Breaking Bharat: ৩৫ বছর বয়স কি দুঃসহ নাকি অভিশপ্ত? কেন এই বয়সে পৌঁছলেই চাকরি চলে যায়? ৩৫ বছর বয়স কি দুঃসহ নাকি অভিশপ্ত? কেন এই বয়সে পৌঁছলেই চাকরি চলে যায়? মানে ৩৫ বছর হয়ে গেলেই যুবক বা যুবতীদের অধিকাংশই বেকার হয়ে যাবে ! চাকরি চলে যাবে, কোন সংস্থা চাকরির আর সুযোগ দেবে না!
একপ্রকার বেকারত্বের জ্বালা বয়ে বেড়াতে হবে. জানেন তো বেকারত্বের জ্বালা বড়োই জ্বালা! তাহলে একবার ভাবুন এমনটা হলে মানুষ খাবে কি? সংসার চলবে কি করে? পথে বসতে হবেতো? কেন এইরকম চিন্তাভাবনা? হুম এমনই চাঞ্চল্যকর খবর আমরা আজ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরবো।
সত্যি কি অভিশপ্ত ৩৫ বছর এই বয়স?
কবি সুকান্ত কাব্যে বলেছিলেন আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ। আসলে কৈশোর যৌবনের মেলবন্ধনের এই সময়কালকে সাহিত্যে নানা ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু ৩৫ বছর বয়সের সমস্যা কোথায়? এই বয়সে পৌঁছলেই কেন চাকরি চলে যায়? সত্যি কি অভিশপ্ত এই বয়স?
ঠিক যখন কাজের জায়গায় নিজে একটু থিতু হয়ে সংসার গুছিয়ে নেওয়ার প্ল্যানিং শুরু সেই সময় যদি চাকরি চলে যায়, কেমন হয়! এমন পরিস্থিতি হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশে। আমরা বলছি চীনের কথা। যে দেশ পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করে ভারতের থেকে অরুণাচল ছিনিয়ে নেবে বলে, সেই দেশ কিনা নিজে বেকারত্বের জ্বালা সামলাতে ব্যর্থ?
খুব অবাক করার মতো লাগলেও এটাতে অবিশ্বাস্য কিছুই নেই। সমীক্ষা বলছে জিনপিং এর দেশে ৩৫ বা তার বেশি বয়সি যুবক বা যুবতীদের অধিকাংশই বেকার। মানে চাকরির আশায় তাঁরা হন্যে হয়ে একাধিক অফিস বা কর্মস্থল ঘোরেন ঠিকই কিন্তু বেশির ভাগ সংস্থাই তাঁদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
আসলে এই বয়সকে ভয় পায় ড্রাগন দেশ?
৩৫ বছর বয়স মানে মধ্যবয়সে প্রবেশের টেনশন। যৌবন শেষ হচ্ছে কিন্তু ভবিষ্যত কতটা সিকিওর এই টেনশন কাজ করে অবিরাম।। দেখবেন এই সময় কাজ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট বা ছেলেখেলা চলে না। আসলে কেরিয়ারের শুরুর দিকের টলমল অবস্থাকে গুছিয়ে নিয়ে এটাই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঠিক বয়স।
আরো পড়ুন – আপনি কি স্কুলে শিক্ষকতা করতে চান? চল্লিশ হাজার পদে নিয়োগ হতে চলেছে জানেন?
কিন্তু অন্য দেশ যা ভাবে তার থেকে এক্কেবারে আলাদা ভাবনা চিন্তা চীনাদের। অন্যান্য দেশে যখন ৩৫ বছরকে সংগঠিত কেরিয়ারের সূচনা হিসাবে চিন্তা ভাবনা করা হয় এবং অনেকে এই সময় থেকেই পাকাপাকি ভাবে সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার চিন্তা করে। আর ভেবে দেখুন চীনে এই বয়সেই চাকরি চলে যায়! বেকারত্ব যন্ত্রণায় ভুগছে চীন।
আরো পড়ুন – চন্দ্রযান-৩ এর বড় সাফল্য! দুটো কক্ষপথ পেরিয়ে এবার কি তৃতীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রোভার?
চাকরি যারা হারিয়েছেন তারা জানিয়েছেন, সে দেশে বেশির ভাগ ভাল ও বড় চাকরির বিজ্ঞাপনে যোগ্যতা হিসাবে বয়সের যে মাপকাঠি বেঁধে দেওয়া হয়, সেই যোগ্যতায় অনেকেরই বয়স মেলে না। তাই চাকরি পাওয়াতে সমস্যা শুরু। বিশেষ করে কর্পোরেট সেক্টরে ‘কার্স অফ ৩৫’ বা ’৩৫-এর অভিশাপ’ বলে একটা কথা আছে। আর বলাবাহুল্য যে এই ধারণাই দেশের বেকারত্বের সমস্যার নেপথ্যে অন্যতম কারণ।
কেন এইরকম চিন্তাভাবনা?
চীন দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা মনে করেন ৩৫ বছর বয়সে মানুষের মধ্যে কাজ করার উন্মাদনা উদ্দীপনা কমে যায়। তাই এই ৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সি কোনও কর্মীকে সংস্থায় রাখতে চান না কর্তৃপক্ষ। নতুন কাউকে নেওয়া তো হয় না প্লাস পুরনোদের ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে কাজের সুযোগ না থাকায় হতাশায় ভুগছে সে দেশের তরুণ প্রজন্ম।
আরো পড়ুন – Burj Khalifa: পৃথিবীর সবথেকে উঁচু ফ্ল্যাট ‘বুর্জ খলিফা’ কোথায় বলুন তো? দাম কত জানা আছে?
একদিকে চাকরি নেই, তাই অন্যদিকে বিয়ে করার মানসিকতা হারাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। এ যেন এক অদ্ভুত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে চীন প্রদেশে। তাই ৩৫ বছরটা কর্পোরেট সংস্থার মালিকদের কাছে ভাবনা চিন্তায় অভিশপ্ত হলেও, এই বয়সের ছেলে মেয়েদের কাছে যে জীবন নিয়ে উদ্ভট টেনশন শুরু হয় এই বয়সে সেটা বলাইবাহুল্য।