Breaking Bharat: চাঁদে পা দেওয়া কনিষ্ঠতম মহাকাশচারী কে চেনেন? তিনি নাকি এক মারাত্মক ভুল করেছিলেন চাঁদে গিয়ে? মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই বিরাট কাণ্ড করেছিলেন এই অভিযাত্রী। শুধু তাই নয় চাঁদের মাটিতে ‘অমূল্য রতন’ ফেলে আসেন কনিষ্ঠতম চন্দ্রযাত্রী। আজকে চলুন তার সঙ্গেই পরিচয় করব।
চাঁদের মাটিতে মানুষের পা পড়েছে সেই ৫০ বছর আগে। তারপর থেকে একের পর এক অভিযানে চাঁদকে আরও বেশি করে আবিষ্কার করার চেষ্টা চলছে। ভারত চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে নিজেদের মহাকাশযান অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছে। নাসা, এবার মহিলা মহাকাশচারী চাঁদে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।
সব থেকে কম বয়সী চাঁদে কে গেছিল?
স্ত্রী ডরোথি মেড ক্লাইবোর্ন এবং দুই পুত্রকে পৃথিবীতে রেখে মহাকাশযাত্রা করেছিলেন ৩৬ বছর বয়সী চার্লস। চন্দ্রপৃষ্ঠে যারা গেছেন তাদের মধ্যে ইনি সব থেকে কম বয়সী। ফ্ল্যাশ ব্যকে যেতে হলে ১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই দিনকাল আমাদের তাকাতে হবে।
ঈগল ল্যান্ডার থেকে নেমে আসার পর চাঁদে পা দেন নীল আর্মস্ট্রং। তখন তার আনন্দ এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলে মনে রেখেছেন। মানুষ সেদিন যেন মহাকাশ জয় করেছিল, কারণ চাঁদের মাটিতে পা দেওয়া প্রথম মহাকাশচারী হিসাবে ইতিহাস তৈরি করেন। সেই সফরে তাকে অনুসরণ করে চাঁদে নেমেছিলেন সহযাত্রী এডউইন অলড্রিনও।
অ্যাপোলো-১৬ অভিযানের মহাকাশচারী চার্লস ডিউক:
তখন থেকেই যেন একটা বিপ্লব তৈরি হয়ে গেছিল। এটা শুধুমাত্র শুরু বা সূচনা ছিল। এর পর আমেরিকা আরও পাঁচ বার চাঁদে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। এখনো পর্যন্ত চাঁদের বুকে পা পড়েছে মোট ১২ জন মহাকাশচারীর। তার মধ্যে অ্যাপোলো-১৬ অভিযানের মহাকাশচারী চার্লস ডিউক, তিনি ছিলেন কনিষ্ঠতম। ১৯৭২ সালে প্রায় ৭১ ঘণ্টা সময় তিনি চাঁদে কাটান (Apollo 16 Astronaut Charles Duke)।
আরো পড়ুন – চাঁদে সত্যিই মানুষ গেলে সেখানে টয়লেট মানে বাথরুম থাকবে কি?
আপনি কি জানেন ১৯৬৬ সালের এপ্রিলে নাসার পঞ্চম চন্দ্র অভিযানের জন্য ১৯ জন পুরুষকে বেছে নেওয়া হয়েছিল? এই টিমের মধ্যে অন্যতম ছিলেন চার্লস। তিন বছর পরে ১৯৬৯ সালেও অ্যাপোলো-১০ অভিযানে যাওয়া মহাকাশচারীদের সহায়তাকারী টিমের দলে ছিলেন তিনি। অ্যাপোলো-১১ এর অভিযানেও তার বিশেষ দায়িত্ব ছিল।
নাসা সূত্রে জানা যায় চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছনোর পর অ্যাপোলো-১১ অভিযানের তিন সদস্যকে বার্তা দিয়েছিলেন চার্লস। এবং তার কথায় মুগ্ধ হয়ে আর্মস্ট্রং পৃথিবীতে ফেরার পরই চার্লসকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। এছাড়া অ্যাপোলো-১৩ অভিযানের সঙ্গেও যুক্ত থাকার কথা থাকলেও তিনি ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।তবে এখানে বলা প্রয়োজন যে অ্যাপোলো-১৬ অভিযানের সময় নিজে চাঁদে পা রাখেন চার্লস।
আরো পড়ুন – কী ভাবে কাজ করছে ইসরোর পাঠানো রোভার প্রজ্ঞান? রোভার প্রজ্ঞান এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে?
স্ত্রী ডরোথি মেড ক্লাইবোর্ন এবং দুই পুত্রকে পৃথিবীতে রেখে মহাকাশযাত্রা করেন তিনি। কিন্তু চাঁদে এক মহামূল্যবান জিনিস রেখে এসেছিলেন। আপনি জানলে অবাক হবেন। চাঁদে যাওয়ার সময় নিজের পরিবারের একটি ছবি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন চার্লস। সেটা নিয়ে গেছিলাম কিন্তু চাঁদ থেকে ফেরার সময় সেই ছবিটি তিনি আর নিয়ে ফেরেননি।
আরো পড়ুন – কী ভাবে কাজ করছে ইসরোর পাঠানো রোভার প্রজ্ঞান? রোভার প্রজ্ঞান এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে?
আসলে স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে রেখে এসেছিলেন চাঁদের বুকেই। পরে পৃথিবীতে এসে তার শিকারও করেন। গত কয়েকদিন ধরে বারবার যে চাঁদে বর্জ্য পদার্থ পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, চার্লস এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, যে একটি ট্যাঙ্কে প্রস্রাব সংগ্রহ করেছিলেন তারা এমন কি বেশ কয়েকটি ব্যাগে মলত্যাগও করেছিলেন যা তারা চন্দ্রপৃষ্ঠে রেখে আসেন।