Breaking Bharat: ভিতরের জ্ঞান নাকি বাইরের চাকচিক্য, বিজ্ঞানী না সেলিব্রেটি কে বেশি প্রিয়? জনপ্রিয়তা পাওয়ার মূল শর্ত কোনটি?
শিক্ষার একটা মানদন্ড আছে এটা যেমন সত্যি ঠিক তেমনি জনপ্রিয়তার ক্ষেত্রে ঠিক কোন বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে সেটা বোধহয় অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয়। এই প্রতিবেদনে কাউকে ছোট না করেই বলা যায় কারা শিক্ষকের থেকে বেশি আকর্ষণ কিন্তু বিনোদন জগতের মানুষের। এটা কার সৌভাগ্য কার দুর্ভাগ্য তা অবশ্য জানা নেই কিন্তু এটা বাস্তব।
জীবনে চলার পথে একাধিক ঘটনায় আমরা সমৃদ্ধ হই। এর মধ্যেই মনে রাখার মত কিছু ঘটনা লুকিয়ে থাকে। যে ঘটনাগুলো সম্পর্কে আমরা হয়তো জনমানুষে জানতে পারি না কিন্তু নীরবে কিছু মানুষ কাজ করে যান। আমাদের দেশের আমাদের রাজ্যের বিশ্বজুড়ে ঠিক সেভাবেই কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেটা জল, স্থল বা আকাশ সর্বত্রই নতুন নতুন আবিষ্কারের খোঁজে তারা সদা ব্যস্ত। বিজ্ঞানীরা দিনরাত কাজ করে চলেছেন কিন্তু সেটা সবার অগোচরে। মিডিয়ার লাইম লাইট সেখানে পৌঁছয় না তাই তারা খবরে আসতে পারেন না।
আজকের দুনিয়া প্রচার সর্বস্ব অর্থাৎ যা কিছু সামনে আসবে আর তাতে ঝকঝকে একটা ব্যাপার থাকবে খুব তাড়াতাড়ি সেটাই ভাইরাল হয়ে যাবে। পাশাপাশি ব্যতিক্রমী কোন ঘটনা ঘটলেও সেটাও সোশ্যাল মিডিয়া বা টেলিভিশনের দৌলতে সবার কাছে দ্রুত পৌঁছে যায়। কিন্তু যেগুলো সহজে বোঝা যায় সেইসব জিনিস বা ঘটনার ক্ষেত্রেই এমন সাফল্য আসে।
এক্ষেত্রেই সেলিব্রেটিরা এক কদম এগিয়ে যান। কারণটা খুব সহজ সেলিব্রেটি মানেই সব সময় গ্ল্যামারের আলোয় ঝলমল করা। তাদের খবর সব সময় উপরের দিকে থাকে। তাদের জীবন নিয়ে কর্মকাণ্ড নিয়ে মানুষ আগ্রহী হন।
আসলে তারা এমন একটা জগতের মধ্যে থাকেন যে জগতে খুব তাড়াতাড়ি খবর তৈরি হয়। সেটা হতে পারে সিনেমা কিংবা খেলাধুলা কিংবা গানবাজনা, সমাজের তথাকথিত চিন্তা ভাবনায় তারাই ‘স্টার’। আর তারাদের বিষয়ে জানতে কেইবা চায় না বলুন তো? সবারই তো আগ্রহ থাকে।
এই প্রসঙ্গে আরো একটা বিষয় বলা দরকার। প্রতিটা মানুষের পছন্দ-অপছন্দের একটা নিজস্ব বৃত্ত থাকে। তাদের মানসিকতা এবং সামাজিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করেই এই গণ্ডিটা তৈরি হয়। যেমন বলিউডের ডান্স নাম্বার একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের যতটা পছন্দের হবে একটা ছোট্ট শিশুর কাছে কার্টুন তার থেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হবে।
আরো পড়ুন – বিয়ের পর কি পড়াশোনা বন্ধ? প্রতিশ্রুতি রাখলো না শ্বশুর বাড়ি?
এটা একটা উদাহরণ মাত্র। ঠিক তেমনি সিনেমা বা খেলাধুলার জগতের তারকারা সকলের কাছে সহজে পৌঁছে যান কারণ এই বিষয়টা সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষ জানে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা যে বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন অর্থাৎ বিজ্ঞান নিয়ে তার সম্পর্কে ক’জনের জ্ঞান আছে?
এমনিতেই পড়াশোনার সিলেবাসের বাইরে খুব একটা বেশি বিজ্ঞান চর্চা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় না , এটা কঠিন হলেও বাস্তব বটে। তাহলে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন কাজকর্ম যদি প্রত্যেকটা মুহূর্তের লাইন লাইটে নিয়ে আসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মাধ্যম চেষ্টা করে মানুষের আগ্রহ জন্মাবে কি?
আরো পড়ুন – মাথার তালুতে ব্যথা? মাথা ব্যথার ধরন! মাথা ব্যাথা হলে কি করণীয়? মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
তবে ঐতিহাসিক কোন ঘটনা যদি ঘটে যেমন ধরুন চাঁদে আবার কোন মানুষ যাচ্ছেন। কিংবা চন্দ্রযান তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সেই রাত জেগে টেলিভিশনের পর্দায় কিংবা মোবাইলে স্ক্রিনে দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই। যদিও এ ক্ষেত্রে নেপথ্যের কারিগর অর্থাৎ বিজ্ঞানীদের কথা কারোর মাথায় আসে না, নাম জানা তো দূরের কথা (Scientist or celebrity favorite reddit)।
আরো পড়ুন – পড়াশোনায় ভালো নম্বর পেলেই কি শিক্ষিত বলা যায়? অশিক্ষিত মানুষ চেনা কতটা কঠিন?
বিনোদন বা খেলাধুলা আমাদের মনে আনন্দ দেয় আর বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞান বা তাদের আবিষ্কার আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে কী কাজে লাগবে এটা বুঝতেই অনেকটা সময় লেগে যায় তাই ইন্টারেস্ট জায়গার প্রশ্নই ওঠে না। আর এত কিছুর জন্যই বিজ্ঞানীরা সেলিব্রিটি হয়ে উঠতে পারেন না কখনোই।