Breaking Bharat: পৃথিবীর গভীরতম গর্ত কোথায় জানেন? কী ভাবে আর কেন খোঁড়া হচ্ছে গর্ত? আপনি অবাক হবেন এটা জানলে যে দেশের সবচেয়ে গভীরতম খননকার্য হতে চলেছে। পৃথিবীর গভীরে প্রায় ৩২,৮০৮ ফুট গর্ত খনন শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা কিন্তু কেন এত লম্বা সুড়ঙ্গ খোদাই?
সাধারণ মানুষ গর্ত ব্যাপারটা সাধারণত এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জানেন এই পৃথিবীতে সবচেয়ে গভীর গর্ত কোনটা তাই নিয়ে একাধিক খোঁজাখুঁজি চলছে। আর এবার সেটারও সন্ধান মিলেছে। নিশ্চয় জানতে চাইবেন যে সেটা কোন দেশে? তাহলে আপনাকে যেতে হবে উত্তর-পশ্চিম রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের কোলা সুপারদীপ বোরহোল এলাকায়।
কিন্তু কেন এত লম্বা সুড়ঙ্গ খোদাই?
মানে ব্যাপারটা বিশ্বাস করতে অসুবিধা মনে হলেও গর্ত খোঁড়া হচ্ছে চিনে। এবং সাধারণ মানুষ নয় চিনের বিজ্ঞানীরা নেমেছেন এই গর্ত খোঁড়ার কাজে। মানে গর্তেই দৈর্ঘ্য সম্পর্কে জানলে বুঝবেন যে এটা সাদামাটা নয়। পৃথিবীর গভীরে প্রায় ৩২,৮০৮ ফুট গর্ত খনন শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আপনি অবাক হবেন এটা জানলে যে দেশের সবচেয়ে গভীরতম খননকার্য হতে চলেছে। কিন্তু কেন এত লম্বা সুড়ঙ্গ খোদাই? আজকের প্রতিবেদনে এই সংক্রান্ত তথ্যই আমরা জানাব আপনাদের।
দেখুন বিজ্ঞানীরা বলছেন পৃথিবীর নীচের গভীর শিলাগুলি অত্যন্ত বেশিই আর্দ্র। যদিও বোরহোলটি খুঁজে পাওয়ার আগে গবেষকদের ধারণা ছিল যে, জল বোধহয় এত গভীরে অবস্থিত পাথরে প্রবেশ করবে না। প্রাথমিক ভাবে গ্রানাইটের নীচে ব্যাসাল্ট পাথরের একটি স্তর খুঁজে পাওয়ার আশা করা হয়েছিল।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, আগ্নেয় গ্রানাইটের নীচে রূপান্তরিত গ্রানাইট রয়েছে। যেহেতু মহাদেশীয় ভূত্বক গ্রানাইটের তৈরি, আসলে এটাই প্লেট টেকটনিকসের বড় প্রমাণ। মানে বোরহোল খনন শুরু হওয়ার সময় প্লেট টেকটনিক তত্ত্বটি সামনে এসে দাঁড়ায়। গর্ত মারাত্মক গভীর।
আরো পড়ুন – বর্ষা শুরু হতে না হতেই সর্দি কাশির সমস্যা? ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে সমাধান পেতে চান?
আসলে এই গর্ত অনেককিছু দিশা দেখাতে পারে। বিজ্ঞানীরা প্রকৃতপক্ষে এই খনন কাজের মাধ্যমে ক্রিটেসিয়াস যুগের শিলার কাছে পৌঁছনোর আশা করছেন। এটি হল ক্রিটেসিয়াস সিস্টেম , আর এই শিলার বয়স জানলে অবাক হবেন কারণ বিজ্ঞানীরা বলছেন এটা ১৪৫ মিলিয়ন বছরের। শুধু এই গর্ত খননটাই নয়, প্রকল্পটি খনিজ সম্পদ শনাক্ত করার পাশাপাশি ভূমিকম্প এবং অগ্ন্যুৎপাতের মতো পরিবেশগত ঝুঁকি বুঝতে সাহায্য করবে।
আরো পড়ুন – Seema Haider: পাকিস্তানের বধূ সীমা হায়দারকে চেনেন? ক্রমশ বড় হচ্ছে শচীন সীমা বিতর্ক
তবে মানুষের সৃষ্টি করা গভীরতম গর্তটি রয়েছে রাশিয়ায়। প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ১৯৭০ সালের ২৪ মে। আসলে মানুষেরউত্তর-পশ্চিম রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের কোলা সুপারডিপ বোরহোল হচ্ছে পৃথিবীর গভীরতম গর্ত। গর্তের গভীরতম শাখাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬,২০১ ফুট নীচ পর্যন্ত প্রসারিত।
আসলে পৃথিবীর গভীর অবধি খনন করা এত সহজ নয়। ষাটের দশকে আমেরিকার একটি দল সমুদ্রতলের নীচে ১৮৩ মিটার গভীরে পৌঁছেছিল।কিন্তু নানা কারণে সেই প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়। সামুদ্রিক ভূত্বকের উপরের ১৩ মিটার অবধি ব্যাসাল্ট শিলাই দেখা যায় যার ফলে ড্রিলিং করতে গিয়ে সমস্যা বাড়ে।
আরো পড়ুন – চন্দ্রযান-৩ এর বড় সাফল্য! দুটো কক্ষপথ পেরিয়ে এবার কি তৃতীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রোভার?
চিনের এই গভীরতম গর্ত যদি ক্রিটেসিয়াস যুগের শিলার কাছে পৌঁছে দেয় বিজ্ঞানী ও গবেষকদের,তাহলে তো বলতেই হচ্ছে যে এটা যুগান্তকারী আবিষ্কার।