই ‘ গুরু’ ধরা হয়?
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে অনুভব করার মতো কোন বিশেষ ক্ষমতা যমজদের থাকে না। যদি কখনো এটা দেখা যায় তাহলে সেটা নিতান্তই কাকতালীয় ভেবে নিতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় মূলত আইডেন্টিকাল এবং ফ্র্যাটার্নাল – এই দু ধরনের যমজ দেখা যায়। আসলে একই ভ্রূণ যদি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় তাহলে আইডেন্টিক্যাল যমজ সন্তানের জন্ম হয় ।
সেক্ষেত্রে এদের শারীরিক গঠন, মানসিক গঠন, DNA সবই প্রায় একই থাকে। জন্মের পর দুজন বেড়ে ওঠে একইভাবে একই সাথে। এমনকি দুজনেরই একই ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দুজনের একই কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হয়।
আরো পড়ুন – চিংড়ি মাছ কি আপনার প্রিয়? কিন্তু এই মাছেই যে লুকিয়ে যে মারাত্মক বিপদ! জানেন কি?
কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত কারণ হিসেবে এমন ভাবাটা অযৌক্তিক যে একজনের ব্যথা আর অন্যজনের ব্যথা একই কারণে হবে। এগুলো সবটাই সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত ভাবনা যার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই বলছেন বিজ্ঞানীরা।
আরো পড়ুন – ‘কন্যাদান’ কত বড় অন্যায় সে কথা জানেন? সমাজের কিছু নিয়মের পরিবর্তন আনতে এত সমস্যা কোথায়?
দুটো মানুষ যদি একসঙ্গে অনেকক্ষণ বা অনেক বছর ধরে থাকে তাহলে খুব স্বাভাবিক কারণেই তাদের মধ্যে একটা আত্মিক বন্ডিং তৈরি হয়। সেই কারণে একে অন্যের ব্যথা অনুভব করা এমন কিছু কঠিন কাজ নয়। এর সঙ্গে যমজ তত্ত্বের মিল নেই।