Breaking Bharat: আগুনে পুড়ে সব ছারখার কিন্তু আগুনের উৎস কী (Source of Fire)? সেটাও জানা দরকার, তাই না? আগুন কি থেকে তৈরি হল সেই বিষয়ে কোন আইডিয়া আছে? অনেকেই বলবেন আদিম যুগে দুটো পাথর ঘষে আগুনের সৃষ্টি হয়েছিল ।
আমরা সকলেই জানি অক্সিজেন আগুন জ্বলতে সাহায্য করে। কিন্তু এক্ষেত্রে পদার্থ বিজ্ঞানের হিসেব মেনে দহনকেও বুঝতে হবে আপনাকে। তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আগুন থেকে ধোয়া তৈরি হওয়া আর কারণ। আজ সব কিছুর প্রসঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ার যোগাযোগ। আজ সবটাই জানাবো এই প্রতিবেদনে।
আগুনের উৎস কী (Source of Fire)?
যখন জ্বালানি অক্সিজেনের উপস্থিতিতে নির্দিষ্ট তাপ পায় তখন সেখানে এক ধরনের বিক্রিয়া হয়। আর রাসায়নিক বিক্রিয়ার সেখান থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়। আপনাকে তিনটি শব্দের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। জ্বালানি, জারক আর তাপ। দ্বিতীয়টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অক্সিজেনই হয়ে থাকে।
জ্বালানি এবং অক্সিজেন পাশাপাশি থাকলেও পর্যাপ্ত তাপ না থাকলে আগুন জলে না। দেশলাই বক্সে যখন কাঠি ঘষে বারুদ উৎপন্ন হয় বা লাইটারে পাথরে পাথর ঘষে তখন পর্যাপ্ত তাপ থাকে বলে সেটা হয়।
তবে সবসময় যে আগুন উৎপন্ন হতে গেলে তাপ লাগবে এমনটা নয় ব্যতিক্রম হল পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট আর গ্লিসারিন মেশালে যে ঘটনা ঘটে সেটি। আপনাকে একটা সমীকরণ আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই – CH3-(CH2) n-CH3 + O2 -> CO2 + H2O
সাধারণত আগুন দু’রকমের মোমবাতি মোম এবং চুলার মিথেন বা বিউটেন যা হাইড্রোকার্বন। মনে রাখতে হবে হাইড্রোকার্বন ও অক্সিজেনের মিলিত শক্তি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও জলের শক্তির চেয়ে বেশি, তাই এই বিক্রিয়া ঘটলেই শক্তি নির্গত হয়। জ্বালানির কার্বন সংখ্যা বেশি হলে কিছুতেই দহন প্রক্রিয়া ঘটবে না।
আরো পড়ুন – Language of Birds: পাখিদের ভাষা অবিকল মানুষের মতো হতে পারে! কিন্তু কিভাবে সেটা সম্ভব?
বিক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তিতে পরমাণুগুলোর ইলেকট্রন উপরের শক্তিস্তরে চলে যায়। কিন্তু যখন তা নিচের স্তরে ঠিক সেই সময় নীল আলো বিকিরণ করে। এই সময় প্রায় ৩০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উৎপন্ন হতে পারে বলে দেখা গেছে। গ্যাস বার্নারে আর মোমবাতির গোড়ায় এই ধরনের আগুন তৈরি হওয়ার একটা উদাহরণ পেতে পারেন।
আরো পড়ুন – দুঃখের সময় চোখের জল আর আনন্দের চোখের জল- পার্থক্যটা কি শুধুই অনুভূতির?
অবশ্য জ্বালানি যদি কঠিন হয় সে ক্ষেত্রে শিখা ছাড়াও আগুন জ্বলে। সে ক্ষেত্রে কার্বন মনোক্সাইড বেশি উৎপন্ন হয় উদাহরণ সিগারেট। সুঁচালো আকৃতির আগুনের উপরিভাগ সৃষ্টি হওয়ার কারণটা অত্যন্ত সহজ।
শিখার গ্যাস আশেপাশের গ্যাস নিয়ে ওপরের দিকে উঠতে থাকে, এই উত্তপ্ত গ্যাস যখন উপরের দিকে ওঠে তখন নিচ থেকে ঠান্ডা গ্যাস আসে এবং সেটিও গরম হয়ে উপরে ওঠে। ক্রমাগত পরিচলন ঘটে ফলে সূচালো শিখা দেখা যায়। মাধ্যাকর্ষণের ভূমিকা এই আকৃতি গঠনে সবথেকে বেশি ।
আরো পড়ুন – Fruit stickers: ফলের গায়ে লাগানো স্টিকার বলে সেটি কতটা বিশুদ্ধ আর টাটকা?
তাই মহাশূন্যে কখনোই এই ধরনের আকৃতির শিখা দেখা যাবে না। পরীক্ষায় দেখা গেছে আগুনের ভেতরে অসংখ্য জটিল যৌগের মধ্যে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়ন পাশাপাশি অবস্থান করে। এই গঠনটা অনেকটা মানুষের দেহের প্লাজমার মতো।
ফলে হাই ভোল্টেজে মোমবাতির শিখা চ্যাপ্টা হয়ে ইলেক্ট্রোডের দিকে চলে যেতে চায়। আরেকটা মজার ব্যাপার বলি, আপনি কি জানেন জ্বলন্ত মোমবাতির আগুন নিভে গেলে পরে আগুন জ্বালাতে গেলে আপনাকে আর মোমবাতির শিখায় জ্বলন্ত দেশলাই কাঠি স্পর্শ করাতে লাগে না। শিখাকে মোমের সাদা ধোঁয়ায় স্পর্শ করানোই যথেষ্ট। ফলে একবার চেষ্টা করে দেখতেই পারেন।
Post Keyword:
আগুন কি পদার্থ
আগুন লাগার কারণ কি
আগুন কি ও কত প্রকার
আগুন কি দিয়ে তৈরি
আগুনের তাপমাত্রা কত
আগুন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি
আগুন লাগার কারণ ও প্রতিকার
কার্বন ডাই অক্সাইড আগুনে দাহ্য কিনা