Try to learn the language of birds: পাখি পাকা পেঁপে খায় এটা সবাই জানে, কিন্তু পাখি কেন কথা শোনায় সেটা জানেন কি? একেক জনের ভাষা একেকরকম কিন্তু পাখির ভাষা অবিকল মানুষের মতো হতে পারে জানেন নিশ্চয়ই (birds that talk like humans)। কিন্তু কী করে তা সম্ভব,ভেবে দেখেছেন?
পৃথিবী আর প্রকৃতি জুড়ে ঠিক কত বিস্ময় ছড়িয়ে আছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই বুঝি। নিজেদের অনুভূতি বোঝাতে তাই নানা শব্দ ভাষা দিয়ে প্রকাশ করতে হয় আমাদের।
চলুন তাহলে পাখিদের ভাষা জানার চেষ্টা করি:
তিনটে পাখির নাম বলি – টিয়া, ময়না আর কাকাতুয়া। এরা বাকিদের থেকে আলাদা কারণ এরা কথা বলতে পারে অবিকল মানুষের মতো (cheap talking birds)। কিন্তু সেটাও শিখিয়ে দিলে বা শুনে শুনে। প্রতিভা আছে বটে কী বলেন? তবে সব পাখি এই গুণ নিয়ে জন্মায় না। বলতে পারেন এটা বিশেষ এক ধরনের বৈশিষ্ট্য যেটা সবার মধ্যে থাকে না। কিন্তু এর পিছনের বিজ্ঞান জানা দরকার (Try to learn the language of birds)।
প্রতিটি প্রাণী নিজের মতো করে কথা বলে কিন্তু আমরা সবসময় সবটা জানতে বা বুঝতে পারিনা। যেমন আমরা অন্য দেশের মানুষের ভাষা সম্পর্কে খুব একটা জানিনা। ঠিক এই একই ব্যাপার হয় প্রাণীদের ক্ষেত্রেও। আসলে আমাদের মুখের গঠন আর পশু পাখিদের মৌখিক গঠনের মধ্যে একটা তফাৎ আছে।
পাখিদের মধ্যে কথা বলতে পারার একটা প্রবণতা:
আমরা সকলেই জানি কথা বলতে গেলে জিভের একটা ভূমিকা আছে। তাই জিভ, দাঁত এবং চোয়াল সবকিছু কথা বলার উপযুক্ত গঠনের মত বিন্যাস যদি না থাকে তাহলে অবশ্যই সেই কথা শব্দ মুখ ফুটে বের হাওয়া সম্ভব নয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি ব্রোকা’স এরিয়া’ নামক মস্তিষ্কের একটা বিশেষ অংশ থাকে। মূলত এর ওপরেই কথা বলার ব্যাপারটা নির্ভর করে।
আর যেহেতু মানুষের মস্তিষ্ক সবথেকে উন্নত তাই সে প্রত্যেকটা মুহূর্তে পরিস্থিতির সঙ্গে সামাল দিয়ে তার উপযুক্ত শব্দ তৈরি করতে পারে। কিন্তু এটা অন্য পশু পাখির ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। কিন্তু অনেক পাখিদের মধ্যে কথা বলতে পারার একটা প্রবণতা দেখা যায় (Birds have a tendency to talk)। ময়না টিয়া কাকাতুয়া এই তিনটে নাম এই বিষয়ে সবার আগে উঠে আসে।
আরো পড়ুন – শিকারী পাখি? ঈগল পাখি আর বাজ পাখি ঠিক কোথায় আলাদা? আর চিলের সম্বন্ধে কতটা জানেন?
কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখবেন এরা নির্দিষ্ট কিছু কথা বলতে পারে। এই যুক্তিটা হল এর অন্যান্য পাখিদের তুলনায় কিছুটা উন্নত মস্তিষ্কের হওয়ায় এবং মৌখিক গঠন সাহায্য করায় শব্দ এমনভাবে মুখ থেকে বের করতে পারে যা অনেকটা কথার মত কাঠামো নেয়।
কিন্তু সেটা পুরোটাই মুখস্থ বিদ্যা। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এইসব পাখিরা যারা পোষ্য হিসেবে থাকে তাদের মালিকরা এদের সঙ্গে নানাভাবে কথা বলার চেষ্টা করে। দিনের পর দিন একই জিনিস বা গলা শুনতে শুনতে তাদের মস্তিষ্কে একটা ছবি তৈরি হয়।
ফলে সহজে সে তার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম বা উপায় খোঁজে। তবে ঈদের মস্তিষ্ক অল্প কিছু শব্দ ধরে রাখতে পারে তাই খুব বেশি কথা বা শব্দ এরা বলতে পারেনা। অনেক সময় লক্ষ্য করে দেখবেন বাড়ির পোষা বিড়াল বা কুকুর আপনার ডাকে সাড়া দিয়ে চলে আসে।
এটার আসল কারণ তারা আপনার কন্ঠস্বর সম্পর্কে অবগত।। এই পশু পাখির আবার সংকেত বা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ দারুন ভাবে বুঝতে পারে। যার জন্য অনেকেই ইশারের অঙ্গভঙ্গি করলে সেই মতো প্রত্যুত্তর পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে ভাস্বর কোন জায়গা থাকে না।
আরো পড়ুন – জিনের নাচ দেখেছেন? একটা খড়ের গাদা ঘূর্ণিঝড়ের মতো তান্ডব চালাচ্ছে, কালা জাদু নয়তো?
সবশেষে বলি সবটাই কিন্তু বিজ্ঞানসম্মতভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝানো আছে। কোথাও কোনো বুজরুকি বা কুসংস্কারের জায়গা নেই।