Breaking Bharat: কারোর কাছে ভিক্ষা চাওয়া কি অপরাধ? কিন্তু ভিক্ষার নামে এ কী কাণ্ড ঘটালেন মহিলা? এভাবেও কোটিপতি হওয়া যায়?
ভিক্ষা করার মধ্যে অন্যায় আছে নাকি ইচ্ছা এটা নিয়ে অনেক তর্ক হয়েছে। তবে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে যাওয়ার থেকে অন্যের আশ্রয় বেঁচে থাকাটাকে কেমন যেন একটা অভ্যাস করে তুলেছে। পরজীবী হয়ে থাকতে থাকতে কাজ করার তাগিদটা অনেকেই হারিয়ে ফেলছেন। কিন্তু আজকের প্রতিবেদন সেই মানুষদের নিয়ে নয়।
অন্যকে ঠকিয়ে আজ নিজে কোটিপতি?
আজকে আমরা এমন একজনের কথা বলব যিনি ভিক্ষা বিষয়টাকে শুধু যে কলুষিত করেছেন তাই নয় অন্যকে ঠকিয়ে আজ নিজে কোটিপতি হয়েছেন। দিনের পর দিন ভিক্ষা করে মানুষের থেকে সহানুভূতি এবং টাকা আদায় করে এক গল্পের পাহাড় তৈরি করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই গল্প নিজেই ভাইরাল করেছেন। ভাবতেও পারবেন না গোটা কর্মকাণ্ডকে অত্যন্ত গভীর দক্ষতায় কী ভাবে বাস্তবায়িত করেছেন এই সুন্দরী যুবতী।
মানুষ প্রয়োজনে তাগিদে ভিক্ষা করে যাতে পেট চালানো যায়। কিন্তু অনেকের কাছেই এটা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের কাছে এটা অভাবে আবার অনেকের কাছে স্বভাবে আজ অন্যতম পেশা ভিক্ষাবৃত্তি। আজকে যার কথা বলছি তুমি পাঁচ বছর ধরে ভিক্ষা করেছেন এবং মানুষকে ঠকিয়ে বিপুল টাকা সঞ্চয় করে আজ কোটিপতি হয়ে উঠেছেন।
আরো পড়ুন – মোবাইল ক্যামেরার বাড়বাড়ন্ত হওয়ায় এই কোম্পানি গুলো আজ পুরোপুরি দেউলিয়া!
তার পরিচয় জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন প্রত্যেকেই। তবে আমরা এ দেশের কোন মহিলার কথা বলছি না আমরা বলছি পাকিস্তানি আর যুবতীর কথা। যিনি গর্ব করে তার মিথ্যা ভাওতাবাজির কথা আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় জাহির করতেও বিন্দুমাত্র সময় নেননি। বয়স্ক খুব একটা বেশি নয় কিন্তু ইতিমধ্যেই বড় গাড়ি বাড়ি সবই তার হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।
সবকিছুতেই বড়লোক হওয়ার মুন্সিয়ানা:
মালয়েশিয়ায় নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। এক কথায় বলতে গিয়ে হয়তো একটু থমকে যেতে হয় কারণ দামী পোশাক থেকে শুরু করে মুখের মেকআপ সবকিছুতেই তিনি বড়লোক হওয়ার মুন্সিয়ানা ফুটিয়ে তুলেছেন। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ভিক্ষা করে।
দিনের পর দিন মানুষকে বোকা বানিয়ে বিপুল অর্থ আয় করেছেন তিনি। তাই যারা ভিখিরি তাদের যে ধরনের চেহারা আপনার চোখে মুখে ভাসে এই যুবতী তার ধারে কাছে দিয়েও যান না।
আরো পড়ুন – চীনাদের প্রিয় খাদ্য? চীনারা রাতের খাবারে কি খায়? কিন্তু চীনাদের কি প্রিয় সেটা জানেন?
ভিক্ষা করতে গেলে অনেক মিথ্যা গল্প বলতে হয় এমনটাই মনে করেন এই যুবতী। এক কথায় অসহায়তার ফন্দি এঁটে নিজেকে রাজমহল উপহার দিয়েছেন নিজেই। অকপটে সেসব কথা স্বীকার করেছেন ভাইরাল ভিডিওতে।
এভাবে মানুষের বিশ্বাস নেই কেউ খেলে?
নেট দুনিয়ায় এক মিনিট ২৫ সেকেন্ডের ভিডিও ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় হয়ে গেছে।ভিডিয়োটি @shahfaesal নামে একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে শেয়ার করা হয়েছে। পাকিস্তানের একজন ইউটিউবার তাঁর চ্যানেলে ভিডিওটি শেয়ার করার পর মুহূর্তের মধ্যে তিন লক্ষ ভিউ ছাড়িয়ে গেছে।
আরো পড়ুন – MRI, XRAY আর সিটি স্ক্যানের বিষয়ে ঠিক কোন ধারণা পোষণ করেন আপনি?
যুবতী এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে তিনি তার পরিচয় গোপন করেননি। টাকার স্বার্থে কখনো নিজেকে অনাথ বলেছেন আবার কখনো বাবা-মাকে মেরে ফেলেছেন। আর এই সপ্তাহে করেছেন নিজে ধনী হওয়ার জন্য।