Breaking Bharat: পৃথিবীর বাইরে আছে আরেক পৃথিবী? সেখানে যাওয়ার রাস্তা কি জানা আছে আপনার? এই সৌধের ভেতরেই আছে কিছু রহস্যময় দরজা! বন্ধ দরজা পেরিয়ে অন্য বিশ্বের খোঁজে বিজ্ঞানীরা!
বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু রহস্যময় দরজা:
এই পৃথিবী বিশ্বের বিস্ময়। তবে কি এবার অন্য কোনও পৃথিবীর সন্ধান পেতে চলেছেন বিশ্ববাসী? অজানাকে জানার উৎসাহ মানুষের সব সময়ই বেশি ছিল। তাই চিরকাল ই এই পৃথিবী ছাড়া অন্য কোন পৃথিবী আছে কিনা তার সন্ধানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বিজ্ঞানী থেকে গবেষক প্রত্যেকেই।
সৃষ্টির রহস্য উদঘাটনে একাধিক তথ্য হাতে এসেছে আর রহস্য তাতে বেড়ে গেছে দ্বিগুণ হারে। এর সঙ্গে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের লড়াই বেঁধেছে। বিশ্বাস বলছে বিশ্বের শেষ প্রান্তে চারটি দরজা খুলতে পারলেই অন্য বিশ্বের প্রবেশ করা যাবে। অবিশ্বাস বলছে এটা অসম্ভব। এই দুইয়ের মাঝে পড়ে টানাপোড়েন নিয়ে রহস্য উন্মোচনে ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা।
বন্ধ দরজার ওপারে কী রহস্য আছে?
বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু রহস্যময় দরজা আছে যা খুলতে পারলে নাকি সোজা চলে যাওয়া যাবে অন্য বিশ্বে। এই তালিকায় প্রথম নামটি এদেশের এক অসামান্য স্থাপত্য কীর্তির। প্রেমের প্রতীক হিসেবে বিচার্য হওয়া তাজমহল দিয়েই এই প্রতিবেদন শুরু। বন্ধ দরজার ওপারে কী রহস্য আছে, এটাই ছিল আমাদের প্রশ্ন ।
আর সেখানেই তাজমহলের নাম । প্রয়াত স্ত্রী মুমতাজ বেগমের স্মৃতিতে এই বিস্ময়কর সৌধ তৈরি করেছিলেন মুঘল সম্রাজ শাহজাহান। নির্মাণে লেগেছিল প্রায় কুড়ি বছর আর এই সৌধের ভেতরেই আছে কিছু রহস্যময় দরজা, যা আজ পর্যন্ত কোনদিনই খোলা হয়নি।
তাজমহলের ভিতরে মোট ১০৮৯টি কক্ষ রয়েছে বলে জানা যায়। এগুলির মধ্যে বেশিরভাগটাই গুপ্ত কক্ষ হিসেবে চিহ্নিত। কোনদিনই এই দরজা খোলা হয় না ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। কর্তৃপক্ষ যুক্তি দেয় এই কক্ষ গুলি মার্বেল দিয়ে তৈরি যা বাতাসের কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা থেকে যায়।
এর ফলে তাজমহলের চারপাশে চারটি মিনার ভেঙে পড়তে পারে কারণ এই কক্ষ গুলিতে বায়ু চলাচলের কোন ব্যবস্থা নেই। অনেকে বিশ্বাস করেন এই রহস্যময় কক্ষ গুলির মধ্যে কোন একটিতে সমাধিস্থ করা হয় মুমতাজকে যা এখনো অক্ষত। কিন্তু আসল সত্যি কোনটা জানেন না কেউই।
দেশ থেকে এবার বিদেশে। কানাডার ব্যানফ স্প্রিংস্ হোটেল ছুটি কাটানোর জন্য নিদারুণ সুন্দর এবং জনপ্রিয় স্থান। কিন্তু জানেন কি অভিজাত এবং বিলাসবহুল এই হোটেলের মধ্যে লুকিয়ে অলৌকিক রহস্য ? এই হোটেলের ৮৭৩ নম্বর ঘরটি নিয়ে একাধিক রহস্য রয়েছে। এই ঘরে প্রবেশের অনুমতি কারোর নেই । এইবার টুইস্ট অন্য জায়গায় কারণ অষ্টম তলে এই ঘরটি রয়েছে বলে জানা যায়।
কিন্তু সত্যিই ঘর আছে কি? আসলে অষ্টম তলে গিয়ে আপনি একটা ফাঁকা দেয়ালের বড় অংশ ছাড়া কিছুই দেখতে পাবেন না কারণ পুরোটাই অদৃশ্য। শোনা যায় অতীতে এক দম্পতি এই ৮৭৩ নম্বর ঘরে থেকে ছিলেন। কিন্তু কর্তা পাগল হয়ে যান আর এই ঘরেই তার স্ত্রী এবং মেয়েকে মেরে ফেলেন।
এখানকার মানুষের বিশ্বাস রহস্যময় এক দরজা আছে এখানে, যা বেরোলেই অন্য বিশ্বের দরজা খুলবে চোখের সামনে তাই সেটা অদৃশ্য। এবার মিশরে যাওয়া যাক। মিশর মানে পিরামিড। আর রহস্যময় পিরামিডের মাঝেই আছে স্ফিংস্-এর মূর্তি। কিন্তু আপনি কি জানেন এই মূর্তির ২৫ ফুট গভীরতায় দুটি আয়তক্ষেত্রাকার কক্ষ রয়েছে?
আরো পড়ুন – মন্দিরের অলৌকিক ঘটনা কি চাক্ষুষ করেছেন কখনো? ভাঙা শিবলিঙ্গ জুড়তে দেখেছেন?
এই কক্ষগুলি স্ফিংস-এর পাঞ্জার ভিতরে রয়েছে এবং সিসমোগ্রাফের সাহায্যে আবিষ্কার করা সম্ভব নয়। গবেষকরা বলেন কোন এক অজ্ঞাত কারণে এই কক্ষের দুটি পাশে দুটি প্রবেশ পথকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দরজার পিছনের রহস্যময় স্থান সম্পর্কে খুব একটা কিছু জানা সম্ভব হয়নি তবে অনেকেই মনে করেন দরজার ওপাড়ে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর। প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনে যাবেন ?
আরো পড়ুন – দেশে কোন মহিলার নামে প্রথম রেলস্টেশন! এক মহীয়সী নারীর নামাঙ্কিত স্টেশন চোখে পড়েছে?
চিনের কিং শি হুয়াং রাজার সমাধি ঘিরে নানা কাল্পনিক দৃশ্য দেখানো হয়েছিল সিনেমাতে। চিনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং-এর পিরামিডটি প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। ভাবতে পারেন সিংহাসনে বসার পরই রাজা শি হুয়াং নিজেই নিজের কবর তৈরি করেন?
আরো পড়ুন – পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তিপীঠ কোথায় জানা আছে? এই মন্দিরে দেবীর ছিন্ন মস্তক পুজো করা হয়
এখানেই শেষ নয়, তিনি কবরের ভিতর তাঁর দেহের নিরাপত্তা এবং পরজন্মে পুনরায় রাজা হওয়ার লক্ষ্যে টেরাকোটার একটি বিশাল মানুষের মূর্তি এবং পূর্ণাকার সৈন্যবাহিনী তৈরি করে রেখেছিলেন বলে জানা যায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো সেই টেরাকোটার সেনাবাহিনী প্রায় দুই হাজার বছর পরও মাটির নীচে অক্ষত (most dangerous door in the world)।
সমাধি নাকি অভিশপ্ত তাই সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু সমাধির অন্যপ্রান্তে রয়েছে এমন এক দরজা যা সোজা নিয়ে যেতে পারে অন্য কোন বিশ্বে। এই বিশ্বাস আজও রয়েছে।