Breaking Bharat: গাড়ির নাম ‘দ্য বিস্ট’ – এটাই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও নিরাপদ গাড়ি। এই গাড়িতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (জো বাইডেন) যাতায়াত করেন। নিয়ম অনুসারে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পদে যিনিই বসবেন, তাঁকে এই বুলেট প্রতিরোধী গাড়ি দায়িত্ব সহকারে নিরাপত্তা দেবে (the beast car features)।
আজ্ঞে হ্যাঁ মানুষ নন বর্তমানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দায়িত্বে এই গাড়ি। কী কী আছে এই গাড়িতে?
জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতে বাইডেনের পাহারাদার আসলে দানব? বাইডেনকে পাহারা তিনিই দেবেন। হোয়াইট হাউসের পুরনো বন্ধু তিনি, সঙ্গে রাখেন এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র! আজ তার সঙ্গেই পরিচয় করব আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে একটু জেনে নেব আমরা। চেনেন তাঁকে?
গাড়ির নাম ‘দ্য বিস্ট’:
বাইডেনের আসা ঘিরে কী কী নিরাপত্তা রয়ে আর কেই বা নিরাপত্তা দেবেন তাঁকে? উত্তর হল এক দানব। বাইডেনকে পাহারা তিনিই দেবেন। হোয়াইট হাউসের পুরনো বন্ধু তিনি, সঙ্গে রাখেন এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র! আজ তার সঙ্গেই পরিচয় করব আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে একটু জেনে নেব আমরা।
যে গাড়িতে বাইডেন যাতায়াত করবেন তার মধ্যে পাম্প অ্যাকশন শটগানস্, কাঁদানে গ্যাস রয়েছে। আসলে জরুরি অবস্থার কথা মাথায় রেখে প্রেসিডেন্টের গ্রুপের রক্তের ব্যাগ সব সময় গাড়ির মধ্যে রাখা থাকে। গাড়ির নাম ‘দ্য বিস্ট’- এটাই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও নিরাপদ গাড়ি।
নিয়ম অনুসারে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পদে যিনিই বসবেন, তাঁকে এই বুলেট প্রতিরোধী গাড়ি দায়িত্ব সহকারে নিরাপত্তা দেবে। আজ্ঞে হ্যাঁ মানুষ নন বর্তমানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দায়িত্বে এই গাড়ি। শুক্রবার বাইডেনের পাশাপাশি আমেরিকা থেকে উড়ে এল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সরকারি গাড়ি ‘দ্য বিস্ট’।
ভারত সফরে এই গাড়ি থাকবে সব সময়। জানা যাচ্ছে আমেরিকা থেকে একটি বোয়িং বিমানে চাপিয়ে আনা হয় গাড়িটিকে। এই মুহূর্তে বিস্টের এখন যে মডেলটি বাইডেন চড়়েন সেটি আসলে ২০১৮ সালের মডেল।
কী কী আছে এই গাড়িতে?
জানা যাচ্ছে এই বিলাসবহুল ক্যাডিলাক গাড়ির জানলার পাঁচটি স্তর কাচ এবং পলিকার্বনেট দিয়ে তৈরি রয়েছে।। শুধুমাত্র চালকের পাশের জানলা ছাড়া আর কোনও জানলার কাচ নামানো যায়না। আর চালকের সেই জানলার কাচও মাত্র তিন ইঞ্চি পর্যন্ত নামানো যায়।
গাড়ির জানলার প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই যে, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ভেদ করে যাবে বুলেট যেতে পারবে না। গাড়ির বডি তৈরি হয়েছে স্টিল, টাইটেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম এবং সেরামিকস্ দিয়ে। এটা পাঁচ ইঞ্চি মোটা এবং অত্যন্ত শক্ত। পুরোটাই বোমা এবং মাইন প্রতিরোধী। এ যেন পুরোদস্তুর দানব। কোনও সাঁজোয়া গাড়ির থেকে কম নয় বাইডেনের নিরাপত্তায় থাকা এই গাড়ি।
আরো পড়ুন – ডেঙ্গি নিয়ে বাড়ছে চিন্তা? কোন কোন নিয়ম মেনে চলতে হবে?
অনেকেই হয়তো জানেন না যে গাড়ির সামনে রয়েছে কাঁদানে গ্যাসের গ্রেনেড লঞ্চার এবং নাইট ভিশন ক্যামেরা। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ক্যাডিলাক গাড়িটিতে চাপলেই পেন্টাগন সেই দিকে নজর দিতে থাকে। এই গাড়ির পিছনের আসনে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও আরও চার জন বসতে পারেন। চালক এবং পিছনের আসনের জায়গার মাঝে দেখবেন একটি কাচের দেওয়াল রয়েছে। যা প্রেসিডেন্ট নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
আরো পড়ুন – দ্বিতীয় মহাকাশ বন্দর তৈরি করছে ইসরো? কোথায় হচ্ছে সেই বন্দর আর কেনই বা করা হচ্ছে?
প্রেসিডেন্ট চাইলে তবেই সেই কাচের দেওয়াল ওঠা নামা করতে পারে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্টের আসনের সামনে রয়েছে একটি প্যানিক বোতাম এবং আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা।
বিস্টের জ্বালানি ট্যাঙ্ক বার বিস্ফোরণ প্রতিরোধক ফোম দিয়ে পরিপূর্ণ। মানে হামলা হলেও বিস্ফোরণ হবে না। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেই চালক হিসাবে এই গাড়ির জন্য বেছে নেওয়া হয়। এখানেই সেই নয় বিস্টের সঙ্গে লাগানো রয়েছে একটি উলম্ব অ্যান্টেনা।
আরো পড়ুন – ১২৫ বছর পর প্রকৃতির কোলে কোন পাখি ফিরল জানেন? ১২৫ বছর তেমনটাই যে হল!
যা সহজেই যাতায়াতের রাস্তায় যে কোনও যোগাযোগের যন্ত্র এবং রিমোটকে বিকল করে দিতে সক্ষম। এমনকি মানবহীন ড্রোনও শনাক্ত করতে সক্ষম এই অ্যান্টেনা। কোনও রকম নিউক্লিয়ার, কেমিক্যাল বা বায়োলজিক্যাল হামলা হওয়ার আগেই সেই সম্পর্কে বোঝার মতো সেন্সর রয়েছে এই গাড়িতে।