Breaking Bharat: বাবার সাফল্য দেখতে প্রায় দু-যুগ অপেক্ষা কেন করতে হলো সানি দেওলের ছেলে রাজবীরকে? সেই সাফল্যের আনন্দ পেতে বাইশ বছর লেগে গেল?
বলিউড সেলিব্রিটিদের জীবনযাত্রার মধ্যে একটা আলাদা রকমের ব্যাপার থাকে। সাধারণ জীবনযাত্রা থেকে তাদের লাইফ স্টাইল একটু হাইফাই হয়ে থাকে। অর্থাৎ সবকিছুতেই একটা স্পেশাল চিন্তা ভাবনা বিশেষ করে একটা গ্ল্যামারের চটক লেগে থাকে বলিউড বা হলিউড কিংবা টলিউডের সেলিব্রেটি পরিবারে।
যে পরিবারে কেউ প্রথম সেলিব্রেটি হচ্ছে তাদের কথা আলাদা কিন্তু যেখানে বছরের পর বছর ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই বিনোদনের পেশার সঙ্গে যুক্ত ,সেখানে কিন্তু ছোট থেকেই বাড়ির বাচ্চাও বুঝে যায় সে স্পেশাল। যেমন এই মুহূর্তের কথা যদি বলেন তাহলে খান এবং করিনা কাপুর খানের ছেলে তৈমুর ছোটবেলা থেকে সেলিব্রেটি।
কারণ তার ঠাকুমা শর্মিলা ঠাকুর অভিনেত্রী তার বাবা-মা প্রত্যেকেই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত এমন কি তার সৎ ভাই বোন ও অভিনয়ের সঙ্গে রয়েছে। এই অনেকেই মনে করে নিয়েছেন যে তৈমুর ভবিষ্যতে গিয়ে অভিনেতা হবেন। বচ্চন পরিবারের কথাই ভেবে দেখুন সেখানে প্রত্যেকটি সেলিব্রেটি।
সেরকম এক পরিবার হল ধর্মেন্দ্র এর পরিবার। ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, সানি দেওল, ববি দেওল প্রত্যেকেই একটার পর একটা জেনারেশন জুড়ে বলিউডে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করেছে। কিন্তু এই পরিবারের সন্তান হয়ে সানি পুত্রের প্রায় ২২ বছর লেগে গেল তার বাবার সাফল্য নিজের চোখে দেখতে।
দাদু, বাবা, কাকা সবাই বড় পর্দার নায়ক তাই রাজবীর স্টার কিড হিসেবেই বড় হয়েছে। তারকা সন্তান হলেও প্রচারের আলো কখনো সেভাবে তার কাছে পৌঁছায়নি। সেই সাফল্যের আনন্দ পেতে বাইশ বছর লেগে গেল?
আরো পড়ুন – অভিনয় না করেও বলিউডের মালাইকা আরোরা কি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে?
বাবার ছবির ‘গদর ২’-এর সাফল্য রীতিমতো উপভোগ করছে গোটা পরিবার। গদরের সিক্যুয়েল নিয়ে উচ্ছ্বসিত বলিউড। এর মাঝেই বিনোদন জগতের নতুন স্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন সানি দেওলের ছোট ছেলে রাজবীর। পুনম ধিলোঁর মেয়ে পালোমা ধিলোঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘দোনো’ ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসাবে বলিউডে নিজের সফর শুরু করতে চলেছেন রাজবীর।
আরো পড়ুন – অনিল কাপুরের কন্যাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছেন? এসব নাকি একদমই পছন্দ নয় সোনম কাপুরের?
আসলে রাজবীরের বড় হয়ে ওঠা ২০০০ এর সময়ে। তাই বাবার সাফল্য সেভাবে উপভোগ করতে পারেননি তিনি। ৯০ এর দশকের পর আস্তে আস্তে সানির সিনে দাপট কমতে থাকে। ২০০২ সালে যদিও গদর মুক্তি পেয়েছিল কিন্তু তখন রাজবীর অনেকটাই ছোট তাই সেই সাফল্য অনুভব করার মত বয়স হয়নি।
আরো পড়ুন – অরিজিৎ সিং হঠাৎ করে পাগড়ি পরা শুরু করলেন? অনেকদিন অরিজিৎ সিংকে কেউ পাগড়ি ছাড়া দেখেননি?
তারপর থেকে সানি সেভাবে আর কাজ পাননি এবং সুপারহিট সিনেমার বিনোদন জগতকে উপহার দিতে পারেনি। সিনেমা টেলিভিশনে বাবার ছবি দেখলেও বাস্তবে একটা সিনেমা মুক্তির পর কোন কোন ভাবে উচ্ছ্বাস মনের মধ্যে তৈরি হয় সেটা বোঝেননি রাজবীর। কিন্তু ২২ বছর পর এবার সে বুঝেছে স্টারডাম ।
তাঁর কথায়, বাবার জনপ্রিয়তা ছিল মূলত আশির ও নব্বইয়ের দশকে। সেই সময় কিছু বুঝিনি এবার বুঝলাম। বাবার সাফল্যের ছেলে খুব খুশি। ছেলে কি ততটাই সফল হবে? বলিউড কি আরো একটা নতুন স্টার পাচ্ছে সেটাই এখন দেখার।