Breaking Bharat: খাবার খাবার একটু খাবার! ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে এটাই তো একমাত্র চাওয়া, তাই না?সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাড়ভাঙ্গা খাটনি পরিশ্রম শুধুমাত্র একটাই কারণ যাতে দুবেলা খাওয়া যায়। নিজের প্রিয় মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে না পারার যে কষ্ট সেটা বোধহয় কিছুতেই ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয় (Quotes about hungry people)।
এমন ঘটনা কখনো হয়েছে চোখের সামনে খাবার দেখেও ঝরঝর করে চোখ থেকে জল পড়েছে আপনার? এমন ঘটনা অনেক মানুষের জীবনেই ঘটেছে আর তার কারণগুলো এতটাই বেদনাময় এতটাই গভীর যা বুকে যন্ত্রণা টাকে আবার যেন আস্কারা দেয়।
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:
আপনি যে পেশার সঙ্গে যুক্ত হোন না কেন মাঠে কাজ করুন বা এসি ঘরে বসে, লক্ষ্য একটাই ভালো থাকা। তার জন্য আপনাকে লড়াই করতে হয়। একজন মানুষের লড়াইটা একেক রকম হয়। এক্ষেত্রে সব লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতেই থাকে একটু ভালো থাকার মানসিকতা আর তাকে প্রশ্রয় দেয়ার প্রয়োজনীয়তা।
কি রথের জন্য লড়াই করছেন কেউ সম্মানের জন্য কেউ সৃষ্টির জন্য কেউ আবার বাঁচার জন্য। সবার একটাই লক্ষ্য ভালো থাকা। আর আপনি জানেন পৃথিবীতে থাকতে পারবেন না বা বাঁচতে পারবেন না আপনার জীবনে প্রয়োজনীয় পুষ্টি বা খাদ্য না জুটলে।
অথচ ‘চরম দারিদ্রতা‘র মধ্যে না খেতে পাওয়া মানুষটার সামনে যখন থালা ভর্তি খাবার উপচে পড়ে তার চোখে জল আসে। যে মানুষটা প্রতিদিন পরিশ্রম করে একটু ভালো রোজগার করে তার পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য যাতে তার মা বাবা বা প্রিয় মানুষ ,স্ত্রী সন্তান ভালো করে রুটি বা ভাত খেতে পারে।
সেখানে দাঁড়িয়ে যদি দিনের পর দিন সেটা না পাওয়া যায় তখন কতটা কষ্ট হয় বলুন তো। রাস্তার ধারী ভিখিরি শিশুটার দিকে কোনদিন চেয়ে দেখেছেন যখন দামী রেস্টুরেন্টে মাংস পোলাও বিরিয়ানি খায় বড়লোকেরা সে কেমন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
আবার বড়লোক বাড়ির সন্তান হয়তো ঘটনাচক্র তার প্রিয়জনকে হারিয়েছে তা যন্ত্রণার মাঝেও যখন খাবার ভর্তি প্লেট তার সামনে আসে তার চোখ থেকে জল পড়ে। সে খাবার ভাগ করে নেওয়ার যে কেউ নেই। সুতরাং টাকা থাকলেই থাকবে সেটা বোধহয় নয়।
তবে কান্নাটা থেকে যায় জানেন দীর্ঘদিন ধরে না পাওয়ার যন্ত্রনা সহ্য করতে করতে যখন পেট আর মন কঠিন হয়ে যায় পাথরের মতো, ঠিক সেই সময় হঠাৎ করে এত দিনের না পারাটা পূরণ হয়ে গেলে নিজের চোখ যেন তা বিশ্বাস করতে চায় না।
আরো পড়ুন – চিতা বাঘ বানরের মা-কে নিয়ে যাচ্ছে আর শিশু বানর তখনও জানে তার মা তাঁকে বাঁচাবে
মাথাও বুঝতে সময় নেয় আর ততক্ষণে মস্তিষ্কের যে গ্রন্থি চোখ থেকে জল পড়ার জন্য দায়ী, সে গ্রন্থি তার কাজ শুরু করে দেয়। চোখের জল গাল বেয়ে নেমে আসে। আসলে অনুভূতি গুলোর একটা আলাদা বর্ণনা আছে যা শুধু চোখ বন্ধ করে নিজের মন দিয়ে বুঝতে হয়।
আরো পড়ুন – Amla: আমলকির গুনাগুন! আমলকিকে কেন অমৃত ফল বলা হয়? আমলকির পুষ্টিগুণ জানেন?
কবির লেখা দুটো লাইন এই প্রতিবেদনের শেষে বলতে চাই। “ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি” – এর থেকেই বোধহয় খিদের যন্ত্রণাটা বোঝা যায় আর তাই সেই যন্ত্রণা যারা ভোগ করেছেন তাদের কাছে খাবারের মূল্যটা অনেক। খাবার শুধু তিনটি অক্ষরের একটা শব্দ নয় তাকে যত্ন করে আগলে রাখতে হয়।
আরো পড়ুন – Source of Fire: আগুনের উৎস কী? এই আগুনে পুড়েই তো সব ছারখার! তাহলে জানুন বিস্তারিত
কারণ কার কখন জুটবে আর কার কখন জুটবে না সেটা বোধহয় আগে থেকেই কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনা। তাই অনেক দুঃখ অনেক স্মৃতি প্রিয় মানুষের থাকা বা চলে যাওয়া খেতে পাওয়া বা না খাওয়া – মান অভিমান থেকে শুরু করে ভালোবাসা, বিরহ সবকিছু সাক্ষী হয়ে এক থালা খাবার সামনে এলে চোখের জল পড়ে। আর এটাই প্রমাণ করে ,হ্যাঁ আমরা মানুষ। আমরা আজও বাঁচি।