Breaking Bharat: জীবনে ঠিক কতটা শক্তিশালী হলে অন্যকে আঘাত না করেও জেতা যায়? জীবনটা কেমন বলুন তো? এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন? আসলে আমরা কেউই সঠিকভাবে আমাদের জীবন চারপাশ প্রকৃতি ইত্যাদি প্রভৃতি নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জানিনা।
আমাদের নির্দিষ্ট কিছু গণি আছে তার বাইরে আমরা বেরোতে অভ্যস্ত নই। অথচ জীবন কিভাবে বাঁচা উচিত এই শিক্ষাটা চিরকাল বইয়ের পাতাতেই রয়ে গেল আমাদের জন্য। এখন আমি যদি বলি এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করতে গেলেই আপনাকে একটা জঙ্গলের উদাহরণ দিতে হবে। একটু অবাক লাগছে তো জীবন কেন জঙ্গল হতে যাবে।
অন্যকে আঘাত না করেও জেতা যায়?
আসলে, ‘জোর যার মুলুক তার‘ এই কথাটার সঙ্গে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। দুর্বল হয়ে থাকলে কোনদিন সমাজ সংগ্রহ করবে না আপনাকে। আর সেই কারণেই জঙ্গলের বাঘ বা সিংহের মতো হতে হবে আপনাকে। নিরীহ হরিণ হয়ে থাকলে শিকারির শিকার হবেন প্রতিমুহূর্তে।
দেখবেন আমাদের এই পৃথিবীটা কত সুন্দরভাবে খাদ্য খাদকের ভারসাম্য নিয়ে বেঁচে আছে। ঠিক এরকম ভাবেই বাস্তুতন্ত্র চলে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। জঙ্গলে যেমন নিরীহ প্রাণী হরিণ রয়েছে যার কারোর সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই তবুও শিকারির শিকার হতে হয় তাকে। ঠিক সেভাবেই সাধারণ জীবনে ওইরকম বহু মানুষ থাকেন যারা কোন কিছুর সাতে বা পাঁচে থাকেন না ।
তবুও সব থেকে বেশি যন্ত্রণা কষ্ট যেন তাদেরই ভাগ্যে। আসলে লড়াই করে বাঁচতে শেখা টা একটা শিল্প কলার মত। আপনি জঙ্গলের শিয়ালকে দেখেছেন, অতি ধূর্ত প্রানী হিসেবে। না চালাকির কথা বলছি না কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার জেরে বাঘ বা সিংহের হাত থেকে হরিণ রেহাই না পেলেও অনেক সময় শিয়াল নিজেকে বাঁচিয়ে দেয়।
এর থেকে স্পষ্ট যেসব তাকে সমীহ করে চলার নিয়ম সর্বত্র আছে। মানুষের মধ্যে কিংবা অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে। এদিকে বাঘ আর সিংহের কথাই ভাবুন তাদের দাপট জঙ্গলের সর্বোচ্চ কায়েম।। ঠিক এই পয়েন্টটাতেই আমরা জোর দিতে চাইছি।
আরো পড়ুন – অভিনয় না করেও বলিউডের মালাইকা আরোরা কি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে?
আক্রমণ করা কখনো কখনো প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে কিন্তু তার জন্য নিজেকে সেই শক্তিশালী জায়গায় রাখতে হয়। কাউকে শারীরিক বা মানসিকভাবে আঘাত করা উচিত নয় কিন্তু জীবনে বাঁচতে গেলে নিজেই লড়াইটা নিজের শক্তি দিয়েই করতে হয় অন্যের উপর ভরসা করে থাকলে চলে না। কথাগুলো কাব্যে যতটা কঠিন বাস্তবে তার থেকেও দ্বিগুণ কষ্টকর।
নিজের যোগ্যতায় নিজে শক্তিশালী হন:
তবুও বলি দেওয়ালে পিঠ থেকে গেলে মানুষ ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হয়। কারণ এই সময় আর কোন বিকল্প থাকে না। জীবনে চেষ্টা করুন প্রথম থেকেই নিজের জোরে সেটা পড়াশুনা, চাকরি যা কিছু করে অর্থাৎ বয়স অনুযায়ী নিজেকে নিজের জন্য যথার্থ করে গড়ে তুলতে। কারোর বিশ্বাস বা ভরসা অর্জন সহজ নয় তার জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়।
আরো পড়ুন – আপনার কি যখন তখন কান খোঁচানোর অভ্যাস আছে? অভ্যাস বদলান না হলে বিপদ বাড়বে!
যেভাবে শক্তিশালী বাঘ সিংহের দাপটে কুঁকড়ে থাকে ঠিক সেভাবেই নিজেকে এতটাই বিকশিত করতে হবে যাতে অন্যরা আপনার নিচে থাকতে বাধ্য হয়। অর্থাৎ অপেরা বহন করতে হবে তাদের কিন্তু এর জন্য আপনার মধ্যে মালিকানা বা বস টাইপ কোনও মানসিকতা থাকলে হবে না।
বাঘ সিংহ কে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন তারা নিজেদের খাদ্যের সংস্থান থেকে শুরু করে নিজেদের বাসস্থান সবকিছু ব্যবস্থা নিজেরাই করে। নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে গেলে সেই কোয়ালিটি আপনার মধ্যে থাকা দরকার।
আরো পড়ুন – পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে ‘২০২৩ ডিডব্লু গ্রহাণু’। ভালোবাসার দিনে পৃথিবীতে শুরু তারাদের যুদ্ধ?
তাই বাঁচতে হলে কারো দয়া নয় ‘নিজের যোগ্যতায় নিজে শক্তিশালী হন‘। তবে এসবের জন্য কাউকে ভুল করেও আঘাত করবেন না। কারন অজান্তেই সেটা প্রত্যাঘাত হয়ে ফিরে আসতে পারে আপনার কাছে। রাজার মতো বাঁচুন কিন্তু কাউকে কষ্ট দেবেন না।