Breaking Bharat: দিল্লির হেড কনস্টেবল কী ভাবে সাফল্য পেলেন? ব্যর্থতাই হেরে যাওয়া নয়, চেষ্টাতেই আসবে জয়! সাতবার ফেল করেও আজ কীভাবে সেরা দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল?
জীবনে পরাজয় সব সময় আসে। কিন্তু সেই পরাজয়কে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকলে, জীবন বেঁচে থাকার মন্ত্র আপনি ভুলে যাবেন। তাই প্রতিমুহূর্তে চেষ্টা করতে হবে যাতে আরো বেশি করে ভালো থাকা যায়। লড়াই করার মানসিকতা ছাড়লে হবে না। যতবার পড়ে যাবেন ততবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তা না হলে স্বপ্ন কি সত্যি হবে?
এটা কোন রূপকথার গল্প নয়, একটা সত্যি ঘটনা বলব আপনাকে যা বুঝিয়ে দেবে মানুষ একবার দুবার তিনবার চারবার হেরে গেলেও হাল ছাড়ে না। একের পর এক পরীক্ষা এসেছে যাতে সাফল্য আসিনি কিন্তু তাতে কি, অষ্টম চেষ্টায় ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল। সাফল্যের এমন এক বাস্তব গল্প তৈরি করেছেন দিল্লির হেড কনস্টেবল যে আপনি অনেকটা অনুপ্রেরণা পাবেন এনার জীবনের কাহিনী শুনে (Delhi Police Constable Successful in UPSC Exam)।
দিল্লির হেড কনস্টেবল কী ভাবে সাফল্য পেলেন?
স্বপ্ন দেখতে গেলে স্বপ্নকে সত্যি করার মানসিকতা মনের মধ্যে রাখতে হবে। সেই জন্যই চোখ বন্ধ করে নয়, দুচোখ খুলে স্বপ্ন দেখুন। দিল্লির হেড কনস্টেবল কী ভাবে সাফল্য পেলেন, কী তার নাম, কী ভাবে বদলালো জীবন সবটাই এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
রামভজন কুমার (Rambhajan Kumar) ২০২২ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসে সাফল্যের মুখ দেখেছেন, ৬৬৭ র্যাঙ্ক করে তিনি নিজের জীবনকে বদলে ফেলতে পেরেছেন। তার বাড়ি রাজস্থানের দৌসা জেলার বাপি নামে একটি ছোট্ট গ্রামে। নিম্ন মধ্যবিত্ত বাড়ির সন্তান ছোটবেলা থেকে সেখানেই হেসে খেলে বড় হয়ে উঠেছেন।
আরো পড়ুন – কেন ভেঙেছিল জব উই মেট জুটি? করিনা কে নিয়ে কী বলছেন শাহিদ?
মা-বাবার শ্রমিকের কাজ করতেন তাই ছোট বেলা থেকে দিনমজুরের কাজ করতে শিখে গেছিলেন রাম। একদিকে অভাব অন্যদিকে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দুটো যেন নিত্য সঙ্গী হয়ে গেছিল। জীবনের ছোট বড় সব সুখ স্বাচ্ছন্দ বিসর্জন দিয়েছিলেন তিনি।
কখনো পেটে ভাত জুটতো কখনো মিলতো না সেটা। কিন্তু তাই বলে স্বপ্নের হদিস পাবার জন্য চেষ্টা কোন ত্রুটি করেননি তিনি। জীবনে চলার পথে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে কিন্তু তাই বলে হাল ছেড়ে দেননি বা মাঝ পথে খেলা ছেড়ে স্টেডিয়ামে ফিরে আসেননি।
আরো পড়ুন – সোনার আংটি সহজেই ভাগ্য বদলে দিতে পারে কি? সোনা, সকলের সহ্য হয় না, জানেন তো?
২০০৯ সালে পুলিশে কনস্টেবল হিসাবে যোগ দেওয়ার পরই দিল্লি পুলিশে ফিরোজ আলম নামে এক কনস্টেবলের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। ২০১৯ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হয়ে ফিরোজ হয়ে জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ। এনাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন রাম।
স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন তিনিও একদিন ইউপিএসসি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করবেন (Getting success in UPSC exam)। কিন্তু স্বপ্ন দেখা যত সহজ সেটা কি বাস্তবে সত্যি করে তোলা যে ততটাই কঠিন সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন রাম। সাত বার এই পরীক্ষায় বসে ছিলেন কিন্তু একবারও সফলতা আসেনি।
আরো পড়ুন – Honda Dio: বাজার কাঁপাতে আসছে নতুন হোন্ডা ডিও স্কুটার, রয়েছে একাধিক স্মার্ট ফিচার্স! জানেন?
ভাবতে পারছেন কনস্টেবল এর কাজ করার পাশাপাশি প্রতিদিন ছয় ঘন্টা করে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া মুখের কথা নয়। তারপরেও বারবার ব্যর্থতা। শেষমেষ অষ্টমবারে লক্ষ্য পূরণ হয়। অষ্টমবারে পরীক্ষায় বসার আগেই অফিস থেকে এক মাসের ছুটি নিয়ে প্রতিদিন ১৬ ঘন্টা করে পড়াশোনা করেছিলেন রাম।
আরো পড়ুন – গরমের চরম অস্বস্তিতে কেমন ব্রা পরলে মিলবে স্বস্তি? অন্তর্বাস নিয়ে কথা বলতে কেন এত সমস্যা?
জীবনে ইচ্ছে থাকলে যে সত্যি সত্যি অসম্ভবকে জয় করা যায় সেটা বোধহয় ৩৪ বছরের এই কনস্টেবল এর কাছ থেকে শিখতে হয় গোটা সমাজকে।