Breaking Bharat: মধু খেতে ভালোবাসেন? বাজারে গিয়ে আসল মধু চিনবেন কী করে? মধুর মিলন মধুর হাসি সকলেই ভালোবাসেন আর মধু খেতে অপছন্দ করেন এমন মানুষ পাওয়া যায় না। কথায় আছে না মধুরেন সমাপয়েত, অর্থাৎ শেষ ভালো যার সব ভালো। সেই মিষ্টি মধুর শেষের কথা বললেই মধুর কথা মাথায় আসে। খাঁটি মধু আর ভেজাল মধু চিনতে পারা খুব দরকার (Pure honey and adulterated honey side effects)।
আপনি কি জানেন প্রাকৃতিক খাঁটি মধু যে কোনও পাত্রে কিছুদিন রেখে দিলে মধুর পরাগরেণুর হালকা আবরণ পড়বে। এর একটা স্বাস্থ্যসম্মত যুক্তি আছে। কারণ এই পরাগ রেণু উন্নত প্রোটিনের উৎস বটে।
গ্রিকরা মধুকে শক্তিশালী ওষুধ বলে মনে করতেন:
আসল মধুর বৈশিষ্ট্যগুলো বুঝতে পারলেই দেখবেন তখন আর মধু কিনতে গিয়ে অকারণে ঠকতে হচ্ছে না আপনাকে। খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৭০০০ বছর থেকেই মানুষ মধু ব্যবহার করে আসছে। কেনিয়ার মাসাই উপজাতি মধুকে ঈশ্বরের দান বলে মনে করতেন একটা সময় আর দল বেঁধে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। গ্রিকরা মধুকে শক্তিশালী ওষুধ বলে মনে করতেন।
তাদের সংস্কৃতির একটা বিশাল অংশ জুড়ে মধুর আধিপত্য ছিল। রোমানদের কাছেও মধু ছিল আশীর্বাদের মতো। সপ্তদশ শতকের দিকে ইউরোপের মানুষও মধু ব্যবহারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কৃত্রিম জিনিসের ব্যবসা যতই বাড়ুক না কেন প্রাকৃতিক মধুর গুরুত্বই আলাদা।
আসলে মৌমাছির চাক থেকে সংগ্রহ করা ‘খাঁটি মধু’র স্বাদই আলাদা। মৌমাছিদের মধুই কিন্তু আসল মধু বাজারে যেটা পাওয়া যায় সেটা কখনোই খাঁটি মধু নয়। আসলে মধুর সংগ্রহ করার পর সেটাকে যেভাবে প্রসেস করা হয় তাকে তার আসল গুণ এবং পুষ্টিমান দুটোই কমে যায় (Pure honey and adulterated honey benefits)।
কেওড়া মধু একটু টক – মিষ্টি স্বাদযুক্ত হয়:
সাধারণত খলিসা মধুকেই সবচেয়ে ভালো মধু বলা হয়ে থাকে। বাংলা মাসের হিসেবে ফাল্গুনী এই মধু পাওয়া যায় এটা সাদা ফুলের মধু। আবার পশুর ফুলের মধু একটু হালকা লালচে ধরনের হয়ে থাকে। আবার কেওড়া মধু একটু টক-মিষ্টি স্বাদযুক্ত হয়।
আরো পড়ুন – কারো সামনে ভনভন করছে? মশার কামড়ে অতিষ্ঠ? সঙ্গে মশা আপনার সব রক্ত খেয়ে নিতে পারে?
আপনাকে কয়েকটা বিষয় বলে রাখা দরকার যার মধ্যে প্রথম এবং প্রধান হল মধুর স্বাদ কখনোই তিক্ত বা ঝাঁঝালো হবে না সর্বদাই মিষ্টি হবে। মনে রাখবেন খাঁটি মধু জমে যাবে এটা খুব স্বাভাবিক এবং বিজ্ঞানসম্মত বিষয় । আসলে মধুর অন্যতম উপাদান গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ৷ মধুতে গ্লুকোজের পরিমাণ যদি বেশি থাকে সেটি অল্পদিনেই জমে যায়৷
আরো পড়ুন – সম্পর্ক নষ্ট করার ক্ষেত্রে একটা ইগো যথেষ্ট, তাই নয় কি? ইগো আসলে একটা অহংকার বোধ!
মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। মধু তে থাকা বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের কারণে এর পুষ্টিগুণের শেষ নেই। হজমের সাহায্য করা, ইমিউনিটি বাড়ানো, শ্বাসকষ্ট কমানো একের পর এক শারীরিক উপকারিতায় মধু সবার আগে নিজের নাম লিখিয়েছে।
আরো পড়ুন – বোল্ড বৌদির বুলেট কাণ্ড জানেন? ঘোমটা দিয়ে শাড়ি পরে কাঁপিয়ে দিলেন বুলেট বৌদি!
শীতের দিনে খাঁটি মধুতে দানা বেঁধে যায়। এটা থেকে সেটা আসল কিনা ধরে নেওয়ার সহজ হয়। মধু কখনোই খোলা বোতলে রাখবেন না বা রেফ্রিজারেটরের মধ্যেও রাখবেন না। প্রাকৃতিক কারণেই কিছুদিন পর মধু তার গন্ধ রং বদল করে। এতে চিন্তার কিছু নেই।